Skip to content

কিথ থমসন

1 min read

২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪১ তারিখে ক্যান্টারবারির মেথভেন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এছাড়াও, ডানহাতে বোলিং করতে পারতেন। ১৯৬০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট ও হকি খেলায় প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৬১ সালে ল্যাঙ্কাস্টার পার্কে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে প্রথমবারের মতো হকি খেলায় অংশ নেন। এছাড়াও, ১৯৬৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসে ব্ল্যাক ক্যাপস হকি দলের সদস্য ছিলেন। সেন্টার হাফ কিংবা ইনসাইড রাইট অবস্থানে খেলতেন। উভয় ধরনের খেলায় প্রতিপক্ষীয় দল ছিল ভারত।

১৯৫৯-৬০ মৌসুম থেকে ১৯৭৩-৭৪ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমের প্লাঙ্কেট শীল্ডে দারুণ খেলা উপহার দেন। দুইটি শতরানের ইনিংস খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষমতা দেখান। এরফলে, ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন।

১৯৬৮ সালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। উভয় টেস্টই ভারতের বিপক্ষে খেলেন। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে নিজ দেশে মনসুর আলী খান পতৌদি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ৬৯ ও ০* রান সংগ্রহ করেন। স্বাগতিক দল ৬ উইকেটে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

এরপর, একই সফরের ২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত পরের টেস্টে অংশ নেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ২৫ ও ০ রান তুলেছিলেন। এছাড়াও, ১/৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। সফরকারীরা ৮ উইকেটে জয় পেলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। দূর্ভাগ্যবশতঃ পরবর্তীতে এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ক্রিকেট ও হকি – উভয় খেলাতেই নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। উভয় খেলাতেই আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৪টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট এবং কানাডা ও ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের দুইটি হকি খেলা পরিচালনা করেন। ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে ৮১ বছর ৩৩৪ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।