মোহাম্মদ রফিক
৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭০ তারিখে ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে অপূর্ব দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
নিখুঁতভাব বজায় রেখে ছন্দোবদ্ধ ধীরগতিসম্পন্ন বামহাতি বোলার ছিলেন। ‘মো’ ডাকনামে পরিচিতি পান। ২০০০-০১ মৌসুম থেকে ২০০৮ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে ঢাকা বিভাগ ও সিলেট বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ঢাকা ওয়ারিয়র্সের পক্ষে খেলেছেন।
১৯৮৫ সালে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। এ পর্যায়ে ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে মিডিয়াম-পেসার ছিলেন। বিমান এয়ারলাইন্সের পক্ষে খেলতেন। ১৯৮৮ সালে দলের পাকিস্তানী ক্রিকেটার ওয়াসিম হায়দারের পরামর্শক্রমে স্পিন বোলিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। এ পর্যায়ে মন্তব্য করেন যে, ‘অনুশীলনীতে তিনি আমাকে স্পিন বোলিং করার কথা বললে হতবিহ্বল হয়ে পড়ি। তাসত্ত্বেও, আমি তাঁকে বোল্ড করি। পরদিন একটি খেলায় পাঁচ ওভার পেস বোলিং করি। এরপর স্পিন বোলিং করে উইকেট পাই ও তারপর থেকে আর ফাস্ট বোলিংয়ে অগ্রসর হইনি। আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বোলিং করতেই অধিক পছন্দ করি। আমার বোলিং সুনিয়ন্ত্রিত। আমি পর্যাপ্ত স্পিন ও বাউন্স করার চেষ্টা চালাই।’ মনেপ্রাণে ও চাতুর্য্যতার সাথে বোলিং করে টেস্ট ও ওডিআইয়ে অসাধারণ সফলতার পরিচয় দিয়েছেন।
১৯৯৫ থেকে ২০০৮ সময়কালে বাংলাদেশের পক্ষে সবমিলিয়ে ৩৩ টেস্ট, ১২৫টি ওডিআই ও একটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ৫ এপ্রিল, ১৯৯৫ তারিখে শারজায় ভারতের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে বর্ণাঢ্যময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনে প্রবেশ করেন। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফিতে প্রথমবারের মতো বড় ধরনের সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। বল হাতে নিয়ে নয় খেলা থেকে ১০.২৫ গড়ে ১৯ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৪/২৫ নিয়ে সেমি-ফাইনালে দলকে জয় এনে দেন। এছাড়াও, চূড়ান্ত খেলায় কেনিয়ার বিপক্ষে ব্যাট হাতে নিয়ে বেশ সফল হন। ইনিংস উদ্বোধনে নেমে ১৫ বল থেকে ২৬ রান তুলে দলের ঝড়ো সূচনা এনে দেন।
১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ দল ওডিআইয়ে প্রথম অংশ নিলেও প্রথম বিজয়ের জন্যে এক যুগ অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়েছিল। ১৭ মে, ১৯৯৮ তারিখে হায়দ্রাবাদে কেনিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়ে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সাতবার প্রচেষ্টার পর এটিই বাংলাদেশের প্রথম জয় ছিল। ওডিআইয়ের পাশাপাশি টেস্টেও সফল ছিলেন। স্বাগতিক ভারত ও কেনিয়ার অংশগ্রহণে ত্রি-দেশীয় সিরিজে দলটি প্রথমবারের মতো জয় পায়। লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় স্বর্ণালী মুহূর্তের সাথে নিজেকে জড়ান। খালেদ মাহমুদ ও এনামুল হকের সাথে তিনিও দলের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। তিন উইকেট লাভ করাসহ ৮৭ বলে ৭৭ রান তুলে দলকে ১২ বল হাতে রেখে ছয় উইকেটে জয় এনে দেন। ব্যাট ও বলে দারুণ খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
১০ নভেম্বর, ২০০০ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সফররত ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নিয়েছেন। অন্য সকলের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। অসাধারণ খেলা উপহার দেন। দলের সর্বাপেক্ষা মিতব্যয়ী বোলিং করেছিলেন। রাহুল দ্রাবিড়কে বিদেয় করে বাংলাদেশের প্রথম উইকেট লাভকারী হিসেবে স্মরণীয় করে রাখেন। ঐ খেলায় তিন উইকেট পান। তবে, সুনীল জোশী’র অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৯ উইকেটে জয়লাভ করে।
২০০২-০৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে খালেদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১৮ অক্টোবর, ২০০২ তারিখে ইস্ট লন্ডনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১৭* ও ১৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৮৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। গ্রায়েম স্মিথের অনবদ্য দ্বি-শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ১০৭ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
খেলোয়াড়ী জীবনে বাঁধার সম্মুখীন হন। তাঁর বিরুদ্ধে সন্দেহজনক বোলিং ভঙ্গীমার অভিযোগ আসে। মে, ২০০৩ সালে দলে ফিরে পাল্টা জবাব দেন। ২০০৩ সালে নিজ দেশে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ১ মে, ২০০৩ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। চমৎকার ক্রীড়া নৈপুণ্যের ছাঁপ রাখেন ও ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে এমভি বাউচারকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ৩/১১৭। এ পর্যায়ে টেস্টে নিজস্ব প্রথম পাঁচ-উইকেট লাভ করেন। নিজস্ব তৃতীয় টেস্টে ৬/৭৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ঐ সময়ে বাংলাদেশ দলের অংশগ্রহণকৃত ১৯ টেস্টের মধ্যে এটিই তৎকালীন সেরা বোলিং বিশ্লেষণ ছিল ও তৃতীয়বারের মতো পাঁচ-উইকেট লাভ ছিল। হার্শেল গিবস, বোয়েতা ডিপেনার, নীল ম্যাকেঞ্জি, মার্ক বাউচার, অ্যালান ডসন ও পল অ্যাডামসের উইকেট পান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ০ ও ১৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ বোলিং শৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও সফরকারীরা ইনিংস ও ১৮ রানে জয়লাভ করলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
একই বছরে পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ দলের তারকা খেলোয়াড়ের মর্যাদা পেয়েছিলেন। তিন খেলা থেকে ১৭ উইকেট পান। তন্মধ্যে, দুইবার পাঁচ-উইকেটের সন্ধান পেয়েছিলেন।
২০০৩ সাল শেষে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়েও নিপুণতার স্বাক্ষর রাখেন। সচরাচর ধীরলয়ে ব্যাটিং করেন। মে, ২০০৪ সালে নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিস্ময়করভাবে ১১১ রান সংগ্রহ করেন। এরফলে, সেন্ট লুসিয়ায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যায়। দলের পরাজয়ে রুখে দাঁড়ান ও খেলাটিকে ড্রয়ে পরিণত করেন।
২০০৪-০৫ মৌসুমে নিজ দেশে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১৯ অক্টোবর, ২০০৪ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে জেডিপি ওরামের চতুর্থ উইকেট লাভ করে ৫০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ৬/১২২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ০ ও ২৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ব্র্যান্ডন ম্যাককালামের অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে সফরকারীরা ইনিংস ও ৯৯ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
২০০৫ সালের শুরুতে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট জয়ে অসাধারণ ভূমিকা রাখেন। এ পর্যায়ে দলটি দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রতীক্ষার প্রহর গুণে ও ৩৪ টেস্টে অংশ নেয়ার পর এ সাফল্য পায়। দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টেস্টে ৫/৬৫ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন তিনি। পরবর্তীতে, এনামুল হকের ৬/৪৫ লাভের কল্যাণে দল কাঙ্খিত জয়লাভ করে। এরপর, ওডিআই সিরিজেও সুন্দর ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছিলেন। ২০০৪-০৫ মৌসুমে বাংলাদেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন। জাতীয় দলে ৩৬ বছর বয়সে থেকেও কোচ ডেভ হোয়াটমোরের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলেন।
এপ্রিল, ২০০৬ সালে ফতুল্লায় অনুষ্ঠিত খেলায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা খেলা উপহার দেন। খেলায় নয় উইকেট নিয়েও দলের পরাজয় রুখতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪২৭ রানের জবাবে খেলতে নামা সফরকারীদের বিপক্ষে ৩২.২ ওভারে নয়টি মেইডেন সহযোগে ৫/৬২ পান ও প্রতিপক্ষকে ২৬৯ রানে গুটিয়ে ফেলতে ভূমিকা রাখেন। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৪৮ রানে ইনিংস করে বাংলাদেশ দল। অস্ট্রেলিয়া দল ২৭৭/৭ তুলে তিন উইকেটের জয় পায়। ঐ ইনিংসেও চার উইকেট পেয়েছিলেন। তাসত্ত্বেও ঐ খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে টেস্টে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট লাভের ন্যায় ‘ডাবল’ লাভের দিকে নিয়ে যায়। চট্টগ্রামে শেন ওয়ার্ন ও স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলসমৃদ্ধ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছয় ছক্কা সহযোগে ৫৩ বলে ৬৫ রান তুলেন। নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে ‘ডাবল’ লাভ করেন। ২৮ নভেম্বর, ২০০৬ তারিখে খুলনায় একই দলের বিপক্ষে টি২০আইয়ে প্রথম খেলেন।
১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে, পোর্ট অব স্পেনে অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৩ উইকেট পান। রাহুল দ্রাবিড়, মহেন্দ্র সিং ধোনি ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিদেয় করে ভারতের ব্যাটিংয়ের ভিত নড়বড়ে করে দেন। দলের খ্যাতনামা বিজয়ে অপূর্ব ভূমিকা রাখেন।
ওডিআই দল থেকে উপেক্ষিত হলে ২০০৮ সালে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে নিজ দেশে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। নিজস্ব ৩৩তম টেস্টে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেন। প্রথম বাংলাদেশী বোলার হিসেবে ১০০ টেস্ট উইকেট লাভের ন্যায় উল্লেখযোগ্য মাইলফলক স্পর্শ করেন। ৩ মার্চ, ২০০৮ তারিখে চতুর্থ দিনে এ সাফল্য পান। এছাড়াও, দেশের প্রথম অল-রাউন্ডার হিসেবে টেস্ট ও ওডিআইয়ে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট লাভের ন্যায় ‘ডাবল’ অর্জন করেন। খেলায় তিনি ২/১৩২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ ১০ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। প্রতিপক্ষীয় অধিনায়কের দ্বি-শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ২০৫ রানে পরাজয়বরণ করলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
ব্যাট হাতে নিয়েও টেস্ট ক্রিকেটে যথেষ্ট সফলতা পেয়েছেন। ১৮.৫৭ গড়ে ১০৫৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। চারটি অর্ধ-শতরানের পাশাপাশি একটি শতক হাঁকিয়েছেন। সমসংখ্যক ওডিআইয়ে অংশ নিয়ে ৩৭.৯১ গড়ে ১২৫ উইকেট পেয়েছেন। ওভারপ্রতি ৪.৪৩ রান খরচ করেছেন। এছাড়াও ব্যাট হাতে নিয়ে ১৩.৩৮ গড়ে ১১৯১ রান পেয়েছেন।
অবসর গ্রহণের পর ২০০৮ সালে অনুমোদনবিহীন আইসিএলে যুক্ত হন। এরফলে, বিসিবি কর্তৃক ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন। তবে, পরের বছরই ঐ লীগ থেকে চুক্তি ছিন্ন করে চলে আসেন। ২০১০ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। এপ্রিল, ২০১০ সালে ঢাকা বিভাগের পক্ষে সর্বশেষ খেলেন। কোচিং জগতের দিকে ঝুঁকে পড়েন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন।
হাবিবুল বাশার সতীর্থ খেলোয়াড়দেরকে নিয়ে সর্বকালের সেরা বাংলাদেশী টেস্ট একাদশ গঠন করেন। তন্মধ্যে, তাঁকেও এ তালিকায় ঠাঁই দিয়েছেন। ধারাবাহিক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৫ সালে সুপার সিরিজ খেলতে বিশ্ব একাদশ ও ১০ জুন, ২০০৭ তারিখে চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে প্রদর্শনী সিরিজে এশিয়া একাদশের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।