| | |

জিম পার্কস, ১৯০৩

১২ মে, ১৯০৩ তারিখে সাসেক্সের হেওয়ার্ডস হিদ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, কোচ ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ১৯৩০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

নিজ শহরে শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। সাসেক্সের ক্লাব ও গ্রাউন্ড দলের বিপক্ষে চমৎকার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে সাসেক্স কর্তৃপক্ষের নজর কাড়েন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ক্যান্টারবারি দলের পক্ষে খেলেছেন। ১৯২৪ থেকে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ১৯২৪ সালে সাসেক্সের পক্ষে প্রথমবারের মতো খেলায় অংশ নেন। লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে নিজস্ব তৃতীয় খেলায় ২৪ ওভার বোলিং করে ৭/২৭ লাভ করেন। ধীরগতিতে অগ্রসর হলেও পরবর্তী কয়েক মৌসুমে নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ১৯২৭ সালে সহস্র রান সংগ্রহের পাশাপাশি অফ-কাটার সহযোগে স্লো-বোলিংয়ে ৪০-এর অধিক উইকেট পেয়েছিলেন।

১৯৩৭ সালে এক মৌসুমে ৫০.৮৯ গড়ে ৩০০৩ রান সংগ্রহ ও ২৫.৮৩ গড়ে ১০১ উইকেট দখলের মাধ্যমে ‘ডাবল’ লাভ করে নিজেকে অবিস্মরণীয় করে রেখেছেন। এছাড়াও, একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অসামান্য কীর্তির সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। রেকর্ড ভাঙ্গার মৌসুমে ৩৭ বছর বয়সে এসে ইংল্যান্ড দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন।

১৯৩৭ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে একটিমাত্র টেস্ট খেলার জন্যে মনোনীত হয়েছিলেন। ঐ বছরের গ্রীষ্মে নিজ দেশে কার্লি পেজের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৬ জুন, ১৯৩৭ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। লেন হাটনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। লেন হাটনের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনের সুযোগ পান। ২৭ ও ৭ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, খেলায় ৩৬ রান খরচায় ৩ উইকেট দখল করেছিলেন। অপরদিকে ২১ বছর বয়সী লেন হাটন ০ ও ১ রান তুলে বর্ণাঢ্য খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখলেও তাঁকে আর কোন টেস্টে খেলানো হয়নি। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

সাসেক্সের পক্ষে ১৫ বছর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ৪৩৪টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৩০.৭০ গড়ে ১৯৭২০ রান ও ২৬.৭০ গড়ে ৭৯৫ উইকেট দখল করেছিলেন।

১৯৩৭ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর আম্পায়ারিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। সাতটি প্রথম-শ্রেণীর ও তিনটি লিস্ট-এ ক্রিকেট খেলা পরিচালনা করেছেন। ১৯৬০-এর দশকে সাসেক্সের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। জেমস মাইকেল পার্কস নামীয় সন্তানের জনক। ২১ নভেম্বর, ১৯৮০ তারিখে সাসেক্সের কাকফিল্ড এলাকায় ৭৭ বছর ১৯৩ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | | |

    গ্রাহাম ডাউলিং

    ৪ মার্চ, ১৯৩৭ তারিখে ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও রেফারি। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটের অনেক তারকা ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে কোনরূপ ব্যতিক্রম ছাড়াই নিজের সেরা খেলা উপহারে সচেষ্ট ছিলেন। ১৯৬০-এর দশকে পুরোটা সময় জুড়েই দেশের পক্ষে ইনিংসে উদ্বোধনে…

  • |

    মারনাস লাবুশেন

    ২২ জুন, ১৯৯৪ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লার্কসডর্প এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটিংয়ের দিকেই অধিক মনোনিবেশ ঘটিয়েছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম পেস কিংবা লেগ-ব্রেক বোলিং করে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ২০০৪ সালে অভিবাসনসূত্রে পরিবারের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ব্রিসবেনে চলে আসেন। ১১ বছর বয়সে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ডের ক্রিকেট জগতে…

  • |

    রবিন স্মিথ

    ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩ তারিখে নাটালের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ‘জাজ’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছেন। সহোদর ক্রিস স্মিথ ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরু থেকেই তাঁর মাঝে বেশ প্রতিশ্রুতিশীলতা লক্ষ্য করা যায়। নিজের সময়কালে শীর্ষসারির অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের মর্যাদাপ্রাপ্ত…

  • | | |

    জাভেদ মিয়াঁদাদ

    ১২ জুন, ১৯৫৭ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। সোজা-সাপ্টা, ক্রেতাদূরস্ত, বিচক্ষণ ও হাল ছেড়ে না দেয়ার মানসিকতা নিয়ে গড়ার ফলে খুব সহজেই স্বতন্ত্র…

  • |

    ফিলিপ হিউজ

    ৩০ নভেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ম্যাক্সভিল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতে পারতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি (১.৭০ মিটার) উচ্চতার অধিকারী ছিলেন। গ্রেগ হিউজ ও ভার্জিন হিউজ দম্পতির সন্তান…

  • | | | |

    গ্রেগ চ্যাপেল

    ৭ আগস্ট, ১৯৪৮ তারিখে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার আনলে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার, প্রশাসক ও কোচ। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নিজের সেরা দিনগুলোয় নান্দনিক ও দর্শনীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে উপস্থাপিত করেছেন। প্রতিপক্ষীয় খেলোয়াড়দের কাছে দুর্বোধ্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতাসুলভ ও…