| | |

জন আর্নল্ড

৩০ নভেম্বর, ১৯০৭ তারিখে অক্সফোর্ডের কাউলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ক্রিকেটার, আম্পায়ার ও রেফারি ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে স্লো বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৩০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

১৯২৯ থেকে ১৯৫০ সময়কাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আঠারো বছরের অধিক সময় দলটিতে খেলেছেন। সচরাচর ইনিংস উদ্বোধনে নামলেও মাঝে-মধ্যে নিচেরদিকে খেলতেন। সহজাত প্রকৃতির আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। বিশেষতঃ লেগ-সাইডে খেলতে অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। এছাড়াও, চমৎকার ড্রাইভ মারতেন। অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করলেও হ্যাম্পশায়ারে চলে যান। দলে খেলার যোগ্যতা লাভের পর খুব কমই কাউন্টির বাইরে খেলেছেন। সব মিলিয়ে ৩৭ শতক সহযোগে ২১৮৩১ রান তুলেছেন।

১৯৩১ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। মাত্র দ্বিতীয় পূর্ণাঙ্গ মৌসুম খেলার পর ১৯৩১ সালে নিজ দেশে টম লরি’র নেতৃত্বাধীন কিউইদের মুখোমুখি হন। ২৭ জুন, ১৯৩১ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ফ্রেড ব্যাকওয়েলের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। হবস ও সাটক্লিফের অনুপস্থিতিতে ফ্রেড বেকওয়েলের সাথে তিনি ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন। দুই ইনিংস থেকে মাত্র ৩৪ রান তুলতে সমর্থ হন। ০ ও ৩৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

এরপর আর তাঁকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়নি। তবে, প্রথম-শ্রেণীর খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবল খেলায় পারদর্শী ছিলেন। নিজের গতিকে মাঠে বেশ কাজে লাগাতে তৎপরতা দেখিয়েছেন। তবে, ছন্দহীনতার কারণে খেলোয়াড়ী জীবনের মাঝামাঝি পর্যায়ে আরও রক্ষণাত্মক হয়ে পড়েন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পুণরায় শুরুরদিকের ছন্দ ফিরে পান ও পর্যাপ্ত সফলতার স্বাক্ষর রাখেন।

অসুস্থতার কারণে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ১১টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ও ৫৩টি লিস্ট-এ ক্রিকেট খেলা পরিচালনা করেছেন। ৪ এপ্রিল, ১৯৮৪ তারিখে হ্যাম্পশায়ারের সাউদাম্পটন এলাকায় ৭৬ বছর ১২৬ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • |

    সনি মলোনি

    ১১ আগস্ট, ১৯১০ তারিখে ওতাগোর ডুনেডিনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। দলে মূলতঃ ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৩০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯২৭-২৮ মৌসুম থেকে ১৯৪০-৪১ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৯ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে প্রতিনিধিত্বমূলক খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ওয়েলিংটনের বিশ্বস্ত ব্যাটসম্যান…

  • | | | | |

    ইন্তিখাব আলম

    ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৪১ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ, প্রশাসক ও রেফারি। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুম থেকে ১৯৮২ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে সরব ভূমিকা রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে করাচী, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, পাঞ্জাব,…

  • |

    নীল জনসন

    ২৪ জানুয়ারি, ১৯৭০ তারিখে সলসবারিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং শৈলী প্রদর্শন করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষণ কর্মেও অগ্রসর হতেন। পিতা হাউইকভিত্তিক ফার্মিং কনসালটেন্ট হিসেবে নাটালে নিয়োগ পেলে ১০ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যান। হাউইক হাই স্কুলে অধ্যয়নের পর পোর্ট এলিজাবেথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কিংসউড…

  • |

    জিয়াউর রহমান

    ২ ডিসেম্বর, ১৯৮৬ তারিখে খুলনা বিভাগের বেদবুনিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ মারকুটে অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। কার্যকর পেস বোলার থেকে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানে পরিণত হন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে পাঁচ বছর অংশ নেয়ার পর হাঁটুর আঘাতের কারণে এ পরিবর্তন ঘটে।…

  • |

    অমর সিং

    ৪ ডিসেম্বর, ১৯১০ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের গুজরাতের রাজকোটে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৩০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। আলফ্রেড হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। ১৯৩১-৩২ মৌসুম থেকে ১৯৩৯-৪০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর…

  • | |

    গর্ডন লেগাট

    ২৭ মে, ১৯২৬ তারিখে ওয়েলিংটনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৯৫০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৪৪-৪৫ মৌসুম থেকে ১৯৫৫-৫৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। ১৯৫২-৫৩…