| |

প্যাট কামিন্স

৮ মে, ১৯৯৩ তারিখে সিডনির ওয়েস্টমিড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সকল স্তরের ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ও দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

‘কাম্মো’ ডাকনামে ভূষিত প্যাট কামিন্স ১.৯২ মিটার উচ্চতার অধিকারী। বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিভাবান ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। তিন কিংবা চার বছর বয়সে দরজায় আটকে তাঁর ডানহাতের মধ্যমা হারান। ২০১০-১১ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এছাড়াও, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, পার্থ স্কর্চার্স, সিডনি সিক্সার্স ও সিডনি থান্ডারের পক্ষে খেলেছেন।

৩ মার্চ, ২০১১ তারিখে হোবার্টে অনুষ্ঠিত তাসমানিয়া বনাম নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্যকার খেলায় অংশ নেবার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবনের সূত্রপাত ঘটান। দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে তাঁকে ৫০-ওভার মার্শ কাপে দলকে নেতৃত্ব দানের কথা ঘোষণা করা হয়।

১৭ বছর বয়সে ২০১০-১১ মৌসুমের বিগ ব্যাশ লীগে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী হন ও নিজেকে ভবিষ্যতের তারকা খেলোয়াড় হিসেবে উপস্থাপিত করেন। এরপর, ২০১১-১২ মৌসুমে কনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া থেকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে উপনীত হন। মাত্র কয়েকটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয়ার পর জাতীয় পর্যায়ে খেলার জন্যে মনোনীত হন।

২০১১ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করে আসছেন। ২০১১ সালে মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। ১৭ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে জোহানেসবার্গের নিউ ওয়ান্ডারার্সে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। স্নায়ুর চাপে না ভুগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬/৭৯ লাভ করেন। এছাড়াও, প্রথম ইনিংসে ১/৩৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। পাশাপাশি, ২ ও ১৩* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। জয়সূচক রান তুলেন ও ২ উইকেটে দলকে স্বল্প ব্যবধানে জয়লাভে ভূমিকা রাখেন। দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্রয়ে পরিণত হয়। ঐ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

একই সফরের ১৩ অক্টোবর, ২০১১ তারিখে কেপটাউনে টি২০আই ও ১৯ অক্টোবর, ২০১১ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে ওডিআইয়ে প্রথমবারের মতো অংশ নেন।

দীর্ঘদিন আঘাতের কবল থেকে আরোগ্য লাভের পর মার্শ ওয়ান ডে কাপে এনএসডব্লিউ’র সদস্যরূপে খেলার জগতে ফিরে আসেন। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার শিরোপা বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তবে, ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি কেবলমাত্র দুইটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। আঘাতের কবলে পড়েন।

সতর্ক ব্যবস্থাপনা ও কাজে মনোনিবেশ ঘটিয়ে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতর সংস্করণের খেলায় পূর্ণাঙ্গ শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখেন। পাশাপাশি, ২০১৭-১৮ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজ থেকে নিয়মিতভাবে টেস্টে অংশ নিচ্ছেন। মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজলউডের সাথে পেস আক্রমণ পরিচালনা করছেন।

২০১৭-১৮ মৌসুমে টিম পেইনের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ৩০ মার্চ, ২০১৮ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৪৪ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ৫০ ও ১ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, ৫/৮৩ ও ৪/৫৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ভার্নন ফিল্যান্ডারের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে সফরকারীরা ৪৯২ রানে পরাজয়বরণ করলে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

২০১৮-১৯ মৌসুমে নিজ দেশে দিনেশ চণ্ডীমলের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ৪/৩৯ ও ৬/২৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অসাধারণ বোলিং সাফল্যে সফরকারীরা ইনিংস ও ৪০ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।

একই সফরের ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ১/৩২ ও ৩/১৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করে মিচেল স্টার্ককে যোগ্য সহযোগিতা করেন। মিচেল স্টার্কের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৩৬৬ রানে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে। এ সিরিজে ১৪ উইকেট দখল করে তিনি ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

২০২৩ সালে অজি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২৭ জুলাই, ২০২৩ তারিখে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ১/৬৬ ও ১/৭৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৩৬ ও ৯ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ মুঠোয় পুরেছিলেন। তবে, ক্রিস উকসের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৪৯ রানে জয় পেলে সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে শেষ করতে সমর্থ হয়।

২০২৩-২৪ মৌসুমে নিজ দেশে শান মাসুদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে দলকে পরিচালনা করেন। পুরো সিরিজে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ৫/৪৮ ও ৫/৪৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে ১৩ ও ১৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসামান্য বোলিংশৈলীতে স্বাগতিকরা ৭৯ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

এরপর, একই সফরের ৩ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৫/৬১ ও ১/২৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে অভিষেক ঘটা আমির জামালের বলে শূন্য রানে বিদেয় নেন। তাস্বত্ত্বেও, ঐ টেস্টে তাঁর দল আট উইকেটে জয় পায় ও ৩-০ ব্যবধানে ধবল ধোলাই করে। সিরিজে ৩৮ রান ও ১৯ উইকেট দখল করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পান।

২০২৩-২৪ মৌসুমে অজি দলের নেতৃত্বে থেকে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ৮ মার্চ, ২০২৪ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ১/৩৫ ও ৪/৬২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ২৩ ও ৩২* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, অ্যালেক্স কেরি’র অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৩ উইকেটে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

২০২৪-২৫ মৌসুমে নিজ দেশে রোহিত শর্মা’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনে অগ্রসর হন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি ৪৯ ও ৪১ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৩/৮৯ ও ৩/২৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যের কল্যাণে স্বাগতিকরা ১৮৪ রানে জয়লাভ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

একই সফরের ৩ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ২/৩৭ ও ৩/৪৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। স্কট বোল্যান্ডের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে জয়লাভ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে বিজয়ী হয়।

২০২৫ সালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের চূড়ান্ত খেলায় অংশ নিতে অজি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১১ জুন, ২০২৫ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত অপর প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে কে রাবাদা’র ষষ্ঠ উইকেট লাভ করে টেস্টে ৩০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৬/২৮ ও ১/৫৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ১ ও ৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, এইডেন মার্করামের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে তাঁর দল ৫ উইকেটে পরাজয়বরণ করে।

২০২৫ সালে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান। ১২ জুলাই, ২০২৫ তারিখে কিংস্টনে অনুষ্ঠিত দিবা-রাত্রির সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২/২৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ২৪ ও ৫ রান সংগ্রহ করেন। মিচেল স্টার্কের অসাধারণ ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১৭৬ রানে পরাভূত হলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

জানুয়ারি, ২০২০ সালে আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ১ নম্বর ও ওডিআইয়ে পাঁচ নম্বর অবস্থানে ছিলেন। ঐ বছর উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন।

Similar Posts

  • |

    রোল্যান্ড পোপ

    ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৬৪ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের অ্যাশফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে স্লো বোলিং করতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় তাঁকে অবতীর্ণ হতে হতো। ১৮৮০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। হোবার্টভিত্তিক হাচিন্স স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। বিদ্যালয় একাদশে ব্যাটসম্যান ও বোলারের দায়িত্ব পালন করতেন। পরবর্তীতে, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের…

  • |

    ওয়াহাব রিয়াজ

    ২৮ জুন, ১৯৮৫ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। পাকিস্তানের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘ভিকি’ ডাকনামে পরিচিতি লাভ করেন। দ্রুতগতিসম্পন্ন বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার। প্রায়শঃই ভালো-মন্দ নিয়ে খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ফুরফুরে মেজাজে থাকলে তিনি দুর্নিবার, অন্যদিকে, ধারাবাহিকতার অভাবে…

  • |

    শোয়েব আখতার

    ১৩ আগস্ট, ১৯৭৫ তারিখে পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডির পার্বত্যসঙ্কুল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। পাকিস্তানের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। নব্বুইয়ের দশকের শেষদিকে আবির্ভাব ঘটে। ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্রুততম বোলিং করার কারণে সবিশেষ পরিচিতি পান। আধুনিক যুগে নিঃসন্দেহে দ্রুততম বোলারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছেন। অনেক…

  • | | | |

    দিলীপ মেন্ডিস

    ২৫ আগস্ট, ১৯৫২ তারিখে মোরাতুয়ায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও কোচ। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। শক্ত মজবুত গড়নের অধিকারী হিসেবে যে-কোন স্তরের ক্রিকেটে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতেন। ১৯৭১-৭২ মৌসুম থেকে ১৯৯০-৯১ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর…

  • |

    ল্যান্স কেয়ার্নস

    ১০ অক্টোবর, ১৯৪৯ তারিখে মার্লবোরার পিকটনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে এগিয়ে আসতেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম মারকুটে ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পেয়েছেন। সুইং বোলারদের বিপক্ষে খেলতে অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। বড় ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও পর্যাপ্ত সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন।…

  • |

    লরি মিলার

    ৩১ মার্চ, ১৯২৩ তারিখে টারানাকির নিউ প্লাইমাউথ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৯৫০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৫০-৫১ মৌসুম থেকে ১৯৫৯-৬০ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস ও ওয়েলিংটনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও ঘরোয়া আসরে অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন।…