|

নাথান লায়ন

২০ নভেম্বর, ১৯৮৭ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ইয়ং এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

‘গোট’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছেন। স্টিভেন লায়ন ও ব্রোনিন লায়ন দম্পতির সন্তান। ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮১ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। শুরুতে অ্যাডিলেড ওভালের পিচের দায়িত্ব পালনকারী ও পরবর্তীতে বিগ ব্যাশ লীগে সাউথ অস্ট্রেলিয়ান রেডব্যাকসের কোচ ড্যারেন বেরি তাঁর প্রতিভা সম্পর্কে অবগত হন। ২০১০-১১ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস ও সাউথ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি ও সিডনি সিক্সার্সের পক্ষে খেলেছেন।

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ তারিখে পার্থে অনুষ্ঠিত ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বনাম সাউথ অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। বোলিংয়ে সকলকে বিমোহিত করেন। ঐ বছর টি২০ বিগ ব্যাশ লীগে দলের সর্বোচ্চ উইকেট-শিকারীতে পরিণত হন ও রেডব্যাকস দলের শিরোপা বিজয়ে প্রভূত ভূমিকা রাখেন।

২০১১ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করে আসছেন। মাত্র চারটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা লাভের পর বিস্ময়করভাবে ২০১১-১২ মৌসুমে শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট সিরিজে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ঐ মৌসুমে মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ৩১ আগস্ট, ২০১১ তারিখে গলেতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ট্রেন্ট কোপল্যান্ডের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। টেস্টে তৃতীয় অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকে প্রথম বলে উইকেট লাভের কৃতিত্বের অধিকারী হন। খেলায় তিনি ৫/৩৪ ও ১/৭৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ০* ও ১৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। নিচুমুখী রানের খেলায় মাইকেল হাসি’র ব্যাটিং কৃতিত্বে স্বাগতিকরা ১২৫ রানে পরাভূত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের অষ্টম খেলোয়াড় হিসেবে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমে দল ৪৭ রানে গুটিয়ে গেলেও তিনি ১৪ রান তুলে শীর্ষ রান সংগ্রাহকে পরিণত হয়েছিলেন। ২০১১-১২ মৌসুমের কেপটাউন টেস্টে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে এ কৃতিত্বের পরিচয় দেন।

২০১১-১২ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ৯ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১৩ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি রান ১* ও ১৪ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, ০/১১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। অভিষেকধারী ভার্নন ফিল্যান্ডারের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৮ উইকেটে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

২০১২-১৩ মৌসুমে নিজ দেশে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ২২ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে জেএ রুডল্ফের দ্বিতীয় উইকেট লাভ করে ৫০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এ পর্যায়ে উপর্যুপরী ১১ ওভার মেইডেন লাভ করেছিলেন। খেলায় তিনি ২/৯১ ও ৩/৪৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৭* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, ফাফ ডু প্লিসি’র অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

২০১৩-১৪ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে তিনি কেবলমাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে পুরো পাঁচ-টেস্টে অংশ নিয়ে অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করেন। এরফলে, ১৯৪৯-৫০ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বিল জনস্টনের রেকর্ড সাথে নিজকে জড়ান। তবে, বিল জনস্টন পুরো পাঁচ খেলায় অংশ নিয়ে মাত্র দুইবার ব্যাটিং করেছিলেন।

২০১৫-১৬ মৌসুমে স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৩/৩২ ও ৪/৯১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, দলের একমাত্র ইনিংসে ৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। অ্যাডাম ভোজেসের অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৫২ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

২৯ জানুয়ারি, ২০১৬ তারিখে মেলবোর্নে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি২০আইয়ে অংশ নেন। এ পর্যায়ে রায়ান হ্যারিস তাঁকে ক্যাপ প্রদান করেন।

দলীয় সঙ্গীদের কাছে সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ২০১৭ সালে ষষ্ঠ অস্ট্রেলীয় বোলার হিসেবে টেস্টে ৩০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এছাড়াও, এশিয়ার বাইরে প্রথম অফ-স্পিনার ও সপ্তদশ বোলার হিসেবে ৪০০ টেস্ট উইকেট লাভের অধিকারী হন। দায়িদ মালানকে বিদেয় করে এ কৃতিত্ব অর্জন করেন। দীর্ঘদিন তিনি ৩৯৯ উইকেটে স্থবির ছিলেন ও ৪০০ উইকেট লাভে ৩২৬ দিন ব্যয় করেন।

২০১৯-২০ মৌসুমে নিজ দেশে টম ল্যাথামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৩ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। একবার ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পেয়ে ৬* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ৫/৬৮ ও ৫/৫০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, মারনাস লাবুসেনের অসাধারণ ব্যাটিং সাফল্যে স্বাগতিকরা ২৭৯ রানে জয় পেয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।

২০২৩-২৪ মৌসুমে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অজি দলের অন্যতম সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ৮ মার্চ, ২০২৪ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ০/৬ ও ৩/৪৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ২০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, অ্যালেক্স কেরি’র অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৩ উইকেটে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

২০২৪-২৫ মৌসুমে স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বাধীন অজি দলের অন্যতম সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে গলেতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসে এলডি চণ্ডীমলের প্রথম উইকেট লাভ করে টেস্টে ৫৫০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৩/৯৬ ও ৪/৮৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, দলের একমাত্র ইনিংসে ২* রান সংগ্রহ করেছিলেন। অ্যালেক্স কেরি’র অসাধারণ শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ৯ উইকেটে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।

২০২৫ সালে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অজি দলের অন্যতম সদস্যরূপে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গমন করেন। ৩ জুলাই, ২০২৫ তারিখে সেন্ট জর্জেসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১১ ও ৮ রান সংগ্রহ করে উভয় ক্ষেত্রে আলজারি যোসেফের বলে বিদেয় নেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৩/৭৫ ও ৩/৪২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। অ্যালেক্স ক্যারি’র অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীতে স্বাগতিকরা ১৩৩ রানে পরাভূত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।

নখ খোটানোকে সর্বাপেক্ষা বাজে অভ্যাসরূপে মন্তব্য করেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। মেলিসা ওয়ারিং নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির হার্পার লায়ন ও মিলা এলেন নাম্নী কন্যাদ্বয়ের জনক।

Similar Posts

  • |

    রাজিন্দার পাল

    ১৮ নভেম্বর, ১৯৩৭ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৬০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ক্ষীপ্রগতিসম্পন্ন ও প্রাণবন্তঃ পেস বোলিং করতেন। তবে, ভুল সময়ে তাঁর জন্ম হয়েছিল। এ সময়ে স্পিন ও অল-রাউন্ডার নিয়ে দল সাজানো…

  • | |

    মিক মলোন

    ৯ অক্টোবর, ১৯৫০ তারিখে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার স্কারবোরা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। লিকলিকে গড়নের অধিকারী। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুম থেকে ১৯৮১-৮২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ও…

  • |

    টম আর্মিটেজ

    ২৫ এপ্রিল, ১৮৪৮ তারিখে ইয়র্কশায়ারের শেফিল্ডের ওয়াক্লি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৮৭০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৫ জুন, ১৮৭২ তারিখে কেইলি বনাম ওয়াকফিল্ডের মধ্যকার খেলার প্রথম ইনিংসে আট উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে দশ উইকেটের সবগুলো করায়ত্ত্ব করেন।…

  • |

    জন হজেস

    ১১ আগস্ট, ১৮৫৫ তারিখে লন্ডনের নাইটসব্রিজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। বামহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৮৭০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। বলকে সুইং করাতে পারতেন। এছাড়াও, উচ্চ গতিতে বলে সিম আনয়ণ করতেন। কিন্তু, বলে নিখুঁতভাব বজায় রাখতে পারতেন না। ফলশ্রুতিতে, তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনে বিরূপ…

  • | | | |

    ইনজামাম-উল-হক

    ৩ মার্চ, ১৯৭০ তারিখে পাঞ্জাবের মুলতানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক। মূখ্যতঃ ব্যাটসম্যান ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। মাঝে-মধ্যে স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। উইকেটের চতুস্পার্শ্বে শট খেলতেন। লেগ অঞ্চলে খেলতেই অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। ভয়ঙ্কর প্রকৃতির পুল ও উঁচু হয়ে…

  • |

    কীর্তি আজাদ

    ২ জানুয়ারি, ১৯৫৯ তারিখে বিহারের পুর্ণিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৮০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে দিল্লির প্রতিনিধিত্ব করেছেন।…