|

মনোজ প্রভাকর

১৫ এপ্রিল, ১৯৬৩ তারিখে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। দলে মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

১৯৮২-৮৩ মৌসুম থেকে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে দিল্লি ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহামের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

১৯৮৪ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এক দশকের অধিক সময় ধরে বিশ্বস্ত অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। বিশেষতঃ ১৯৯০-এর দশকের প্রথমার্ধ্বে অসাধারণ অবদান রেখেছিলেন। এরফলে ভারত দলে ভারসাম্যের সৃষ্টি হয়। ভারতের অন্যতম গতিসম্পন্ন ডানহাতি সিমার হিসেবে রিভার্স সুইং করতে পারতেন। এছাড়াও, নতুন বল নিয়ে উভয় দিক দিয়ে বল করতেন। নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিং করতেন। এক পর্যায়ে শীর্ষসারিতে ব্যাটিং করার সুযোগ পান। তিনি এ সুযোগ গ্রহণ করেন ও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবেও খেলেছেন।

১৯৮৪ থেকে ১৯৯৬ সময়কালে ভারতের পক্ষে সর্বমোট ৩৯ টেস্ট ও ১৩০টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এপ্রিল, ১৯৮৪ সালে শারজায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের সদস্যরূপে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। খেলায় তিনি ১০-৩-১৬-২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করিয়েছিলেন। নিখুঁত নিশানা বরাবর বল ফেলে অধিনায়কের আক্রমণাত্মক খেলার চেয়ে রান নিয়ন্ত্রণের দিকেই অধিক দৃষ্টি দিতেন।

১৯৮৭ সালে বোম্বেতে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪/১৯ পান। ঐ সময়ে এটিই তাঁর সেরা বোলিং ছিল। পরবর্তীতে, ১৯৯৫ সালে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ-উইকেট নিয়ে ব্যক্তিগত সেরা ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছিলেন।

১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে নিজ দেশে ডেভিড গাওয়ারের নেতৃত্বাধীন সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত হন। ১২ ডিসেম্বর, ১৯৮৪ তারিখে নিজ শহরের ফিরোজ শাহ কোটলায় অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ২৫ ও ৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৬৮ ও ০/১৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। সফরকারীরা ৮ উইকেটে জয়লাভ করে ও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় এগুতে থাকে।

এরপর দল থেকে বাদ পড়েন। পরবর্তীতে, ১৯৮৯ সালে দলের সাথে পাকিস্তান যান ও সেখানে টেস্ট দলে পুণরায় তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়। লোয়ারহাউজ ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে ১৯৯১ সময়কালে খেলেছিলেন।

১৯৯২-৯৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন অন্যতম ভারতীয় দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। মার্চ, ১৯৭০ সালের পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এটি প্রথম টেস্ট খেলা ছিল। ১৩ নভেম্বর, ১৯৯২ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ২/৪৭ ও ০/৪৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। প্রবীণ আম্রে’র অসাধারণ শতকে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই সফরের ২ জানুয়ারি, ১৯৯৩ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৬২ ও ৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ১/৪৮ ও ০/১৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। জবাগল শ্রীনাথের অসাধারণ বোলিংশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা সফরে যান। এ সিরিজে অপূর্ব খেলেন। ২৭ জুলাই, ১৯৯৩ তারিখে কলম্বোর এসএসসিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনে অগ্রসর হন। ৩/৪৩ ও ৩/৪৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৯৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে খেলায় স্বাগতিক দল ২৩৫ রানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। সফরকারীদের এ জয়টি গত ২৭ টেস্টে বিদেশের মাটিতে প্রথম জয় ছিল। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

একই সফরের ৪ আগস্ট, ১৯৯৩ তারিখে কলম্বোর পিএসএসে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। উভয় ইনিংসে ২/৫৯ করে বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ৫৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। চমৎকার অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর স্বাক্ষর রাখেন। ১৫৪ রান সংগ্রহসহ ১২ উইকেট লাভ করে অরবিন্দ ডি সিলভা’র সাথে যৌথভাবে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে নিজ দেশে লি জার্মনের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১৮ অক্টোবর, ১৯৯৫ তারিখে ব্যাঙ্গালোরে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৪ ও ৪৩ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/১৫ ও ২/২৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ঐ টেস্টে তাঁর দল ৮ উইকেটে পরাজয়বরণ করলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

একই সফরের ৮ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ তারিখে কটকে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলাটিতে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ২২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/১০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

টেস্টগুলো থেকে এক শতক সহযোগে ৩২.৬৫ গড়ে ১৬০০ রান তুলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৩৭.৩০ গড়ে ৯৬ উইকেট পেয়েছেন। তন্মধ্যে, তিনবার পাঁচ-উইকেট লাভ করেছেন।

১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় লীগ পর্বে অনেকটা জোর করে মিডিয়াম-পেস বোলিং থেকে অফ-স্পিন বোলিং করতে বাধ্য হয়েছিলেন। দিল্লির নিজ শহরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শচীন তেন্ডুলকরের বলপ্রতি মনোরম ১৩৭ রানের ইনিংসের বদৌলতে ভারত দল ২৭১/৩ করলে সনথ জয়সুরিয়া দর্শকদের উচ্ছ্বাস থামিয়ে দেন। তাঁর উপর একচোট নেন ও ক্রমাগত বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন। সাত ওভারেই তারা ৭১ রান তুলে নেয়। তন্মধ্যে, প্রথম দুই ওভারেই দেন ৩৩ রান। তবে বোলারের ঘাটতি থাকায় অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন পুণরায় তাঁকে বোলিং করার আমন্ত্রণ জানান। এবার তিনি অফ-স্পিন বোলিং করে তুলনামূলকভাবে ভালো করেন ও দুই ওভারে ১৪ রান দেন। চার ওভার বোলিং করে ০/৪৭ পান। এরফলে নিজ মাঠে ধিক্কার পান। তাসত্ত্বেও, সনথ জয়সুরিয়াকে কট আউটে ৭৯ রানে বিদেয় করেন। তবে, শ্রীলঙ্কা দল খুব সহজেই ছয় উইকেটে জয় তুলে নেয়। ১৯৯৬ সালে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন।

ওডিআইগুলো থেকে ১৫৭ উইকেট দখল করেন। ওভারপ্রতি ৪.২৭ রান খরচ করেছেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে দুই বছরের ব্যবধানে এগারোটি অর্ধ-শতক হাঁকিয়েছিলেন। এছাড়াও, দুইটি শতরানের ইনিংস রয়েছে তাঁর।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত।

Similar Posts

  • | | |

    আসিফ ইকবাল

    ৬ জুন, ১৯৪৩ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও রেফারি। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়েও পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্রিকেটপ্রেমী পরিবারের সন্তান। তাঁর কয়েকজন চাচা উচ্চ স্তরের ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ভারতীয় অধিনায়ক ও অফ-স্পিনার গুলাম আহমেদের ভ্রাতৃষ্পুত্র তিনি। যৌথ পরিবারে বড় হন।…

  • |

    ক্লড ফ্লোকেট

    ৩ নভেম্বর, ১৮৮৪ তারিখে কেপ কলোনির আলীওয়াল নর্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯১০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিতেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯০৪-০৫ মৌসুম থেকে ১৯১০-১১ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত…

  • | | |

    নামি ডিন

    ২১ জুলাই, ১৮৯৫ তারিখে জুলুল্যান্ডের এশোই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ও কার্যকর বোলিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, দক্ষ ফিল্ডার হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছিলেন। পয়েন্ট, সিলি-পয়েন্ট, মিড-অন ও শর্ট-লেগের ন্যায় কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করতেন। আকর্ষণীয় ধাঁচে ব্যাটিং করতেন। উইকেটে…

  • | |

    হিউ ম্যাসি

    ১১ এপ্রিল, ১৮৫৪ তারিখে ভিক্টোরিয়ার বেলফাস্টের কাছাকাছি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৮৮০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করতেন। ১৮৭৭-৭৮ মৌসুম থেকে ১৮৯৫ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ১৮৮১…

  • | |

    মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন

    ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৩ তারিখে অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারত দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন ও অন-সাইডে দৃষ্টিনন্দন কব্জীর মোচড়ে রান সংগ্রহে তৎপরতা চালাতেন। অসাধারণ ফিল্ডিং ও নেতৃত্বের গুণাবলী তাঁর…

  • |

    পিটার স্মিথ

    ৩০ অক্টোবর, ১৯০৮ তারিখে সাফোকের ইপ্সউইচ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকরী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৪০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯২৯ থেকে ১৯৫১ সময়কালে বর্ণাঢ্যময় খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। আগস্ট, ১৯৩৩ সালে দলীয়…