|

জোই বেঞ্জামিন

২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬১ তারিখে সেন্ট কিটসের ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। দলে মূলতঃ বোলার হিসেবে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

১৯৮৮ থেকে ১৯৯৯ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে ও ওয়ারউইকশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, স্টাফোর্ডশায়ারের পক্ষে খেলেছেন। বেশ দেরীতে ২৭ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। শুরু থেকেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সোচ্চার হন। ১৯৮৮ সালে ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে খেলার পর ১৯৯২ সালে সারে দলে যোগ দেন। পরের বছর ৬৪ উইকেট দখল করেন। দ্রুততার সাথে দলের নিয়মিত সদস্যে পরিণত হন। ক্ষীপ্রগতিসম্পন্ন পেস ও ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে লক্ষ্য করে বলকে সুইং করাতে পারতেন। আউট-সুইংয়ে শিল্পসত্ত্বার অপূর্ব বিকাশে প্রভূত্ব দেখান। ১৯৯৪ সালে নিজের স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। ৩৩ বছর বয়সে এসে ২০ গড়ে ৭৬ উইকেট দখল করেন। এরফলে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ এনে দেয়। তবে, ঘরোয়া আসরের ক্রিকেটে যথেষ্ট সফলতার স্বাক্ষর রাখলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর বিচ্ছুরণ ঘটাতে পারেননি।

১৯৯৪ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে মাত্র একটি টেস্ট ও দুইটি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালের গ্রীষ্মে নিজ দেশে কেপলার ওয়েসেলসের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। হেডিংলি টেস্টে তাঁকে দলে রাখা হলেও চূড়ান্ত একাদশে ঠাঁই পাননি। তবে, পরের খেলায় অ্যাঙ্গাস ফ্রেজারের স্থলাভিষিক্ত হন। ১৮ আগস্ট, ১৯৯৪ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত ডেভন ম্যালকমের আধিপত্যে পরিচিতি পাওয়া সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। অ্যালেক স্টুয়ার্ট ও গ্রাহাম থর্পের সাথে তৃতীয় সারে খেলোয়াড় হিসেবে ঐ টেস্টে হান্সি ক্রোনিয়ে, কেপলার ওয়েসেলস, ডেভিড রিচার্ডসন ও ক্রেগ ম্যাথুজকে বিদেয় করে ১৭ ওভারে ৪/৪২ পান। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে ১১ ওভার বোলিং করেও কোন উইকেটের সন্ধান পাননি। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্সের বলে শূন্য রানে বিদেয় নেন। তবে, ডেভন ম্যালকমের অনবদ্য ৯/৫৭ বোলিংয়ের কল্যাণে স্বাগতিকরা ৮ উইকেটে জয়লাভ করলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর একমাত্র ও সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

ঐ টেস্টে সুন্দর খেলার কারণে পরবর্তী শীতকালে তাঁকে অস্ট্রেলিয়া গমনের সুযোগ দেয়া হয়। ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৪ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। সফরের শুরুতে বসন্ত রোগে আক্রান্ত হন।

১৯৯৬ সালে সানডে লীগ ও ১৯৯৭ সালে বেনসন এন্ড হেজেস কাপের শিরোপা বিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। তবে, ১৯৯৯ সালে তাঁকে ক্লাব থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। এরপর, কেন্ট লীগে ব্রোমলির পাশাপাশি সারে মাস্টার্সের পক্ষে খেলেন। এছাড়াও, রেইগেট গ্রামার স্কুলে প্রশিক্ষক হিসেবে যুক্ত ছিলেন। ৮ মার্চ, ২০২১ তারিখে সারের রেইগেট এলাকায় হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর ৩৪ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। তাঁর মৃত্যুতে সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের মিকি স্টুয়ার্ট মেম্বার্স প্যাভিলিয়নের সামনে ক্লাবের পতাকা অর্ধ-নমিত রাখা হয়।

Similar Posts

  • | |

    শিখর ধবন

    ৫ ডিসেম্বর, ১৯৮৫ তারিখে দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। বামহাতে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করে থাকেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪-০৫ মৌসুম থেকে ২০১৯-২০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন।…

  • | |

    লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন

    ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯০১ তারিখে ত্রিনিদাদের পেটিট ভ্যালি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট কিংবা ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। পেশীবহুল কিন্তু নমনীয়, গুটানো কিন্তু লম্বাটে বাহু নিয়ে পর্যাপ্ত পেস সহযোগে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। তাঁর ব্যাটিং অনেকাংশেই চোখের উপর নির্ভরশীল ছিল।…

  • | |

    রাসেল আর্নল্ড

    ২৫ অক্টোবর, ১৯৭৩ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল স্তরে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৯২ সালে শ্রীলঙ্কার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্যরূপে টেস্ট খেলেন। ১৯৯২-৯৩ মৌসুম থেকে ২০০৬-০৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর…

  • |

    সিস পার্কিন

    ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৬ তারিখে কো ডারহামের ঈগলসক্লিফ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯২০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পিতা রেলওয়েতে চাকুরী করতেন। নর্টন থেকে টিসাইডে তাঁর পরিবারের সাথে চলে যান। এ পর্যায়ে পার্কিন সিনিয়র স্টেশন মাস্টারের দায়িত্ব পালন করতেন। বারো…

  • |

    আরিফুল হক

    ১৮ নভেম্বর, ১৯৯২ তারিখে উত্তরাঞ্চলীয় রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। মাঝারিসারিতে নিচেরদিকে ডানহাতে মারকুটে ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে যথেষ্ট দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অংশ নেন। অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সদস্য ছিলেন। ২০০৬-০৭ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন…

  • | |

    স্টুয়ার্ট ল’

    ১৮ অক্টোবর, ১৯৬৮ তারিখে কুইন্সল্যান্ডের হার্স্টন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৯০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘লম্যান’ কিংবা ‘দ্য জাজ’ ডাকনামে ভূষিত স্টুয়ার্ট ল’ ব্রিসবেনভিত্তিক ক্রেগসলি স্টেট হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। করেছেন। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুম থেকে…