২৯ জুন, ১৯৪৭ তারিখে ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্নে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৯৭০-এর দশকের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
‘গ্রুচো’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। ১১ বছর বয়সে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। মেলবোর্ন, নর্থ মেলবোর্ন ও পাহরানের পক্ষে ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৬৮-৬৯ মৌসুম থেকে ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে দলগুলোর পক্ষে ৩৭.৮৬ গড়ে চৌদ্দ শতক সহযোগে ৭২৭১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে রিংউডের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২০০ রান তুলেন।
১৯৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৯৮১-৮২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২৯ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম খেলতে নামেন। নিজস্ব দ্বিতীয় খেলায় এনএসডব্লিউ’র বিপক্ষে ১৪৯ রান তুলেন। ১৯৭৮-৭৯ ও ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে শেফিল্ড শীল্ডে ভিক্টোরিয়ার সর্বাধিক রান সংগ্রাহক ছিলেন।
১৯৮১-৮২ মৌসুমে সেন্ট কিল্ডায় অনুষ্ঠিত ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এ পর্যায়ে জুলিয়ান ওয়াইনারের সাথে তৃতীয় উইকেটে ৩৯০ রানের জুটি গড়েছিলেন। পরবর্তীতে, ১ নভেম্বর, ২০২০ তারিখে উইল পুকোভস্কি (২৫৫*) ও মার্কাস হ্যারিস (২৩৯) ৪৮৬ রান তুলে নতুন রেকর্ড গড়েন। ছয়জন অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে কিউ ক্রিকেট ক্লাবে খেলেছেন।
১৯৭৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটিমাত্র টেস্ট ও সমসংখ্যক ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। সবগুলো খেলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে নিজ দেশে মুশতাক মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ৩১ বছর বয়সে আঘাতপ্রাপ্ত গ্রাহাম ইয়ালপের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।
২৪ মার্চ, ১৯৭৯ তারিখে পার্থের ওয়াকায় সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। প্রথম ইনিংসে দুই ঘণ্টা সময় নিয়ে ২২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে জয় পেলে অমিমাংসিত অবস্থায় সিরিজটি শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্ট ছিল। ঐ টেস্টে তাঁর দল জয় পেলেও আর তাঁকে দলে রাখা হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে তিনি ২০৪ মিনিট সময় ব্যয় করেন। এছাড়াও, প্রথম ইনিংসে ২২ রান তুলতে দুই ঘণ্টা সময় পাড় করেছিলেন। এরফলে, ৬০ গড় নিয়ে তাঁর টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। ১৯৭০-এর দশকের শেষদিকে দূর্দান্ত খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেও একের অধিক টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি।
১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় আসরে খেলেন। ১৩ জুন, ১৯৭৯ তারিখে নটিংহামে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটিমাত্র খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।
বিদ্রোহী দলের খেলোয়াড়দের প্রত্যাবর্তনে তাঁর খেলার সুযোগ কমে আসতে থাকে। তবে, রাজ্য পর্যায়ের খেলায় অংশ নিতে থাকেন। ১৯৮১-৮২ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে বিদেয় নেন। ৪৩.৭৯ গড়ে নয় শতক সহযোগে ৩৪১৬ রান তুলেছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। লুসিন্ডা ম্যাকলিশ নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন।
