১৫ অক্টোবর, ১৯৮১ তারিখে খুলনার ফেরিঘাট এলাকায় জন্ম। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলায় ভূমিকা পালন করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে পারদর্শী ছিলেন। ২০০০-এর দশকের শুরুরদিকে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
২০০০-০১ মৌসুম থেকে ২০১৩-১৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরে প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে খুলনা বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
২০০৩ সালে বাংলাদেশের পক্ষে দুইটিমাত্র টেস্ট ও একটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ঐ বছর নিজ দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবগুলো আন্তর্জাতিক খেলেছিলেন। ২০০৩ সালে খালেদ মাসুদের স্থলাভিষিক্ত হন। সাবেক জাতীয় অধিনায়কের পরিবর্তে খেলার জন্যে অনেকাংশে জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর আগ্রহের উপর নির্ভর করে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। এ পর্যায়ে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত দলকে নিয়ে গড়া ত্রি-দেশীয় সিরিজে দলের শোচনীয় ফলাফলে বিসিবি’র জেরার মুখে পড়তে হয়।
২০০৩ সালে নিজ দেশে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ১৭ এপ্রিল, ২০০৩ তারিখে ঢাকায় ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ওডিআই অভিষেকে একটিমাত্র ডিসমিসালের সাথে নিজেকে জড়িত রাখেন। এরপর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্ট খেলার জন্যে মনোনীত হন। একই সফরের ২৪ এপ্রিল, ২০০৩ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১৬ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। অভিষেকধারী জ্যাক রুডল্ফের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় খেলায় স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৬০ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
এরপর, একই সফরের ১ মে, ২০০৩ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১৬ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ৭ ও ২৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, উইকেটের পিছনে অবস্থান করে একটি স্ট্যাম্পিং ও সমসংখ্যক ক্যাচ গ্লাভসবন্দীকরণে অগ্রসর হন। তবে, মোহাম্মদ রফিকের অসাধারণ বোলিং শৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও সফরকারীরা ইনিংস ও ১৮ রানে জয়লাভ করলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। ঐ সিরিজে ৪৯ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। তবে, পুণরায় খালেদ মাসুদকে দলে ফিরিয়ে আনা হয় ও তিনি দল থেকে বাদ পড়েন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ ভালো খেলতে থাকেন। ২০০৮-০৯ মৌসুম পর্যন্ত খুলনা বিভাগের পক্ষে খেলেন। স্বল্পসংখ্যক রান সংগ্রহ করলেও উইকেট-রক্ষণে অনেকগুলো ডিসমিসালের সাথে জড়িত ছিলেন।
