Skip to content

প্লাম লুইস

1 min read

২ অক্টোবর, ১৮৮৪ তারিখে কেপ প্রভিন্সের কেপটাউনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। ১৯১০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

১৯০৭-০৮ মৌসুম থেকে ১৯১৩-১৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯০৭-০৮ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে প্রথম খেলতে নামেন। ১৯০৯-১০ মৌসুমে এমসিসি দলের সফরের শেষদিকে এইচডিজি লেভসন গাওয়ারের নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে রোডেশিয়া সফর করেন। ১৯১৩ সালে সফররত এমসিসি দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম প্রস্তুতিমূলক খেলায় ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের সদস্যরূপে ১৫১ রানের মনোমুগ্ধকর ইনিংস খেলেন। ফলশ্রুতিতে, তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

১৯১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯১৩-১৪ মৌসুমে নিজ দেশে জনি ডগলাসের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯১৩ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। জো কক্স, হ্যারল্ড বমগার্টনার, আলফ্রেড কুপার, ডাস্টি ট্যাপস্কট, জিমি ব্লাঙ্কেনবার্গ ও ফিলিপ হ্যান্ডসের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। তবে, কোন ইনিংসেই তিনি রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। উভয় ক্ষেত্রেই সিডনি বার্নসের বলে ফ্রাঙ্ক ওলি’র কটে বিদেয় নিয়েছিলেন। ইনিংস ও ১৫৭ রানে জয়লাভ করে সফরকারীরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ফ্রান্সে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে অংশ নেন। এমসি ও বার লাভ করেন। কয়েকবার পায়ে আঘাত পান ও আর কোন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেননি। তবে, কয়েকটি ক্লাবের পক্ষে খেলেছিলেন। পায়ে সমস্যা থাকা সত্ত্বেও একটি খেলায় রানারের সহযোগিতায় শতক হাঁকিয়েছিলেন।

পেশায় আইনজীবী ছিলেন। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে বিচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশ নেন। লন্ডনভিত্তিক সাউথ আফ্রিকা হাউজের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৩০ জানুয়ারি, ১৯৭৬ তারিখে নাটালের ডারবানে ৯১ বছর ১২০ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার বয়োজ্যেষ্ঠ ও ১৯১৩-১৪ মৌসুমে অনুষ্ঠিত সিরিজের সর্বশেষ জীবিত দক্ষিণ আফ্রিকান ছিলেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।