|

কেএল রাহুল

১৮ এপ্রিল, ১৯৯২ তারিখে কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। ২০১০-১১ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটক ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ব্যাঙ্গালোর ব্রিগেডিয়ার্স, কিংস ইলাভেন পাঞ্জাব, লখনউ সুপার জায়ান্টস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের পক্ষে খেলেছেন।

জলে থাকা মৎস্যের ন্যায় ক্রিকেট খেলতেন। কলেজে অধ্যয়নকালীন ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। অধ্যাপক পিতা কেএন লোকেশ ও মাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিষয়ের অধ্যাপক রাজেশ্বরী দম্পতির সন্তান। ভাবনা নাম্নী ভগ্নী রয়েছে। ক্রিকেটের দিকেই তাঁর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা দেখতে পান। তাঁর পরিবারও তাঁকে উৎসাহ দিতে থাকেন ও কাউকে নিরাশ করেননি। কঠোর পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে তাঁকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে রাখা হয়। সেখান থেকে রঞ্জী ট্রফিতে কর্ণাটকের প্রতিনিধিত্ব করতে থাকেন। ২০১০-১১ মৌসুমে এ সাফল্য পান। তবে, তাঁর স্বপ্ন সত্যে পরিণত হয়নি। কয়েক বছর পর তাঁকে দলের বাইরে রাখা হয়। দলে ফিরে কর্ণাটকের ট্রফি লাভে ভূমিকা রাখেন। এপর্যায়ে দলের অন্যতম শীর্ষ রান সংগ্রাহকে পরিণত হয়েছিলেন।

ঘরোয়া আসরের ক্রিকেটে চমৎকার ফলাফল করেন। দিলীপ ট্রফিতে দক্ষিণাঞ্চলের সদস্যরূপে সেন্ট্রালের বিপক্ষে দুই শতক হাঁকান। অতঃপর ভারতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন। দীর্ঘ সংস্করণে তাঁর কৌশল গ্রহণের কারণে দল নির্বাচকমণ্ডলী তাঁকে অস্ট্রেলিয়া সফরের লক্ষ্য ভারত দলে অন্তর্ভুক্ত করে। ২০১৪ সালের ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্বি-শতরানের ইনিংস খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ দলে ঠাঁই পান।

২০১৪ সাল থেকে ভারতের পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ভারতের পক্ষে তিন ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই শতরান করেছেন। ২০১৪-১৫ মৌসুমে এমএস ধোনি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এমএস ধোনি’র সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন। সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ব্যাট হাতে নিয়ে ৩ ও ১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ঐ টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হয় ও স্বাগতিকরা চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

বক্সিং ডে টেস্টে ব্যর্থতার পরিচয় দেন। তাসত্ত্বেও দলীয় ব্যবস্থাপনা পরিষদ তাঁর উপর আস্থা রাখেন। সিডনি টেস্টে অংশ নেন। ২৬২ বল মোকাবেলা করার পাশাপাশি নিজস্ব প্রথম শতরানের ইনিংস খেলেন। ২৩ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এ শতকের সন্ধান পান।

একই বছরে শ্রীলঙ্কা সফরে যান। কলম্বোয় আরও একটি শতক হাঁকান। ২০১৫ সালে বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে খেলতে যান। ২০ আগস্ট, ২০১৫ তারিখ থেকে শুরু হওয়া কলম্বোর পিএসএসে কুমার সাঙ্গাকারা’র সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন। প্রথম ইনিংসে ১০৮ রান তুললেও দ্বিতীয় ইনিংসে ২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তন্মধ্যে, একটি ক্যাচ ঋদ্ধিমান সাহা’র অনুপস্থিতিতে গ্লাভস হাতে তালুবন্দী করেন। তাঁর অনবদ্য ব্যাটিংশৈলীতে সফরকারীরা ২৭৮ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুর দিনগুলোয় তিনি বেশ প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখলেও ধারাবাহিকতা রক্ষার অভাবে তাঁকে এগুতে দেয়নি। পরের বছরই সৌভাগ্যের সন্ধান পান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৯ রান তুলেন। এরপর একাধারে ৬০ ও ৭০ রানের কোটায় পৌঁছায়। তবে, ইনিংসকে বড় করার অভাব লক্ষ্য করা যায়।

২০১৬-১৭ মৌসুমে নিজ দেশে প্রথমবারের মতো টেস্টে অংশ নেন। কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে কানপুরে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। প্রথম ইনিংসে ৮ রানে পৌঁছানোকালে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৩২ ও ৩৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। রবীন্দ্র জাদেজা’র অসামান্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১৯৭ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

২০১৭-১৮ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। ১৩ জানুয়ারি, ২০১৮ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১০ ও ৪ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। লুঙ্গি এনগিডি’র অসাধারণ বোলিং সাফল্যে সফরকারীরা ১৩৫ রানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।

ওডিআই খেলোয়াড়ী জীবনেও শুরুরদিকের প্রতিশ্রুতিশীলতা ধরে রাখতে দেখা যায়নি। টি২০আইয়ে অন্যান্য সংস্করণের খেলার তুলনায় শ্রেয়তর ছিল। প্রথম ১৯ খেলায় জাতীয় দলের পক্ষে খেলে ২টি শতরান সহযোগে ৪৯.৭১ গড়ে রান তুলেছেন। ঐ সময়ে যে-কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের তুলনায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল।

ভারতীয় ক্রিকেটে বেশ কয়েকটি দলের সাথে খেলেছেন। অনেকগুলো রান তুললেও দলের বিজয়ে তাঁকে দেখা যায়নি। কয়েক মৌসুমে ব্যাঙ্গালোরভিত্তিক বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দলে খেলার পর পাঞ্জাবভিত্তিক দলে ২০১৮ সালে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। ঐ বছরে প্রতিযোগিতার দ্রুততম অর্ধ-শতক হাঁকান।

যুক্তরাজ্যে টি২০আই দলে খেলে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে সচেষ্ট হন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১০১ রানের মনোমুগ্ধকর ইনিংস খেলেন। তাঁর স্ট্রোক খেলা দর্শকদের মনোরঞ্জন দিতে থাকে। ২০২০ সালে পাঞ্জাবের বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দলের অধিনায়ক হিসেবে তাঁকে মনোনীত করা হয়।

২০২১-২২ মৌসুমে বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। চমৎকার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। খেলায় তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে ১২৩ ও ২৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর দূর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে সফরকারীরা ১১৩ রানে পরাভূত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০২৩-২৪ মৌসুমে নিজ দেশে বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। ৮৬ ও ২২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, অলি পোপের ব্যাটিং নৈপুণ্যে সফরকারীরা ২৮ জয়লাভ করে ও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

২০২৫ সালে শুভমান গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরে যান। ৩১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ১৪ ও ৭ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, মোহাম্মদ সিরাজের অপূর্ব বোলিং কৃতিত্বের কারণে স্বাগতিকরা নাটকীয়ভাবে ৬ রানে পরাভূত হলে সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে শেষ হয়।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের উইজডেন ইন্ডিয়া অ্যালমেনাকের ষষ্ঠ সংস্করণে তাঁকে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা দেয়া হয়।

Similar Posts

  • | |

    বার্নার্ড জুলিয়ান

    ১৩ মার্চ, ১৯৫০ তারিখে ত্রিনিদাদের কেয়ারনাগে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে সবিশেষ দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। ১৯৭০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। সকল গুণে গুণান্বিত ছিলেন। আগ্রাসী ব্যাটিং, প্রাণবন্তঃ বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের সর্বক্ষেত্রে একাধিপত্য বজায়ে সচেষ্ট ছিলেন। এরফলে, দর্শকদের প্রিয় তারকায় পরিণত…

  • | |

    ম্যালকম মার্শাল

    ১৮ এপ্রিল, ১৯৫৮ তারিখে বার্বাডোসের ব্রিজটাউনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এক কথায় ১৯৮০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনেক অবিস্মরণীয় ফাস্ট বোলারদের মধ্যে সর্বকালের সেরাদের কাতারে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন। অগ্নিময়…

  • | |

    ফ্রাঙ্ক ওরেল

    ১ আগস্ট, ১৯২৪ তারিখে বার্বাডোসের ব্যাংক হল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও সাংবাদিক ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম কিংবা বামহাতে স্লো বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঝারিসারিতে তিনজন অসাধারণ ব্যাটসম্যানের অন্যতম ছিলেন। যেখানে ক্লাইড ওয়ালকট ও এভারটন উইকস শক্তিপ্রয়োগে খেলতেন;…

  • | |

    টাটেন্ডা তাইবু

    ২৪ মে, ১৯৮৩ তারিখে হারারেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। উইকেট-রক্ষণের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, জিম্বাবুয়ে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি (১.৬৫ মিটার) উচ্চতার বাঁধা ডিঙ্গানো ‘টিবলি’ ডাকনামে পরিচিত টাটেন্ডা তাইবু হাল্কা-পাতলা…

  • |

    ওয়াজির মোহাম্মদ

    ২২ ডিসেম্বর, ১৯২৯ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের গুজরাতের জুনাগড় এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৪৯-৫০ মৌসুম থেকে ১৯৬৩-৬৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে বাহাওয়ালপুর ও করাচীর…

  • |

    নাদিম খান

    ১০ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ তারিখে পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। পাশাপাশি ডানহাতে নিচেসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। ১৯৯০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম থেকে ২০০২-০৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে করাচী, পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংক,…