মিক মলোন
৯ অক্টোবর, ১৯৫০ তারিখে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার স্কারবোরা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
লিকলিকে গড়নের অধিকারী। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুম থেকে ১৯৮১-৮২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটিমাত্র টেস্ট ও ১০টি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালে গ্রেগ চ্যাপেলের অধিনায়কত্বে দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় দলে খেলার সুযোগ পান। ২৫ আগস্ট, ১৯৭৭ তারিখে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের চূড়ান্ত ও পঞ্চম টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় নিজেকে স্মরণীয় করে রাখেন। জেফ থমসনের সাথে বোলিং উদ্বোধনে নামেন। প্রথম ইনিংসে ৪৭ ওভার বোলিং করে ৫/৬৩ লাভ করেন। পাঁচ-উইকেট লাভের পাশাপাশি দশ নম্বর অবস্থানে ব্যাট হাতে নিয়ে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। দলের সংগ্রহ ২৫২/৮ থাকাকালে ম্যাক্স ওয়াকারের (৭৮*) সাথে ১০০ রানের জুটি দাঁড় করান। এটিই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল। দ্বিতীয় বলেই বব উইলিসের বলে টনি গ্রেগ তালুবন্দী করতে পারলে তাঁর শূন্য রানে বিদেয় নেয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। রস এডওয়ার্ডস তাঁর বল থেকে ক্যাচ তালুবন্দী করে প্রথম উইকেট লাভে অংশ নেন। বৃষ্টির কারণে খেলায় ফলাফল আসেনি। এর পূর্বে একই সফরের ২ জুন, ১৯৭৭ তারিখে ম্যানচেস্টারে প্রথমবারের মতো ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ডিসেম্বর, ১৯৭৭ সালে অস্ট্রেলীয় ধনকুবের ক্যারি প্যাকারের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিদ্রোহী দলের সদস্যরূপে অংশ নেন। একমাত্র টেস্টে অংশ নিলেও ১০টি ওডিআই খেলে ১৯৮২ সালে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলোয় অংশ নিয়ে ২৪.৭৭ গড়ে ২৬০ উইকেট দখল করেন।
ক্রিকেটের বাইরে পেশাদারী পর্যায়ে রুলস ফুটবলার ছিলেন। সুবিয়াকোর পক্ষে ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লীগে ১০৪ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালের গ্র্যান্ড ফাইনালে ওয়েস্ট পার্থের বিপক্ষে তিন গোল করে জয়লাভে ভূমিকা রাখেন। পেশাগত জীবনে শিক্ষক ছিলেন। ক্রিকেট খেলা থেকে চলে আসার পর আবাসন শিল্পের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। পার্থে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান খোলেন। এছাড়াও, ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবার পাশাপাশি ক্রিকেট সম্পর্কীয় লেখনির সাথে নিজেকে যুক্ত রাখেন। ক্রিকেট প্রশিক্ষণে অগ্রসর হলেও আবাসন শিল্পেই অধিক মনোনিবেশ ঘটান।