নিরোশন বন্দরতিলকে
১৬ মে, ১৯৭৫ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৯৯৩-৯৪ মৌসুম থেকে ২০০৯-১০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে বাদুরেলিয়া স্পোর্টস ক্লাব, বাসনাহিরা নর্থ, কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব এবং তামিল ইউনিয়ন ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৯৯৮ থেকে ২০০১ সময়কালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে সাতটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালে নিজ দেশে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৭ মে, ১৯৯৮ তারিখে কলম্বোর আরপিএসে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। মালিঙ্গা বান্দারা’র সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। নিজ দেশে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক সিরিজে তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলেন। বামহাতে অর্থোডক্স স্লো বোলিং করে মুত্তিয়া মুরালিধরনকে বিরাট সহায়তার হাত প্রশস্ত করেন। বলকে ধাক্কা মেরে উইকেটে প্রচণ্ড আঘাত করতে অগ্রসর হতেন। ১/৫১ ও ১/১০৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ২০ ও ১৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, প্রতিপক্ষীয় অধিনায়কের অসাধারণ ব্যাটিং কৃতিত্বে স্বাগতিকরা ১৬৭ রানে পরাভূত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে গলের ব্যাটিং উপযোগী পিচে খেলায় ৮২ রান খরচায় ৯ উইকেট দখল করেছিলেন। ঐ সিরিজে সব মিলিয়ে ষোল উইকেট দখল করেন। একই সফরের ২১ জুন, ১৯৯৮ তারিখে কলম্বোর আরপিএসে প্রথমবারের মতো ওডিআইয়ে অংশ নেন। তবে, ইংল্যান্ডে পরবর্তী সফরে খুব কমই প্রভাব ফেলেছিলেন। এ সফরে মাত্র দুইটি প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।
এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের দ্বিতীয় আসরে শ্রীলঙ্কার উত্থানে অংশ নিয়েছিলেন। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ড্র হওয়া ঐ টেস্টে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেট লাভ করেছিলেন। এরপর থেকে বিস্ময়করভাবে দল নির্বাচকমণ্ডলী উপেক্ষার শিকার হন। নিজ দেশে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ খেলার জন্যে তাঁকে রাখা হয়নি। ২০০০-০১ মৌসুমে নিজ দেশে কার্ল হুপারের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ২৯ নভেম্বর, ২০০১ তারিখে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ০/৩৭ ও ০/২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ২৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, চামিণ্ডা ভাসের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পেলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।