১৫ ডিসেম্বর, ১৯২৯ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের ওল্ডহামের গ্রীনাক্রেস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক বোলিংয়েও দক্ষ ছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৯৫২ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ১৪ বছরব্যাপী প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া আসরের কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। উইকেট-রক্ষণের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একই সঙ্গে দলের অধিনায়কত্ব করেছেন।
১৯৫৪ থেক ১৯৬৩ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে মাত্র দুই টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। উভয় খেলাতেই তাঁকে দলের শোচনীয় পরাজয় অবলোকন করতে হয়েছে। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে লিওনার্ড হাটনের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সাথে অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যান। ২৬ নভেম্বর, ১৯৫৪ তারিখে ব্রিসবেনে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। কলিন কাউড্রে’র সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৬ ও ৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, অস্ট্রেলিয়া দল ছয় শতাধিক রানের ইনিংস খেললে ইংল্যান্ডকে ইনিংস ও ১৫৪ রানে পরাজয়বরণ করে। এরফলে স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। এ সফরে তাঁকে গডফ্রে ইভান্সের সহকারী হিসেবে দলে রাখা হয়। মূলতঃ গডফ্রে ইভান্সের কারণে তাঁর খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত ছিল।
নয় বছর পর ৬ জুন, ১৯৬৩ তারিখে ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। ঐ বছর নিজ দেশে ফ্রাঙ্ক ওরেলের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে খেলায় তিনি ৩* ও ১৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, উইকেটের পিছনে অবস্থান করে একটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হন। ১০ উইকেটে পরাভূত হলে স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল পাঁচ শতাধিক রানের ইনিংস খেললেও তিনি তিনটিমাত্র বাই রান দেন। অন্যান্য উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান বিশেষতঃ জন মারে’র ব্যাট হাতে বেশ সফল হবার কারণে দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছ থেকে উপেক্ষার পাত্রে পরিণত হন।
স্ট্যাম্পের পিছনে তাঁর অবস্থান দৃষ্টিনন্দন না হলেও বেশ গোছালো ধরনের ভূমিকা রাখতেন। নর্দাম্পটনশায়ারের পক্ষে পাঁচ বছর অধিনায়কত্ব করে দলকে কিছুটা সফলতা এনে দেন। অবসর গ্রহণের পর এমসিসি’র সম্মানসূচক সদস্যের মর্যাদা পান ও এক পর্যায়ে এনসিএ কোচিং পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
২৭ ডিসেম্বর, ২০১০ তারিখে ৮১ বছর ১২ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
