|

নোয়েল হারফোর্ড

৩০ আগস্ট, ১৯৩০ তারিখে সাউথল্যান্ডের উইন্টন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৯৫০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

১৯৫৩-৫৪ মৌসুম থেকে ১৯৬৬-৬৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস ও অকল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তন্মধ্যে, ১৯৫৩-৫৪ মৌসুম থেকে ১৯৫৮-৫৯ মৌসুম পর্যন্ত সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে খেলেন। এরপর, ১৯৬৩-৬৪ মৌসুম থেকে ১৯৬৬-৬৭ মৌসুম পর্যন্ত অকল্যান্ডের সদস্য হন। প্লাঙ্কেট শীল্ডে একটিমাত্র শতরানের সন্ধান পেয়েছিলেন। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে সাবেক দল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে এ সফলতা পেয়েছিলেন। সর্বোচ্চ স্তরের ক্রিকেটে উইকেট সামলে খেলতে পারেননি। এছাড়াও, স্পিন বোলিং রোখার ক্ষেত্রে দূর্বলতার পরিচয় দিয়েছেন।

১৯৫৫ থেকে ১৯৫৮ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আটটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে পাকিস্তান ও ভারত গমনার্থে হ্যারি কেভের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন। ২৬ অক্টোবর, ১৯৫৫ তারিখে লাহোর টেস্টে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। এরিক পেট্রি’র সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ৯৩ ও ৬৪ রানের ইনিংস খেলে অভিষেক পর্বকে স্মরণীয় করে রাখেন। বলের উপর নিয়ন্ত্রণ নিলেও খেলাকে রক্ষা করতে পারেননি। ঐ টেস্টে তাঁর দল ৪ উইকেটে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এগুলোই তাঁর সেরা সাফল্যরূপে চিত্রিত হয়ে পড়ে।

১৯৫৮ সালে জন রিডের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড সফরে যান। ৫ জুন, ১৯৫৮ তারিখে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ ৮৫/৪ থাকাকালে ২৩ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন। এরপর, ৯৩/৫ থাকাকালে মাঠে পুণরায় ফিরে আসেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ৯ ও ২৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। সফরকারীরা ২০৫ রানে পরাজিত হলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

ইংল্যান্ড সফরে নিউজিল্যান্ডের শোচনীয় ফলাফলে জড়িত ছিলেন। তাসত্ত্বেও, চারজন নিউজিল্যান্ডীয় ব্যাটসম্যানের অন্যতম হিসেবে সহস্রাধিক রানের সন্ধান পান। পার্কসে অক্সফোর্ডের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ১৫৮ রান তুলেন। এরপর, গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে আর একটি শতক হাঁকান। এ সফরে চার টেস্ট থেকে মাত্র ৪১ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। তন্মধ্যে, এক ইনিংসে পেয়েছিলেন ২৩ রান। এ পর্যায়ে ফ্রেড ট্রুম্যানের বাউন্সারে আঘাত পেলে তাঁকে রিটায়ার হার্ট হতে হয়। তন্মধ্যে, ২৪ জুলাই, ১৯৫৮ তারিখে ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে ২ ও ৪ রান তুলতে পেরেছিলেন। ইনিংস ও ১৩ রানের ব্যবধানে স্বাগতিক দল জয় তুলে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। ঐ সিরিজে তাঁর দল ৪-০ ব্যবধানে সিরিজে পরাজয়বরণ করেছিল।

ঘরোয়া ক্রিকেটের সফলতা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে পুণরাবৃত্তি ঘটাতে ব্যর্থ হন। ক্রিকেটের পাশাপাশি বাস্কেটবল খেলায় দক্ষ ছিলেন। ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বাস্কেটবলে অংশ নিয়েছিলেন। ৩০ মার্চ, ১৯৮১ তারিখে ৫০ বছর ২১২ দিন বয়সে অকল্যান্ডে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | |

    ক্রিস কেয়ার্নস

    ১৩ জুন, ১৯৭০ তারিখে মার্লবোরার পিকটনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে সবিশেষ পারদর্শী ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেয়ার পাশাপাশি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে ডানহাতে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে বিপজ্জ্বনক মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। তাঁর…

  • | | | |

    ইনজামাম-উল-হক

    ৩ মার্চ, ১৯৭০ তারিখে পাঞ্জাবের মুলতানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক। মূখ্যতঃ ব্যাটসম্যান ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। মাঝে-মধ্যে স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। উইকেটের চতুস্পার্শ্বে শট খেলতেন। লেগ অঞ্চলে খেলতেই অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। ভয়ঙ্কর প্রকৃতির পুল ও উঁচু হয়ে…

  • |

    রবীন্দ্র জাদেজা

    ৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে সৌরাষ্ট্রের নবগ্রাম-খেড় এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। বামহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। অনিরুদ্ধসিং ও লতা জাদেজা দম্পতির সন্তান। খুব ছোটবেলা থেকেই তাঁর মাঝে বিশাল প্রতিভা…

  • |

    ট্রেভর বেইলি

    ৩ ডিসেম্বর, ১৯২৩ এসেক্সের ওয়েস্টক্লিফ-অন-সী এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার, সাংবাদিক ও লেখক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ডালউইচ কলেজে অধ্যয়ন শেষে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। ‘বার্নাকল’ কিংবা ‘দ্য বয়েল’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৯৪৬ থেকে…

  • |

    প্রবীণ আম্রে

    ১৪ আগস্ট, ১৯৬৮ তারিখে মহারাষ্ট্রের বোম্বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৯০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। শচীন তেন্ডুলকর ও বিনোদ কাম্বলি’র প্রশিক্ষক রামাকান্ত আচরেকরের তীক্ষ্ণ নজরে ছিলেন। আকস্মিকভাবেই ক্রিকেটের সাথে পরিচিত হন। শৈশবকাল থেকেই সুপরিচিত শিবাজী পার্কে…

  • |

    কীর্তি আজাদ

    ২ জানুয়ারি, ১৯৫৯ তারিখে বিহারের পুর্ণিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৮০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে দিল্লির প্রতিনিধিত্ব করেছেন।…