২৬ অক্টোবর, ১৯৬৫ তারিখে ওতাগোর ডুনেডিনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও কোচ। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৮২-৮৩ মৌসুম থেকে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওতাগো এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গটেংয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তন্মধ্যে, গটেং দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৮৫ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে সর্বমোট ৫৬ টেস্ট ও ১২১টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। তন্মধ্যে, ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে জিওফ হাওয়ার্থের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান। ২৭ মার্চ, ১৯৮৫ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওডিআইয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনের সূত্রপাত ঘটান।

একদিন পর ২৯ মার্চ, ১৯৮৫ তারিখে একই মাঠে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। কোর্টনি ওয়ালশ, টনি গ্রে, রজার হার্পার ও কার্ল হুপারের ন্যায় বোলারদের নিয়ে গড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এরফলে, কুইন্স পার্ক ওভালে অনুষ্ঠিত টেস্টে খেলার জন্যে মনোনীত হয়েছিলেন। তবে, অভিষেক পর্বটি মোটেই সুবিধের হয়নি। উভয় ইনিংসে জোড়া শূন্যের সন্ধান পান। ২০ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করে আট বল মোকাবেলান্তে ম্যালকম মার্শালের বলে শূন্য রানে বিদেয় নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে কোন বল মোকাবেলা ছাড়াই শূন্য রানে রান-আউটের শিকার হন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হন। টেস্টটি অবশ্য ড্রয়ে পরিণত হলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে নিজ দেশে প্রথমবারের মতো টেস্টে অংশ নেন। ঐ মৌসুমে অ্যালান বর্ডারের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৬৫ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৮৬ সালে জেরেমি কোনি’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড গমন করেন। ২৪ জুলাই, ১৯৮৬ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ০ ও ২৪* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, গ্রাহাম গুচের অসামান্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট খেলেন। এ মৌসুমে জেফ ক্রো’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। ৪ ডিসেম্বর, ১৯৮৭ তারিখে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ০ ও ২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হন। ডেভিড বুনের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে নিজ দেশে মাইক গ্যাটিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ৩ মার্চ, ১৯৮৮ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৬৫ রান অতিক্রম করেন। এ পর্যায়ে টেস্টে নিজস্ব প্রথম শতক হাঁকান। বৃষ্টিবিঘ্নিত ঐ খেলায় একবার মাঠে নেমে ১০৭* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ০/১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় শেষ হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

একই মৌসুমে জন রাইটের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সাথে প্রথমবারের মতো ভারত সফরে যান। ১২ নভেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে ব্যাঙ্গালোরে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১৪ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেছিলেন। ১৭২ রানে জয় পেলে স্বাগতিকরা তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

১৯৯০ সালে জন রাইটের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের অন্যতম সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ৫ জুলাই, ১৯৯০ তারিখে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে যুক্ত রাখেন। প্রথম ইনিংসে ২৩ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ২৯ ও ১৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ডেভন ম্যালকমের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ১১৪ রানে পরাজিত হলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

১৯৯০-৯১ মৌসুমে মার্টিন ক্রো’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সাথে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সফরে যান। ১০ অক্টোবর, ১৯৯০ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ৭৯ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। শোয়েব মোহাম্মদের অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ৪৩ রানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

১৯৯২-৯৩ মৌসুমে মার্টিন ক্রো’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ে সফরে যান। ১ নভেম্বর, ১৯৯২ তারিখে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৭* ও ১১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। স্মর্তব্য যে, জিম্বাবুয়ে-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে এটিই ক্রিকেটের ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্ট ছিল।

একই সফরের ৭ নভেম্বর, ১৯৯২ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ রানে পৌঁছানোকালে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৭৪ ও ৮৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। স্বাগতিকরা ১৭৭ রানে পরাজিত হলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

একই মৌসুমে মার্টিন ক্রো’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের অন্যতম সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা সফরে যান। ২৭ নভেম্বর, ১৯৯২ তারিখে মোরাতুয়ায় অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ১০৫ ও ৫৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, রোশন মহানামা’র অসাধারণ শতক সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৯৩ সালে দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। নিয়মিত অধিনায়ক মার্টিন ক্রো’র অনুপস্থিতিতে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের দুইটিতে নিউজিল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দেন।

১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে নিজ দেশে মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ১৯ মার্চ, ১৯৯৪ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৬৩ ও ৫৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। অভিষেকধারী স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের অসাধারণ সাফল্যে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়।

১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্রিকেট খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। এ পর্যায়ে কিউই দলকে নেতৃত্ব দেন। ২৫ নভেম্বর, ১৯৯৪ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৬৮ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। সায়মন ডৌলের অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে সফরকারীরা ১৩৭ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে নিজ দেশে অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ১৮ মার্চ, ১৯৯৫ তারিখে ডুনেডিনে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করলেও আঘাতের কারণে প্রথম ইনিংসে মাঠে নামতে পারেননি। চামিণ্ডা ভাসের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। মাইক হেনড্রিকের পরিবর্তে আয়ারল্যান্ড দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ সালে স্বীয় আত্মজীবনী ‘এ হেল অব এ ওয়ে টু মেক লিভিং’ প্রকাশের পূর্বে মাইক ক্রিনের সাথে ১৯৯২ সালে প্রকাশিত ‘কেন রাদারফোর্ডস বুক অব ক্রিকেট’ গ্রন্থের সহঃলেখক ছিলেন। এরপর, দক্ষিণ আফ্রিকান জুয়া ব্যবসায় কাজ করেন। আইসিসি’র নিয়ন্ত্রণে থাকা ক্রীড়ায় জুয়া শিল্পের কঠোর নিয়ন্ত্রণের বিপক্ষে সর্বদাই সরব ছিলেন। ২০০০ সালে সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেট অ্যানুয়েল কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে ২০১৬-১৭ মৌসুমকে ঘিরে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। তাঁর সন্তান হামিশ রাদারফোর্ড পিতার পদাঙ্ক অনুসরণে ক্রিকেটের দিকে ধাবিত হন ও নিউজিল্যান্ড দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নিয়মিতভাবে খেলছেন। এ গ্রন্থ প্রকাশকালীন হ্যামিশ রাদারফোর্ডের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট গড় ৩৬.৬৭ নিয়ে পিতা কেন রাদারফোর্ডের ৩৯.৯২ গড়ের চেয়ে পিছিয়ে আছেন।

Similar Posts

  • | | | |

    চান্দু বোর্দে

    ২১ জুলাই, ১৯৩৪ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও রেফারি। দলে মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। মাঝারিসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ভূমিকা রাখলেও কার্যকর লেগ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ভারত দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পুনাতে বসবাসরত মারাঠী খ্রিস্টান পরিবারে তাঁর জন্ম। পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোন নিয়ে গড়া বিশাল পরিবারের সদস্য তিনি। তাঁর কনিষ্ঠ ভ্রাতা…

  • |

    যোহন গুণাসেকেরা

    ৮ নভেম্বর, ১৯৫৭ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে মিডিয়াম কিংবা স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮০-৮১ মৌসুম থেকে ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ১৯৮৩ সালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে দুইটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র ওডিআইয়ে…

  • | | |

    ডেনিস ব্রুকস

    ২৯ অক্টোবর, ১৯১৫ তারিখে ইয়র্কশায়ারের কিপাক্স এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক ছিলেন। দলে মূলতঃ ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৪০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৩৩ সালে কিশোর অবস্থায় নর্দাম্পটনশায়ারে যোগ দেন। ১৯৩৪ থেকে ১৯৫৯ সময়কালে ২৫ বছর প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া…

  • |

    জেপি ডুমিনি

    ১৪ এপ্রিল, ১৯৮৪ তারিখে কেপ প্রভিন্সের স্ট্রান্ডফন্তেইন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলেছেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘জেপি’ ডাকনামে পরিচিতি পান। ১.৭০ মিটার উচ্চতার অধিকারী। জন ডুমিনি ও জুনিটা বার্গম্যান দম্পতির সন্তান তিনি। কিশোর বয়সেই প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখেন। মাঠের সর্বত্র শট…

  • | |

    হেনরি উড

    ১৪ ডিসেম্বর, ১৮৫৩ তারিখে কেন্টের ডার্টফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতে পারতেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট ও সারে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৭৬ থেকে ১৯০০ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। তন্মধ্যে, সারে…

  • | |

    জসপ্রীত বুমরা

    ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে গুজরাতের আহমেদাবাদে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করে থাকেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জসবীর সিং ও দলজিৎ বুমরা দম্পতির সন্তান। সাত বছর বয়সে পিতৃহারা হন। মাতা দলজিৎ বুমরা বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল। জুলিকা নাম্নী…