| |

ম্যাথু হেইডেন

২৯ অক্টোবর, ১৯৭১ তারিখে কুইন্সল্যান্ডের কিঙ্গারয়ে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও প্রশাসক। শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। শক্ত-মজবুত গড়নের বামহাতি ব্যাটসম্যান। পাশাপাশি, ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল স্তরে অংশ নিয়েছেন।

‘হেডোস’ ডাকনামে পরিচিতি পান। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের স্বর্ণযুগে ভীতিহীন অবস্থায় বোলারদের উপর ছড়ি ঘুরাতেন। স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব নিয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমায় খেলা প্রদর্শন করতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে সফলতম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন।

২০০০-এর দশকে বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে অস্ট্রেলিয়া প্রভাব বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। এ পর্যায়ে প্রত্যেকবারই সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। এক সময় বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন ও সকল স্তরের ক্রিকেটে অন্যতম বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ছিলেন। ১৭ বছর বর্ণাঢ্যময় প্রতিভাবান ক্রিকেটারের মর্যাদা পান।

কিঙ্গারয়ে পরিবারের সাথে বসবাস করেন। খুব ছোটবেলায় পারিবারিক খামারে ক্রিকেট খেলার সাথে জড়িয়ে পড়েন। নিজ ওয়েবসাইটে লিখেছেন যে, ‘বেশ উঁচুমানের ‘টেস্ট খেলায়’ অংশ নিতেন। তিন বছর বয়সে খেলার সাথে পরিচিত হন। প্যাডে তাঁর পুরো শরীর ঢেকে যেতো ও আট বছর বয়সে ভ্রাতার বল মোকাবেলা করতে হতো!’ ধীরে ধীরে নিজেকে পরিপক্ক করে তুলেন ও ২২ বছর বয়সে ব্যাগি গ্রীন ক্যাপ লাভ করেন।

কোকড়ানো চুল নিয়ে ক্রিজে অবস্থানকালে প্রতিপক্ষের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত হতেন। মানসিক শক্তিমত্তার পাশাপাশি শারীরিক শক্তিমত্তা সহযোগে মাঠের সর্বত্র প্রভাববিস্তার করতেন। সম্মুখের পা ব্যবহারে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতেন। শেফিল্ড শীল্ডে কুইন্সল্যান্ডের নিয়মিত সদস্য থেকে স্লিপ অঞ্চলে দণ্ডায়মান থাকতেন। গালি অঞ্চলে অবস্থান করে চমৎকারভাবে ক্যাচ মুঠোয় পুরতেন। ১০১টি খেলায় অংশ নিয়ে ৫৪.৮৫ গড়ে ৮৮৩১ রান সংগ্রহ করেছেন। সব মিলিয়ে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ৫২.৫৭ গড়ে ২৪৬০৩ রান পেয়েছেন। অভিষেক প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ১৪৯ রান তুলে বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে নিজের আগমন বার্তা তুলে ধরেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে স্মরণীয় অভিষেক ঘটে তাঁর। বিংশতিতম জন্মদিন পালনের দুই দিন পর কুইন্সল্যান্ডের পক্ষে প্রথম খেলেন। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম ইনিংসে ১৩৯ রান তুলেন। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালের শেষদিকে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান একাদশের বিপক্ষে লিস্ট-এ খেলায় প্রথমবারের মতো অংশ নেন। ৪৯ রানে রান-আউটের শিকারে পরিণত হলেও স্বীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।

তাঁর আন্তর্জাতিক জীবন অনেকাংশেই দুই অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ২০০১ সালের পূর্বে ও পরে। ২০০০-০১ মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ সাড়া জাগান। ২০০১ সালে ভারত সফরের পর থেকেই তাঁর খেলার ধারা পাল্টে যায়। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মাঝে-মধ্যে অংশ নিয়ে ১৩ টেস্ট থেকে ২৪.৩৬ গড়ে রান পেয়েছিলেন। এরপর, তিনি আরও ৯০ টেস্টে অংশ নেন ও ৫৪.৬৫ গড়ে রান সংগ্রহ করেন। টেস্টে ৫০.৭৩ গড়ে আট সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেছেন। তবে, ওডিআইয়ের তুলনায় টেস্ট ক্রিকেটেই অধিক সফল ছিলেন। কৌশলগত সীমাবদ্ধতার কারণে সমালোচনার পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন।

একদিনের আন্তর্জাতিকের ক্ষেত্রেও প্রায় একই ধরনের খেলা উপহার দিয়েছিলেন। ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ২৯.৮১ গড়ে রান তুললেও মার্চ, ২০০১ সালের পর থেকে ৪৬.৫১ গড়ে রান পেয়েছেন। ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ২৯ রান তুলে অজিদের চার রানের নাটকীয় জয়ে ভূমিকা রাখেন। পরবর্তী কয়েক বছর দলে ঠাঁই পেতে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হন।

এক বছর পর মার্চ, ১৯৯৪ সালে জোহানেসবার্গে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলার সুযোগ পান। মাত্র ১৫ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৯৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া দল। সব মিলিয়ে ঐ টেস্টে মাত্র ২০ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এক পর্যায়ে দল থেকে বাদ পড়েন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে দলে স্থান পাকাপোক্ত করতে পারেননি।

২০০০-০১ মৌসুমে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে দারুণভাবে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৫৪৯ রান তুলে অস্ট্রেলীয় রেকর্ড গড়েন। ২০০১ সাল শেষে এক পঞ্জিকাবর্ষে বব সিম্পসনের গড়া সর্বাধিক রানের রেকর্ড ভঙ্গ করেন। পরবর্তীতে, রিকি পন্টিং ২০০৩ সালে তাঁর ১৩৯১ রানের সংগ্রহকে ছাপিয়ে যান। জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে সাথে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে সফলতম জুটি গড়েন। তাসত্ত্বেও, সফরকারীরা ২০১ রানের ব্যবধানে সিরিজে পরাজয়বরণ করেছিল। তবে, তাঁর এ সফলতার কারণে অনেকগুলো বছর শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নেন। জাস্টিন ল্যাঙ্গার তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের ইতিহাসের সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।’

এ সফরের পূর্বে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ও শৈশবের কোচ গ্যারির সাথে একত্রে কাজ করেন। ব্রিসবেনের শহরতলীতে ভ্যালিস ক্রিকেট ক্লাবের মাঠে অপ্রস্তুত পীচে অনুশীলন করতেন। সুইপ শটে দক্ষ হয়ে উঠেন ও ভারতীয় স্পিনারদের বিপক্ষে কার্যকর প্রভাব ফেলেন।

২০০১-০২ মৌসুমে নিজ দেশে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৮ নভেম্বর, ২০০১ তারিখে সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ১৩৬ ও ১৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, ব্রেট লি’র প্রাণান্তঃকর অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই মৌসুমে নিজ দেশে শন পোলকের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন। ২ জানুয়ারি, ২০০২ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। চমৎকার ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনে অগ্রসর হন ও ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ৮১ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ১০৫ ও ২১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে সাথে নিয়ে স্বাগতিকদের ১০ উইকেটে জয়লাভে ভূমিকা রাখেন ও তাঁর দল ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সাথে তিনি যৌথভাবে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। এ সিরিজে ৪২৯ রান সংগ্রহ করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পান।

এরপর, একই মৌসুমে ফিরতি সফরে স্টিভ ওয়াহ’র নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০০২ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টে ব্যক্তিগত ৭/০ থাকাকালে মাখায়া এনটিনি’র বলে সেকেন্ড স্লিপ অঞ্চলে দণ্ডায়মান জ্যাক ক্যালিস তাঁকে বিদেয় করতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে, জীবন ফিরে পেয়ে দলের একমাত্র ইনিংসে ১২২ রান সংগ্রহ করে আন্দ্রে নেলের বলে মার্ক বাউচারের গ্লাভসে কট দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরৎ যান। অ্যাডাম গিলক্রিস্টের অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ৩৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

২০০২-০৩ মৌসুমে স্টিভ ওয়াহ’র নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে সংযুক্ত আরব আমিরাত গমন করেন। ১১ অক্টোবর, ২০০২ তারিখে শারজায় অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। দলের একমাত্র ইনিংসে ১১৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ শতকের কল্যাণে খেলাটি পাকিস্তানী দল ইনিংস ও ১৯৮ রানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে অগ্রসর হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

বিশ্বকাপ শেষে অক্টোবর, ২০০৩ সালে পার্থে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পর্বতসম ৩৮০ রানের ইনিংস খেলে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন। এরফলে, ব্রায়ান লারা’র তৎকালীন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৭৫ রানের বিশ্বরেকর্ড ভেঙ্গে যায়। ৪৩৭ বল মোকাবেলা করে এ রান তুলেন। তবে, তাঁর এ রেকর্ড বেশীদিন টিকেনি। ছয় মাসের মধ্যেই ব্রায়ান লারা ৪০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বর্তমান রেকর্ডটি নিজের করে নেন। তাসত্ত্বেও, অদ্যাবধি অস্ট্রেলিয়ার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হিসেবে টিকে রয়েছে। ঐ সময় মাত্র ৫০ খেলায় অংশ নিয়ে ২০টি আন্তর্জাতিক শতরানের সন্ধান পান। ২০০৩ সালে সিডনিতে নববর্ষের টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে প্যাভিলিয়নের জানালা ভেঙ্গে ফেললে জরিমানা প্রদান করতে বাধ্য হন। এছাড়াও, হরভজন সিংয়ের সাথে বাদানুবাদের ঘটনায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হন।

২০০৩-০৪ মৌসুমে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা সফরে যান। ৮ মার্চ, ২০০৪ তারিখে গলেতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ৪১ ও ১৩০ রান সংগ্রহসহ সাতটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। তাঁর অসাধারণ ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ১৯৭ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৪ সালে নিজ দেশে ফিরতি সফরে মারভান আতাপাত্তু’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে দূর্দান্ত খেলেন। ৯ জুলাই, ২০০৪ তারিখে কেয়ার্নসে সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। জোড়া শতক হাঁকান। ১১৭ ও ১৩২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন স্বত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও স্বাগতিকরা সিরিজে বিজয়ী হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান। এছাড়াও, এ সিরিজে ২৮৮ রান সংগ্রহ করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

এ পর্যায়ে মাত্র ৫৫ টেস্ট থেকে ২০টি শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ভারত সফরে হিমশিম খাবার পর ২০০৪-০৫ মৌসুমের এক পর্যায়ে ওডিআইয়ে মাইকেল ক্লার্ক তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। ছন্দহীনতা ও পদচারণায় স্থবিরতা ইংল্যান্ড সফরেও চলমান থাকে। কেবলমাত্র ওভালে ১৩৮ রান তুলতে পেরেছিলেন। এক পর্যায়ে খেলায় ছন্দ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। ডন ব্র্যাডম্যান ও কেন ব্যারিংটনের পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে দুইবার একাধারে চারটি শতক হাঁকান। পঞ্চমবারের মতো পঞ্জিকাবর্ষে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।

২০০৫-০৬ মৌসুমে পাঁচটি শতক হাঁকান। এক বছর পর এমসিজিতে ১৫৩ রান তুলেন। এ পর্যায়ে ডন ব্র্যাডম্যান, রিকি পন্টিং ও ওয়াহ’র পর অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ শতরানকারীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে উপর্যুপরী তিনটি শতরানের ইনিংস খেলে ডন ব্র্যাডম্যানের সর্বোচ্চ শতককে অতিক্রম করেন ও অবসরগ্রহণকালীন ৩০ শতকের অধিকারী হন।

এক পর্যায়ে ওডিআইয়েও ভালো করতে থাকেন। তবে, ২০০৪-০৫ মৌসুমে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ছন্দহীনতায় ভুগলে ওডিআই দল থেকে বাদ পড়েন ও উদীয়মান মাইকেল ক্লার্ককে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়। পুণরায় টেস্ট দলে ফিরে আসেন। স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের টেস্ট শতক ছাঁপিয়ে যান।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দুইবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশ নেন। ২০০৩ ও ২০০৭ সালের শিরোপা বিজয়সহ হ্যাট্রিক শিরোপা বিজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের পূর্বে টেস্ট ও ওডিআইয়ে শীর্ষ তিন বিশ্বসেরা ক্রিকেটারের অন্যতম ছিলেন। বিশ্বকাপের খেলাগুলো থেকে ৫১.৯৪ গড়ে ৯৮৭ রান তুলেন। তন্মধ্যে, ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। ৭৩.২২ গড়ে ও ১০১-এর অধিক স্ট্রাইক রেটে তিন শতক সহযোগে ৬৫৯ রান তুলেন। এমনকি অ্যাশেজ ট্রফিতেও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখেন। নিজ দেশে এ সফলতা পেলেও ইংল্যান্ড সফরে সাধারণমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। পরবর্তীকালে মন্তব্য করেন যে, পায়ের তলায় আঘাত ও অপর পায়ে ভাঙ্গা হাঁড় নিয়ে খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬৬ বলে শতরান হাঁকিয়ে সেন্ট কিটসের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব লাভ করেন। আরও দুইটি শতক হাঁকিয়ে ১৩৬ কেজি মারলিন ও দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ে অংশ নেন।

২০০৬-০৭ মৌসুমে অ্যাশেজ অক্ষুণ্ণ রাখতে ব্যর্থ হন। এছাড়াও, এ সিরিজ শেষে জাস্টিন ল্যাঙ্গার অবসর নিলে বিষাদে ভেঙ্গে পড়েন। তবে, ওডিআই দলে তাঁকে রাখা হয়েছিল। ২০০৬-০৭ মৌসুমের চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজের চূড়ান্ত খেলায় ১৬৬ বল থেকে ১৮১ রান তুলে নতুন অস্ট্রেলীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। এ ইনিংসটিতে দশটি ছক্কার মার ছিল। এক বছর পর সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে দলে ফিরিয়ে আনা হয়। তবে, আইপিএলের প্রশিক্ষণে পেশীতে টান পড়ার কারণে কোন টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি। তাঁর শূন্যতার কারণে ওয়াকায় ১৬ খেলার নিরবিচ্ছিন্ন বিজয়ের পর ভারত দল থামিয়ে দেয়। ২০০৯ সালের অ্যাশেজে অংশগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

২০০৮-০৯ মৌসুমে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দল সিরিজ খোঁয়ায়। এ মৌসুমে কঠিন সময় অতিবাহিত করেন ও এক পর্যায়ে দল থেকে বাদ পড়েন। সিডনি টেস্টের পর ১৩ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে উদীয়মান তরুণ বামহাতি ব্যাটসম্যান ফিল হিউজ দলে ঠাঁই পান। অবসর গ্রহণকালীন ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পান। ১০৩ টেস্টে অংশ নিয়ে ৩০টি শতরানের সহায়তায় ৫০.৭৩ গড়ে ৮৬২৫ রান সংগ্রহ করেন। ওডিআইয়েও একই ভূমিকা রাখেন। ৪৩.৮০ গড়ে ৬১৩৩ রান তুলেন। নয়টি টি২০আইয়ে অংশ নিয়ে প্রায় ১৪৪ স্ট্রাইক রেটে ৫১.৩৩ গড়ে রান তুলেন।

খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে চলে আসার পর বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্রিকেট লীগে অংশ নেন। তাসত্ত্বেও পূর্ণ শক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি ও সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে হলুদ পোষাক নিয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের পক্ষে তিন মৌসুম খেলেন। বেশ কার্যকর ভূমিকা রেখে ২০১০ ও ২০১১ সালের শিরোপা বিজয়ে অংশ নেন। ২০১০ সালের আইপিএলের আসরে দীর্ঘ হাতলের মঙ্গুশ ব্যাট নিয়ে সংবাদ শিরোনামে পরিণত হন। ৩২ ইনিংস থেকে ১৩৭.৫২ স্ট্রাইক রেটে ১১০৭ রান তুলেন। ২০০৯ সালে অরেঞ্জ ক্যাপ নিয়ে ৫৭২ রান পেয়েছিলেন। এরপর, ব্রিসবেন হিটের সদস্যরূপে বিগ ব্যাশ লীগে খেলেন। এক পর্যায়ে আঘাতের কবলে পড়েন ও তাঁকে জাতীয় দলে রাখা হয়নি।

দীর্ঘদিনের উদ্বোধনী সঙ্গী জাস্টিন ল্যাঙ্গার তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরূপে আখ্যায়িত করেন। বেশ কয়েক বছর তাঁরা টেস্টের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় জুটি গড়েছিলেন। সর্বাধিক রানের জুটি হিসেবে তাঁর সর্বকালের তালিকায় চতুর্থ স্থানে অবস্থান করেন। ১২২ ইনিংস থেকে ৫১.৫৩ গড়ে ৬০৮১ রান তুলেন। এ পর্যায়ে চৌদ্দবার শতরানের জুটি দাঁড় করিয়েছিলেন। অপরদিকে, ওডিআইয়ে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সাথে দূর্দান্ত জুটি গড়েন। অবসর গ্রহণের পর ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ও চ্যানেল নাইনে সরব থাকেন।

২০০০ সালে অন্তরঙ্গ বন্ধু অ্যান্ডু সায়মন্ডসহ আরেক বন্ধুকে নিয়ে মাঝ নদীতে মৎস্য শিকার করতে যান। এক পর্যায়ে নৌকা ডুবে যায়। তিন ঘণ্টার অধিক সময় নিয়ে তাঁরা সাঁতার কেটে দ্বীপে পৌঁছে জীবন রক্ষা করেন। ২০০২ সালে শারজায় প্রায় ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তৎকালীন বিশ্বের সেরা দ্রুততম বোলার শোয়েব আখতার তিন ওভার বোলিং শেষে মাঠ ত্যাগ করলে তিনি ধিক্কার দেন। শোয়েব আখতার মাঠে ফিরে আসার সময় তিনি শতরানের দোরগোরায় ছিলেন। তাঁর বলে হেলমেটে বল লাগার পর মাটিতে পড়ে যান ও দাঁড়ানো অবস্থায় শোয়েব আখতার তাঁকে বলেন যে, ‘আমি কি সবটুকু তোমায় দিয়েছি?’

শেন ওয়ার্ন তাঁর ‘শেন ওয়ার্নস সেঞ্চুরি: মাই টপ হান্ড্রেড টেস্ট ক্রিকেটার্সে’ তাঁকে ১৫শ অবস্থানে রাখেন। এতে তিনি ‘হেডোস’ বা ‘ডস’ ডাকনামের পরিবর্তে ‘ন্যাচার বয়’ রাখেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পোর্ট এলিজাবেথে দারুণ খেলেন। জেসন গিলেস্পিকে সাথে নিয়ে সাজঘরে শিকারে যাবার পূর্বে তাঁদের মুখমণ্ডলে যোদ্ধারূপে রঙ লাগান।

২০১২ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। শেন ওয়ার্ন ও শচীন তেন্ডুলকরের পরিচালনায় ক্রিকেট অল-স্টার্সের সাথে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি টি২০ খেলায় অংশ নিতে নভেম্বর, ২০১৫ সালে শচীন তেন্ডুলকরের ব্ল্যাস্টার্সের পক্ষে খেলতে রাজী হন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। কেলি হেইডেন নাম্নী এক রমণীকে বিয়ে করেন। এ দম্পতির গ্রেস নাম্নী এক কন্যা এবং জশুয়া ও টমাস জোসেফ নামীয় দুই পুত্র রয়েছেন। খেলোয়াড়ী জীবনে তাঁর পত্নীর উপস্থিতি পুণর্জীবন ঘটায়। ২০০৫ সালের অ্যাশেজ সফরে ওভাল টেস্টের পূর্বে জন বুকাননের সাথে ঘরোয়া বৈঠকে সর্বশেষ টেস্ট খেলার কথা জানেন। ভোর ৫:৩০ ঘটিকায় কেলি ও কনিষ্ঠ সন্তান জশুয়ার উপস্থিতি ঘটে। সফরের শুরুতেই তাঁর সাথে কেলি ছিলেন কিন্তু চতুর্থ টেস্ট শেষে দেশে ফিরে যান। তবে, আকস্মিকভাবেই পুণরায় যোগ দেন। ওভালে তিনি ১৩৮ রান তুলে টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের পুণর্জীবন ঘটান। এরপর থেকে ক্রমাগত চার টেস্টে শতক হাঁকান ও আরও চার বছর খেলেন।

রান্নাকর্মে বেশ দক্ষ তিনি। রন্ধনপ্রণালী নিয়ে দুইটি গ্রন্থ রচনা করেন। ২০০৪ সালে ‘ম্যাথু হেইডেন কুকবুক’ ও ২০০৬ সালে ‘ম্যাথু হেইডেন কুকবুক২’ প্রকাশ করেন। শৈশবকাল থেকে ধর্মভীরু ক্যাথলিকরূপে পরিচিতি পান। খেলোয়াড়ী জীবনে শতক হাঁকানোর পর ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতেন।

অনেকগুলো মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২০০২ সালে অ্যালান বর্ডার পুরস্কারসহ বর্ষসেরা টেস্ট খেলোয়াড় হন। ২০০৩ সালে উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার ও ২০৭ সালে আইসিসি ওডিআই বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ওডিআই খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে মেম্বার অব দি অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া পদবীতে ভূষিত হন। নভেম্বর, ২০১৪ সালে কুইন্সল্যান্ড হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন।

অবসর গ্রহণের পর অনেকগুলো দাতব্য কর্মের সাথে জড়িয়ে আছেন। এছাড়াও, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ও টেলিভিশনে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্বে রয়েছেন। ভারতের নদীয়ায় তরুণ খেলোয়াড়দের প্রতি সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছেন। পেশাদার বক্তা হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর।

Similar Posts

  • |

    দানিশ কানেরিয়া

    ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৮০ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। লেগ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাকিস্তানের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্পিনার ছিলেন। শারীরিক গড়নের কারণে চমৎকার বাউন্স করতে পারতেন। বলকে তেমন শূন্যে না ভাসালেও উল্লেখযোগ্যভাবে বলকে বাঁক খাওয়াতে পারতেন। তবে,…

  • |

    নাথান লায়ন

    ২০ নভেম্বর, ১৯৮৭ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ইয়ং এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘গোট’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছেন। স্টিভেন লায়ন ও ব্রোনিন লায়ন দম্পতির সন্তান। ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮১ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। শুরুতে অ্যাডিলেড ওভালের…

  • | |

    শিবনারায়ণ চন্দরপল

    ১৬ আগস্ট, ১৯৭৪ তারিখে গায়ানার ইউনিটি ভিলেজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯১-৯২ মৌসুম থেকে ২০১৮ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর…

  • | |

    গ্রেগ ম্যাথুজ

    ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের নিউক্যাসল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। কিশোর বয়সে রাগবি খেলায় মনোনিবেশ ঘটালেও পরবর্তীতে ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকে পড়েন। শুরুতে অফ-স্পিনার ও অসাধারণ ফিল্ডার হিসেবে খেলায় প্রভাব ফেলতেন। তবে, উচ্চ…

  • | | |

    ফারুক ইঞ্জিনিয়ার

    ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৮ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, রেফারি ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। উইকেট-রক্ষণের পাশাপাশি ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। দীর্ঘকায় ও মজবুত গড়নের অধিকারী তিনি। পাশাপাশি আগ্রাসী ব্যাটসম্যান ছিলেন এবং ক্ষীপ্রগতিতে উইকেট-রক্ষণে এগিয়ে আসতেন। ভারতের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে…

  • | | |

    ডেভিড গাওয়ার

    ১ এপ্রিল, ১৯৫৭ তারিখে কেন্টের টানব্রিজ ওয়েলসে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘স্টোট’, ‘লুবো’ কিংবা ‘লু’ ডাকনামে পরিচিত ডেভিড গাওয়ার ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। ক্যান্টারবারির কিংস স্কুলে অধ্যয়ন করেন। অতঃপর, লন্ডনভিত্তিক ইউনিভার্সিটি…