২১ জানুয়ারি, ১৯৬০ তারিখে ওয়েলিংটনের আপার হাটে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও রেফারি। দলে মূলতঃ ইনিংস উদ্বোধনে নামতেন। বামহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এছাড়াও, কভার অঞ্চলে অসাধারণ ফিল্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ম্যাট হর্নের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা তিনি। তবে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হন। ১৯৭৯-৮০ মৌসুম থেকে ১৯৯০-৯১ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২০৯ রানের ইনিংস খেলেছেন।
১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে চারটিমাত্র টেস্ট ও সমসংখ্যক ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে নিজ দেশে ভিভ রিচার্ডসের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ১২ মার্চ, ১৯৮৭ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৯ ও ০ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, ডেসমন্ড হেইন্সের একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, রিচার্ড হ্যাডলি ও ইয়ান চ্যাটফিল্ডের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে ঐ টেস্টে তাঁর দল ৫ উইকেটে জয় পেলে সিরিজটি সিরিজটি ড্র করতে সমর্থ হয়।
এরপর, ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৭ তারিখে মেলবোর্নের বক্সিং ডে টেস্টে অংশ নেন। আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দেন। ৭ ও ২৭ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। ফলে, টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েন।
১৯৯০-৯১ মৌসুমে মার্টিন ক্রো’র নেতৃত্বে পাকিস্তান সফরে যান। ২৬ অক্টোবর, ১৯৯০ তারিখে ফয়সালাবাদে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্ট খেলার জন্যে পুণরায় তাঁকে নিউজিল্যান্ড দলে ফিরিয়ে আনা হয়। মাত্র ১২ রান তুলতে পেরেছিলেন। তন্মধ্যে, স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে বিদেয় নিয়েছিলেন। ৬৫ রানে জয় পেয়ে স্বাগতিকরা ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। অংশগ্রহণকৃত টেস্টগুলো থেকে ১০.১৪ গড়ে রান পেয়েছেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেছেন মাত্র ২৭ রান।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও নিউজিল্যান্ডীয় ঘরোয়া আসরের ক্রিকেটে বেশ সফল ছিলেন। খেলার জগৎ থেকে বিদেয় নেয়ার পূর্বে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৩৪.২৭ গড়ে ২৮৭৯ রান ও লিস্ট-এ ক্রিকেটে ২৬.৮৫ গড়ে ৭৫২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি ব্যাডমিন্টনে দক্ষতার পরিচয় দেন। ১৯৯০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের ব্যাডমিন্টন বিষয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ম্যাচ রেফারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তিনটি লিস্ট-এ ও পাঁচটি টি২০ খেলা পরিচালনা করেছেন।
