| |

লাহিরু থিরিমানে

৯ আগস্ট, ১৯৮৯ তারিখে মোরাতুয়ায় জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। বামহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শী। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।

৫ ফুট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। মোরাতুয়াভিত্তিক প্রিন্স অব ওয়েলস কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। খাঁটিমানসম্পন্ন ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর সুনাম রয়েছে। ব্যাট হাতে কৌশলগতভাবে পরিচিতি পেয়েছেন। উদ্বেগবিহীন অবস্থায় ধ্রুপদীশৈলীর কভার ড্রাইভে বলকে সীমানার বাইরে ফেলতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। শরীরকে কিছুটা বাঁকিয়ে রাখেন যা অনেকাংশেই ক্যামেরায় ছবি ধারনের বিরাট উপযোগী। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে সফলভাবে খেলা শেষ করতে সক্ষম ছিলেন।

একদিনের আন্তর্জাতিকে মাঝারিসারিতে দর্শনীয় ব্যাটিং করতেন। সচরাচর, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের সাথে জুটি গড়ে নিজেকে স্মরণীয় করে রাখেন ও দলের সঙ্কটে সবিশেষ ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অগ্রসর হতেন। ওডিআইয়ে শ্রীলঙ্কার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। অফূরন্ত সম্ভাবনার প্রতীক হিসেবে চিত্রিত হন। প্রত্যেককেই বিমোহিত করেছেন ও কোচ কর্তৃক ভবিষ্যতের খেলোয়াড় হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

বিদ্যালয় জীবনে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। কিশোর বয়সেই তাঁর মাঝে ক্রীড়া প্রতিভা ও প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর লক্ষ্য করা যায়। অনূর্ধ্ব-১১ দলের পক্ষে ক্রিকেট খেলেছেন। পরবর্তীতে, অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষেও খেলেছেন তিনি। ২০০৮ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন।

২০০৮-০৯ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে বাসনাহিরা সাউথ ও রাগামা ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, কন্দুরাতা ম্যারুন্স ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেছেন। ১৪ নভেম্বর, ২০০৮ তারিখে কলম্বোর পিএসএসে অনুষ্ঠিত তামিল ইউনিয়ন ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব বনাম রাগামা ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। ব্যাট হাতে স্বীয় যোগ্যতার প্রদর্শন করেন। দলের শীর্ষস্থানীয় রান সংগ্রাহক ছিলেন ও প্রথম মৌসুমেই প্রায় ৬০ গড়ে রান পেয়েছিলেন। এরফলে, জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টিগোচরীভূত হয়। ২০০৯-১০ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০১০ সাল থেকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ঐ বছর স্বাগতিক বাংলাদেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় সিরিজে অংশ নেন। ৫ জানুয়ারি, ২০১০ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ভারতের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। খেলায় ২২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ২০১০ সালের শুরুতে তিন খেলায় অংশ নেন। পরবর্তী দুই বছর মাঝে-মধ্যে অংশ নিতেন। ২০১২ সালে পরবর্তী ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার সুযোগ পান। এরপর থেকে জাতীয় দলে নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন।

২০১১ সালে কুমার সাঙ্গাকারা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৬ জুন, ২০১১ তারিখে সাউদাম্পটনে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টের পূর্বে তিলকরত্নে দিলশানকে বাদ দেয়ার ফলে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সদস্যরূপে অভিষেক হয়। ঐ খেলায় যথোচিত ভূমিকা পালন করে অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলে দলকে রক্ষা করেন। ক্রিস ট্রেমলেটের অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।

প্রথমদিকের টেস্টগুলোয় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেললেও তেমন সুবিধে করতে পারেননি। মাঝে-মধ্যে হঠাৎ আলোর ঝলকানীর ন্যায় আগমন করলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তবে, ব্যাপক অর্থেই ছন্দহীনতায় ছিলেন। এক বছর পর ১ জুন, ২০১২ তারিখে সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০আইয়ে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। ঐ খেলায় ৩০ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।

পরিচ্ছন্ন মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন রাগামার পক্ষে শুরু করেন। ২০১০ মৌসুমে আট খেলায় অংশ নিয়ে ৭০৯ রান তুলেছিলেন। ফলশ্রুতিতে, জানুয়ারি, ২০১০ সালে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার সুযোগ পান। পরবর্তীতে, শ্রীলঙ্কার অন্যতম ব্যাটিং চালিকাশক্তিতে পরিণত হন।

২০১২-১৩ মৌসুমে নিজ দেশে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের মুখোমুখি হন। ৮ মার্চ, ২০১৩ তারিখে গলেতে অনুষ্ঠিত সফররত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ১৫৫* ও ২* রানের ইনিংস খেলেন। তবে, প্রতিপক্ষীয় অধিনায়কের অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

২০১৩ সালে অ্যাডিলেড ওভালে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেয়ার ৩৬ ঘণ্টা পূর্বে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেন। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে সিডনিতে নববর্ষের টেস্টের প্রথম দিনে ৯১ রানের ইনিংস খেলে দলকে সম্মানজনক সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান। দশ দিন পর অ্যাডিলেডে নিজস্ব প্রথম শতক হাঁকিয়ে ওডিআইয়ে শ্রীলঙ্কাকে জয় এনে দেন। এরপর, বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে নিজস্ব প্রথম শতরানের ইনিংস খেলেন।

২০১৪ সালের এশিয়া কাপে ব্যাট হাতে দূর্দান্ত খেলেন। অবশেষে নিজেকে বয়সের চেয়েও এগিয়ে রেখেছিলেন। পাঁচ খেলায় অংশ নিয়ে ৫৫.৮০ গড়ে ২৭৯ রান তুলে ব্যাটিংয়ের শীর্ষে অবস্থান করেছিলেন। শীর্ষসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের শিরোপা বিজয়ে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন। এ বছর দুইটি শতক ও চারটি অর্ধ-শতরান সংগ্রহ করেছিলেন।

২০১৪ সালের এশিয়ান গেমসে শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। চূড়ান্ত খেলায় আফগানিস্তানকে পরাভূত করে স্বর্ণপদক পায়। নিয়মিত অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের আঘাতের কারণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন-ওডিআই নিয়ে গড়া সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেন। তবে, অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের শুরুটা ভালো হয়নি। ১০৮ রানে পরাভূত হয় শ্রীলঙ্কা দল। ঐ খেলায় অবশ্য তিনি বল হাতে নিয়ে দুই উইকেট লাভ করেছিলেন।

তাঁর ব্যাটিং কৌশল অনেকাংশেই কুমার সাঙ্গাকারা’র অনুরূপ ছিল। কিন্তু, ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেননি ও এক পর্যায়ে দল থেকে তাঁকে বাদ দেয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালে দুইটি খেলায় অংশ নেয়ার পর সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সালে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যে টেস্ট দলে ফেরানো হয়। টেস্টে অংশ না নিলেও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন। তিন খেলার দুইটিতে অর্ধ-শতক হাঁকান।

পাকিস্তানের বিপক্ষেও দারুণ সিরিজ খেলেন। সীমিত-ওভারের ক্রিকেটে নিয়মিত খেললেও দীর্ঘ সংস্করণের খেলায় ফিরে আসেন। কুমার সাঙ্গাকারাকে সাথে নিয়ে ওডিআইয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ২১২ রান তুলে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন।

২০২০-২১ মৌসুমে নিজ দেশে জো রুটের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে গলেতে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ১৭ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে খেলার চতুর্থ দিন নিজস্ব দ্বিতীয় শতরানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও, প্রথম ইনিংসে ৪ রান সংগ্রহসহ খেলায় একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, প্রতিপক্ষীয় দলনেতার অনবদ্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৭ উইকেটে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে কোচ মিকি আর্থারের সাথে তাঁরও কোভিড-১৯ বৈশ্বিক অতিমারীতে নেতিবাচক ফলাফল আসে। একই বছর নিজ দেশে মমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের মুখোমুখি হন। ২৯ এপ্রিল, ২০২১ তারিখে পাল্লেকেলেতে অনুষ্ঠিত সফররত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ১৪০ ও ২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তন্মধ্যে, প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে’র (১১৮) সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ২০৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, অভিষেকধারী প্রবীণ জয়াবিক্রমের বোলিং সাফল্যে শ্রীলঙ্কা দল ২০৯ রানে জয়লাভ করলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।

Similar Posts

  • | |

    বেঙ্কটেশ প্রসাদ

    ৫ আগস্ট, ১৯৬৯ তারিখে কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ২০০৩-০৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটক দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ভারতের জ্যেষ্ঠ দলীয়…

  • | |

    আল্ফ গোভার

    ২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৮ তারিখে সারের এপসোমের উডকোট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯২৮ সালে ভবিষ্যতের শ্বশুর বিল ব্রুক অপর দুই সারে ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার অ্যান্ডি স্যান্ডহাম এবং হার্বার্ট স্ট্রাডউইকের কাছ থেকে আর্থিক…

  • |

    টনি ডি জর্জি

    ২৮ আগস্ট, ১৯৯৭ তারিখে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। বামহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে টেস্ট ও ওডিআইয়ে অংশ নিচ্ছেন। সপ্তম রাজা এডওয়ার্ড থেকে পড়াশুনো করেছেন। ২০১৬-১৭ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, লায়ন্স ক্লাবের পক্ষে…

  • |

    হার্দিক পাণ্ড্য

    ১১ অক্টোবর, ১৯৯৩ তারিখে গুজরাতের চৌরিয়াশি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে সবিশেষ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৬ ফুট ১ ইঞ্চি (১.৮৫ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। হিমাংশু পাণ্ড্য ও মালিনী পাণ্ড্য দম্পতির সন্তান। জন্মের পর থেকেই দারিদ্র্যতার…

  • | |

    শুজাউদ্দীন

    ১০ এপ্রিল, ১৯৩০ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম থেকে ১৯৬৯-৭০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে নর্দার্ন পাঞ্জাব, সার্ভিসেস, বাহাওয়ালপুর,…

  • | |

    উইয়ান মুল্ডার

    ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ তারিখে গটেংয়ে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা প্রদর্শন করে চলছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘উইয়ান’ ডাকনামে পরিচিত। সেন্ট স্টিথিয়ান্সে অধ্যয়ন করেছেন। কলেজে অধ্যয়নকালে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। কিশোর অবস্থায় যুবদের ক্রিকেটে অংশ…