৭ অক্টোবর, ১৯৮৬ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের সংহার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলছেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে ব্যাটিংয়ে নামেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
২০০৬-০৭ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে হায়দ্রাবাদ ও খান রিসার্চ ল্যাবরেটরিজের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, হায়দ্রাবাদ হকস ও মুলতান সুলতান্সের পক্ষে খেলেছেন। ৬ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত হায়দ্রাবাদ বনাম লাহোর রবি’র মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান।
২০২১ সাল থেকে পাকিস্তানের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন। ২০২০-২১ মৌসুমে নিজ দেশে কুইন্টন ডি ককের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। ইমরান বাটের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ২৯ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে নিজস্ব প্রথম পাঁচ-উইকেটের সন্ধান পান। তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৫/৩৫। তবে ফায়াদ আলমের দূর্দান্ত শতকে স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
একই সফরের ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ২৪ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ৮ ও ৪৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৩৬ ও ০/৬৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, হাসান আলী’র অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৯৫ রানে জয়লাভ করলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।
২০২৩ সালে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা সফরে যান। ২৪ জুলাই, ২০২৩ তারিখে কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। তবে, আব্দুল্লাহ শফিকের দ্বি-শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ২২২ রানে জয় পেয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।
২০২৪-২৫ মৌসুমে নিজ দেশে বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ৩/৮৮ ও ৬/৪২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পেয়ে ৪৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, সৌদ শাকিলের অসাধারণ শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ৮ উইকেটে পরাজিত হলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
একই মৌসুমে নিজ দেশে ক্রেগ ব্রাদওয়েটের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে মুলতানে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। তন্মধ্যে, প্রথম ইনিংসে ৫/৩৯ লাভ করেন। এটি তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের সপ্তদশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম পাঁচ-উইকেট লাভ করা ছিল। এছাড়াও, দ্বিতীয় ইনিংসে ৫/৩৯ ও ১/৪২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। পাশাপাশি, খেলায় তিনি ০ ও ৯ রান সংগ্রহ করেন। এ পর্যায়ে ২৬.২৮ গড়ে ৭২ উইকেট দখল করেন। তবে, সাজিদ খানের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ১২৭ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
একই সফরের ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে মুলতানে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে বেশ সফল ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে হ্যাট্রিক সম্পন্ন করেন। খেলায় তিনি ৬/৪১ ও ৪/৮০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এরফলে, খেলোয়াড়ী জীবনে দ্বিতীয়বারের মতো ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দশ উইকেট দখল করেন। এ পর্যায়ে ২৪.৭৬ গড়ে ৮৩ উইকেট লাভ করেন। এছাড়াও, ০ ও ৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, জোমেল ওয়ারিকানের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ১২০ রানে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ করতে সক্ষম হয়।
২০২৫-২৬ মৌসুমে নিজ দেশে এইডেন মার্করামের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ১২ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে লাহোরে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অপূর্ব ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৬/১১২ ও ৪/৭৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ০ ও ১১ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে সেনুরান মুতুস্বামী’র শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর দূর্দান্ত বোলিং কৃতিত্বে সফরকারীরা ৯৩ পরাভূত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
