২ অক্টোবর, ১৯৭৪ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের সেন্ট লিওনার্ডস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারির কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। ১৯৯০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
‘নিকো’ ডাকনামে ভূষিত ম্যাথু নিকোলসন ১.৯৭ মিটার উচ্চতার অধিকারী। নিউ সাউথ ওয়েলসে খেলা শিখতে শুরু করেন। বিদ্যালয়ের তারকা খেলোয়াড় ছিলেন। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলেন। এ সময়ে তিনি দৌঁড়ে খোলা বক্ষে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন।
১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে ২০০৮-০৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে সরব ছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ার ও সারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান একাদশের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। ৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে মৌসুম শেষ হবার তিন সপ্তাহ পূর্বে পারস্পরিক সমঝোতায় সারে দল ত্যাগ করেন।
১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমের গ্রীষ্মকালে ঐ এক টেস্টে অংশ নিলেও এটি তাঁর জন্যে অনেক বড় বিষয় ছিল। বিমানে চড়া অবস্থায় পার্থ থেকে সিডনিতে বড়দিনের উৎসবে পরিবারের সাথে যোগদানকালে ফোনে জানতে পারেন। এরফলে, মেলবোর্নের উদ্দেশ্যে আরেকটি বিমান ধরেন। এ পর্যায়ে তিনি মাত্র আটটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। বড়দিনের বিস্ময়কর ঘটনা হিসেবে চিত্রিত করেছেন। নিজ দেশে অ্যালেক স্টুয়ার্টের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ২৪ বছর বয়সে ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৮ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে তাঁর অভিষেক ঘটে। বক্সিং ডে পুরোপুরি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায় ও ৬০০০০ দর্শকের আক্ষেপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খেলা শুরু হবার পূর্বক্ষণে বৃষ্টি আঘাত হানে।
খেলায় তিনি চার উইকেট দখল করেন। প্রথম ইনিংসে ১/৫৯ লাভের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩/৫৬ লাভ করেন। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ৫ ও ৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ডিন হ্যাডলি’র অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে ১২ রানে পরাজয়বরণ করলেও স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
এক পর্যায়ে দল থেকে স্থানচ্যূত হন। ক্রমাগত আঘাত ও মাঝে-মধ্যে বল হাতে নেয়ার কারণে তাঁকে দলে ফিরে আসতে বেশ সময় নিতে হয়। ১৯৯৯ সালে দলের সাথে জিম্বাবুয়ে গমন করেন। তবে, কোন টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি।
নিউ সাউথ ওয়েলস ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘদিন ও সফলতার সাথে প্রথম-শ্রেণীর খেলা প্রদর্শন করেছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলো থেকে ২৩.৭৮ গড়ে চার শতক সহযোগে ৩২৫৮ রান ও ২৯.৯১ গড়ে ৪০৬ উইকেট দখল করেছিলেন।
