| |

জন রিডম্যান

৯ অক্টোবর, ১৮৬৫ তারিখে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার গিলবার্টন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৮৯০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

‘ডিনি’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। দর্শনীয় ব্যাটসম্যান না হলেও কার্যকর ভূমিকা পালন করতেন। পরিবর্তিত বোলার হিসেবে ব্যবহৃত হতেন। প্রকৃতমানসম্পন্ন ফিল্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে নিশ্চিতরূপেই ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হতেন। মাঠের বিরাট এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখতেন ও বিস্ময়করভাবে উইকেটে বল ফেরৎ পাঠাতেন। ১৮৮৭-৮৮ মৌসুম থেকে ১৯০৮-০৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

শেফিল্ড শীল্ডে সাউথ অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। মার্চ, ১৮৯৪ সালে অ্যাডিলেডে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ১১৩ রান তুলেছেন। ১৯০৪-০৫ মৌসুমে একই দলের বিপক্ষে ৭/৫৪ ও ৬/৯৫ লাভ করেছিলেন। মার্চ, ১৮৯৯ সালে সিডনিতে দ্য রেস্টের সদস্যরূপে দি অস্ট্রেলিয়ান ইলাভেনের বিপক্ষে খেলেন। প্রথম ইনিংসে ৫১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৮ রান তুলেন।

১৮৯৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৯০-এর দশকে ২৬ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ও দূর্ভাগ্যজনকভাবে ৩জন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে একটিমাত্র টেস্ট খেলার সুযোগ পান। ১৮৯৪-৯৫ মৌসুমে নিজ দেশে অ্যান্ড্রু স্টডার্টের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১৪ ডিসেম্বর, ১৮৯৪ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। চার্লি ম্যাকলিওড, আর্নি জোন্স, ফ্রাঙ্ক ইরিডেল ও জো ডার্লিংয়ের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১৭ ও ৪ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/১২ ও ০/১২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ঐ খেলায় স্বাগতিক দল নাটকীয়ভাবে ১০ রানে পরাজয়বরণ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

ইংল্যান্ড সফরে যাবার সুযোগ পাননি। তবে, নিজ দেশের বেশ কয়েক বছর দারুণভাবে খেলেছেন। অনেকগুলো বছর অ্যাডিলেডভিত্তিক সেন্ট পিটার্স কলেজে প্রশিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এছাড়াও, নর্থ অ্যাডিলেড সিসি’র অধিনায়কত্ব করেছেন।

ক্রিকেটের পাশাপাশি অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলে সিদ্ধহস্তের অধিকারী ছিলেন। সাউথ অ্যাডিলেড ও নর্থ অ্যাডিলেডের পক্ষাবলম্বন করেছেন। দীর্ঘপাল্লার সাঁতারু ছিলেন। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল হল অব ফেম এবং ২০০২ সালে সাউথ অস্ট্রেলিয়ান হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন। ক্রিকেটের বাইরে পেশায় তিনি ডাককর্মী ছিলেন।

২৫ মার্চ, ১৯২৪ তারিখে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার গিলবার্টন এলাকায় ৫৮ বছর ১৬৮ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | | |

    ব্যারি রিচার্ডস

    ২১ জুলাই, ১৯৪৫ তারিখে নাটালের মর্নিংসাইড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, প্রশাসক ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৭০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৬৪-৬৫ মৌসুম থেকে ১৯৮২-৮৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রেখেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে…

  • |

    ফজল-ই-আকবর

    ২০ অক্টোবর, ১৯৮০ তারিখে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের পেশাওয়ারে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে ২০০৮-০৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে পাকিস্তান এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, পাকিস্তান কাস্টমস, পাকিস্তান…

  • | | | |

    মার্টিন ক্রো

    ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৬২ তারিখে অকল্যান্ডের হেন্ডারসনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, কোচ ও ধারাভাষ্যকার ছিলেন। মাঝারিসারিতে ধ্রুপদীশৈলীর ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮০-এর দশকের শেষার্ধ্ব থেকে শুরু করে ১৯৯০-এর দশকের সূচনালগ্ন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যান ছিলেন। এছাড়াও, ১৯৮০-এর দশকে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের বিরাট সাফল্যে…

  • | |

    মাহমুদুল্লাহ

    ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করেন। বাংলাদেশ দলের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। নিজ শহর ময়মনসিংহে ক্রিকেট খেলা শিখেন। সনথ জয়সুরিয়া, কেভিন পিটারসন, শোয়েব মালিক, স্টিভ স্মিথ প্রমূখের ন্যায় খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেছিলেন…

  • | | | | |

    সুনীল গাভাস্কার

    ১০ জুলাই, ১৯৪৯ তারিখে মহারাষ্ট্রের বোম্বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার, প্রশাসক ও রেফারি। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারত দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলোর অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন ও সন্দেহাতীতভাবেই সর্বশ্রেষ্ঠ ডানহাতি ভারতীয় ব্যাটসম্যানের মর্যাদা লাভ করছেন।…

  • | |

    সেলিম মালিক

    ১৬ এপ্রিল, ১৯৬৩ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ মাঝারিসারিতে আক্রমণধর্মী ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে ডানহাতে স্লো-মিডিয়াম কিংবা ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে অংশ নিতেন। পাকিস্তানের অধিনায়কের মর্যাদা লাভ করেছিলেন। সহজাত প্রকৃতির প্রতিভাবান ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। বর্ণাঢ্যময় চরিত্রের অধিকারী থেকে ব্যাটকে বেশ উঁচুতে তুলে ধরতেন। অফ-সাইডে স্কয়ার অঞ্চলে খেলতেই অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।…