Skip to content

নাভেদ লতিফ

1 min read

২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬ তারিখে পাঞ্জাবের সারগোদায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ২০০০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

ডানহাতি আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হিসেবে সবিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। পাকিস্তানের শক্তিশালী ব্যাটিং অবস্থান থাকাকালে নিজেকে জাতীয় দলে অন্তর্ভূক্তিতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমের ন্যাশনাল জুনিয়র কাপ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশীপে সারগোদার পক্ষে খেলেছেন।

১৯৯৩-৯৪ মৌসুম থেকে ২০১২-১৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে অ্যালাইড ব্যাংক, বাহাওয়ালপুর, পাকিস্তান কাস্টমস ও সারগোদার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, আইসিএল পাকিস্তান একাদশ ও লাহোর বাদশাহের পক্ষে খেলেছেন। ২০০০-০১ মৌসুমে সারগোদার সদস্যরূপে গুজরানওয়ালার বিপক্ষে ৪০০ রানের কম ৩৯৪ রান তুলে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন। তবে, খেলায় ধারাবাহিকতা না থাকায় তার অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে যায়।

২০০১ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে মাত্র একটি টেস্ট ও ১১টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। তন্মধ্যে, ২০০১ সালের শেষদিকে নিজস্ব দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকে ১১৩ রান তুলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের বিজয়ে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন। তবে, তিনি আর কোন অর্ধ-শতকের সন্ধান পাননি।

২০০২ সালের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। ২০০১-০২ মৌসুমে ওয়াকার ইউনুসের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাত গমন করেন। ৩১ জানুয়ারি, ২০০২ তারিখে শারজায় অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ০ ও ২০ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে মারভিন ডিলনের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। তবে, শোয়েব আখতারের অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে তাঁর দল ১৭০ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতাকে ঘিরে শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁকে পাশ কাটিয়ে তৌফিক উমর ও সেলিম এলাহীকে দল নির্বাচকমণ্ডলী অন্তর্ভুক্ত করে। ইমরান ফারহাত ও ইয়াসির হামিদের উত্থানের পাশাপাশি বিশ্বকাপের পর দলের পুণর্গঠনেরও তাঁকে আর দলে রাখা হয়নি। ১০ অক্টোবর, ২০০৩ তারিখে রাওয়ালপিন্ডিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ একদিনের আন্তর্জাতিক খেলেন। সাউথ নটিংহ্যামশায়ার লীগের প্রথম বিভাগে প্লামট্রি সিসি’র পক্ষে কয়েকটি খেলায় অংশ নেন। জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা কম থাকায় অনুমোদনবিহীন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে অংশ নেন। ২০০৮ সালের শুরুতে আইসিএলের দ্বিতীয় আসরে লাহোর বাদশাহের পক্ষাবলম্বন করেন। এরফলে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনের তাঁর পুণরায় অংশগ্রহণের বিষয়টি পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়। ২৭ অক্টোবর, ২০০৯ তারিখে কাউলুন ক্রিকেট ক্লাব মাঠে সাংবার্ষিক হংকং ক্রিকেট সিক্সেস টুর্নামেন্টে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।