২১ জুন, ১৯৫২ তারিখে ওয়েলিংটনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মজবুত গড়নের অল-রাউন্ডার ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, স্লিপ অঞ্চলে ফিল্ডিংয়ে সবিশেষ পারদর্শী ছিলেন। নিউজিল্যান্ড দলে স্বল্প সময়ের জন্য অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করলেও বেশ সফল ছিলেন।

গড়পড়তা নিউজিল্যান্ডীয় বালকদের সাথে তাঁর শৈশবকালও তেমন বৈচিত্র্যময় ছিল না। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে রাগবি খেলায় জড়িয়ে পড়েন। জাতীয় খেলাকে বাদ দিয়ে পরবর্তীকালে ক্রিকেটকেই বেছে নেন তিনি। পছন্দের তালিকায় কেবলমাত্র ক্রিকেটই জড়িত ছিল না। পারিবারিক সান্নিধ্যে সঙ্গীত জীবনেও তিনি অনুরক্ত ছিলেন।

দীর্ঘকায় ও লিকলিকে গড়নের অধিকারী তিনি। ১৯৭৩ সালে নিউজিল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সদস্যরূপে অকল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। একই বছর জাতীয় দলে খেলার জন্যে প্রথমবারের মতো আমন্ত্রিত হন। এ পর্যায়ে তিনি শিক্ষকতা বিষয়ে মাঝামাঝি পর্যায়ে ছিলেন। সহঃঅধিনায়ক গ্লেন টার্নার আঘাতের কবলে পড়লে প্রথমবারের মতো বিদ্যালয়ের অর্কেস্ট্রা আয়োজনে ব্যস্ত অবস্থা থেকে তাঁকে চলে আসতে হয়।

১৯৭৪ থেকে ১৯৮৭ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বমোট ৫২ টেস্ট ও ৮৮ ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে বেভান কংডনের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। অস্ট্রেলিয়া সফরে তিন-খেলা নিয়ে গড়া টেস্ট সিরিজ খেলতে তাঁকে নতুন ব্যাট কিনতে অর্থ দেয়া হয়। অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে একটি গিটার ক্রয় করেন। মেলবোর্নে সিরিজের প্রথম টেস্টে তাঁকে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি। তবে, অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে ডিপ অঞ্চলে ফিল্ডিং করেন ও দর্শকেরা তাঁকে অনেকগুলো লাঠি দেয়। ৫ জানুয়ারি, ১৯৭৪ তারিখে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ৪৫ ও ১১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও স্বাগতিকরা তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

একই মৌসুমে নিজ দেশে প্রথমবারের মতো খেলেন। ইয়ান চ্যাপেলের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ১ মার্চ, ১৯৭৪ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ১৩ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, ০/১৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই সফরের ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের প্রথম টেস্ট বিজয়ের সাথে যুক্ত হন। তবে, খুব শীঘ্রই তাঁকে দলের বাইরে চলে যেতে হয় ও পরবর্তী পাঁচ বছর খেলেননি। এ সময়ে ওয়েলিংটনভিত্তিক অনস্লো কলেজে সঙ্গীত শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৯-৮০ মৌসুমে নিজ দেশে মুশতাক মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। গত পাঁচ বছরে এটিই তাঁর প্রথম টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। ০/১০ ও ২/৩৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে খেলায় ৬ ও ৩৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। সফরকারীরা ১২৮ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

নিজ দেশে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যে পুণরায় তাঁকে দলে যুক্ত করা হয়। বোলার উপযোগী পিচে ইমরান খানের পেস ও বাউন্স মোকাবেলায় অগ্রসর হন। বিদ্যালয় জীবনে ভলিবল খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পাল্টা বাউন্স করেন ও বাহু রক্ষায় এগিয়ে আসেন। এ কৌশল গ্রহণের ফলে প্রয়োজনে লাফিয়ে বলকে নিচে নামাতেন ও উইকেটের কাছাকাছি অবস্থানরত ফিল্ডারদেরকে সুযোগ দিতেন না। এ সফরের পাঁচ ইনিংসের সবকটিতেই অংশ নিয়ে ২৪২ রান তুলেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৮২ রান সংগ্রহ করেন।

একই মৌসুমে নিজ দেশে ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮০ তারিখে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ৪৫ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ৪৯* ও ১* রান সংগ্রহ করেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে।

১৯৮০-৮১ মৌসুমে জিওফ হাওয়ার্থের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৮০ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে কেডি ওয়াল্টার্সকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ২/৩৩। খেলায় তিনি ৩/২৮ ও ০/১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৫৫* ও ৩ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। রিচার্ড হ্যাডলি’র অনবদ্য বোলিংশৈলী প্রদর্শন স্বত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৮৩ সালের প্রুডেন্সিয়াল বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার তৃতীয় আসরে মার্টিন ক্রোল্যান্স গিবসের ন্যায় খেলোয়াড়দের সাথে অংশ নেন। ১৫ জুন, ১৯৮৩ তারিখে বার্মিংহামের এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের ফিরতি খেলায় স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ খেলেন। ২৩৫ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় থাকা কিউই দল শুরুতেই গ্লেন টার্নার ও ব্রুস এডগার বিদেয় নিলে তিনি স্মরণীয় ভূমিকা রাখেন। এক প্রান্ত আগলে রেখে জিওফ হাওয়ার্থের সাথে ৭১ ও রিচার্ড হ্যাডলি’র সাথে ৭০ রানের জুটি গড়ে দলকে দুই উইকেটের জয় এনে দেন। ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতে নিয়ে ১/২৭ পেয়েছিলেন। এরফলে, ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

একই বছর জিওফ হাওয়ার্থের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের অন্যতম সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১১ আগস্ট, ১৯৮৩ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৭ ও ৬৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৬ ও ১/৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ডেভিড গাওয়ারের অসামান্য ব্যাটিং দৃঢ়তায় স্বাগতিকরা ১২৭ রানে জয় পেলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে জিওফ হাওয়ার্থের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা সফরে যান। ২৪ মার্চ, ১৯৮৪ তারিখে কলম্বোর সিসিসিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ২৫ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। দলের একমাত্র ইনিংসে তিনি ৯২ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ইনিংস ও ৬১ রানে জয় পেলে স্বাগতিকরা ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে কিউই দলকে নেতৃত্ব দিয়ে পাকিস্তান সফরে যান। ১৬ নভেম্বর, ১৯৮৪ তারিখে লাহোরে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি ৭ ও ২৬ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। ইকবাল কাশিমের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যের কল্যাণে সফরকারীরা ৬ উইকেটে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

একই মৌসুমে নিজ দেশে ফিরতি সফরে জাভেদ মিয়াঁদাদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৫ তারিখে ডুনেডিনে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ২৪ ও ১১১* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, ১/১৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, ওয়াসিম আকরামের প্রাণবন্তঃ বোলিংশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও সফরকারীরা ২ উইকেটে পরাজিত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

একই মৌসুমে প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট খেলেন। জিওফ হাওয়ার্থের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের অন্যতম সদস্যরূপে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান। ২৯ মার্চ, ১৯৮৫ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২৫ ও ৪৪ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে ম্যালকম মার্শালের শিকারে পরিণত হন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/১৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই সফরের ৪ মে, ১৯৮৫ তারিখে কিংস্টনে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্ট খেলেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত ৪ ও দলীয় সংগ্রহ ৫১/৩ থাকাকালে আঘাতের কবলে পড়লে মাঠ ত্যাগ করতে বাধ্য হন ও রিটায়ার্ড হার্ট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নামতে পারেননি। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ২/৩৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ম্যালকম মার্শালের বোলিং দাপটে খেলায় তাঁর দল ১০ উইকেটে পরাজিত হয়। পাশাপাশি, এ সফরে স্বাগতিকরা ২-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে।

১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে নিজ দেশে অ্যালান বর্ডারের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১০১* রান সংগ্রহ করেন। এ পর্যায়ে রিচার্ড হ্যাডলি’র (৭২*) সাথে সপ্তম উইকেটে ১৩২ রানের নিরবচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। এছাড়াও, ৩/৪৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৮৬ সালে কিউই দলের অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২৪ জুলাই, ১৯৮৬ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। প্রথম ইনিংসে ৪২ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ২৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৫১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ০/১২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, গ্রাহাম গুচের অসামান্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে নিজ দেশে ভিভ রিচার্ডসের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ১২ মার্চ, ১৯৮৭ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ৩৬ ও ২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, চারটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, রিচার্ড হ্যাডলি ও ইয়ান চ্যাটফিল্ডের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৫ উইকেটে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর তেরো বছরের অধিক সময় ধরে বিভিন্ন ধরনের দায়িত্বে জড়িয়েছিলেন। অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এমবিই পদবীতে ভূষিত হন। ক্রিকেটের বাইরে সঙ্গীতশিল্পী ও শিক্ষকতা পেশায় জড়িত ছিলেন। ক্রিকেটে অসম্ভব ও বৈচিত্রমূখী জ্ঞানের অধিকারী তিনি।

Similar Posts

  • |

    মধুসূদন রেগে

    ১৮ মার্চ, ১৯২৪ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পানভেলে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৪০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৪৪-৪৫ মৌসুম থেকে ১৯৫৪-৫৫ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে মহারাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। একগুঁয়েমিপূর্ণ মনোভাব…

  • | |

    লর্ড হক

    ১৬ আগস্ট, ১৮৬০ তারিখে লিঙ্কনশায়ারের উইলিংহাম রেক্টরি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ১৮৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৮৮১ সালের শরৎকালে কেমব্রিজের অধীন মাগদালেন কলেজে ভর্তি হন। বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট একাদশ দলে অন্তর্ভুক্ত হন।…

  • | |

    অ্যান্ডি গ্যানটিউম

    ২২ জানুয়ারি, ১৯২১ তারিখে ত্রিনিদাদের বেলমন্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হয়েছিলেন। উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৯৪০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। আফ্রিকান ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত তাঁর পিতা-মাতা। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৪০-৪১ মৌসুম থেকে ১৯৬২-৬৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর…

  • | |

    বীরেন্দ্র শেহবাগ

    ২০ অক্টোবর, ১৯৭৮ তারিখে দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ২০১৫-১৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া…

  • | | |

    ডেভ গ্রিগরি

    ১৫ এপ্রিল, ১৮৪৫ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ফেইরি মিডো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ১৮৭০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেয়াসহ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের জনক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এডওয়ার্ড উইলিয়াম গ্রিগরি ও মেরি অ্যান দম্পতির সন্তান ছিলেন।…

  • |

    চামারা দুনুসিংহে

    ১৯ অক্টোবর, ১৯৭০ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। ১৯৯০-এর দশকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে অ্যান্টোনিয়ান্স স্পোর্টস ক্লাব, নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাব ও সারাসেন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৯৫…