২৯ মে, ১৮৩৯ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়াভার্লিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৮৭০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমার অধিকারী ব্যাটসম্যান ছিলেন। ‘লায়ন-হার্টেড নেড’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের শুরুরদিকে বড় ধরনের ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ন্যাশনাল, ইস্ট সিডনি ও বাথহার্স্ট ক্রিকেট ক্লাবে খেলেছেন। ১৮৬২-৬৩ মৌসুম থেকে ১৮৭৭-৭৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের সদস্যরূপে ১৮৬২ সালে এইচ. এইচ. স্টিফেনসন, ১৮৬৪ সালে জি. পার, ১৮৭৪ সালে ডব্লিউ. জি. গ্রেস ও ১৮৭৬ সালে জে. লিলিহোয়াইটের নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে খেলেছিলেন।
১৮৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৭৬-৭৭ মৌসুমে নিজ দেশে জেমস লিলিহোয়াইট জুনিয়রের নেতৃত্বাধীন দলের মুখোমুখি হন। ১৫ মার্চ, ১৮৭৭ তারিখে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ক্রিকেটের ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্টে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলার গৌরব অর্জন করেন। খেলায় তাঁর ভ্রাতা ডেভ গ্রিগরি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ঐ খেলায় সাত নম্বরে ব্যাটিং করে শূন্য রানে বিদেয় নেন। এরফলে, প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে অমর্যাদাকর রেকর্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ১১ রান তুলতে সমর্থ হন ও দলকে ১০৪ রান তুলতে যথার্থ ভূমিকা রাখেন। ঐ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দল ৪৫ রানে জয়লাভ করলেও পরবর্তীতে আর তাঁকে খেলতে দেখা যায়নি। এরফলে, স্বাগতিকরা দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। এটিই তাঁর একমাত্র টেস্টে পরিণত হয়।
১৯৭৮ সালে বড় ধরনের ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর তিনি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের কিউরেটর হিসেবে নিযুক্ত হন। এসসিজিতে স্কোরবোর্ড নির্মাণ করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। ১৮৬১ সালে সিডনিতে এলেন নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির তিন পুত্র ও পাঁচ কন্যা ছিল। চারজন অস্ট্রেলীয় পিতা-পুত্র দেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তন্মধ্যে, নেড ও সিড গ্রিগরি অন্যতম ছিলেন। জ্যেষ্ঠ সন্তান সিড গ্রিগরি উদ্বোধনী টেস্টের তেরো বছর পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলার সুযোগ পান ও অধিনায়কত্ব করেছিলেন। তাঁর এক কন্যা হ্যারি ডোনানের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়। ২২ এপ্রিল, ১৮৯৯ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের র্যান্ডউইকে ৫৯ বছর ৩২৮ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। ওয়াভার্লি সিমেট্রির অ্যাংলিকান অংশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
