৮ মে, ১৯৩৮ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের উত্তরপ্রদেশের মিরাট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও রেফারি। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়াও, পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৫৫-৫৬ মৌসুম থেকে ১৯৭৪-৭৫ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে পাঞ্জাব, লাহোর, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, পাঞ্জাব ও রাওয়ালপিন্ডি এবং ইংরেজ ক্রিকেটে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৯৬০ থেকে ১৯৬৯ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বমোট ২৫ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৬০-৬১ মৌসুমে ফজল মাহমুদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সাথে ভারত গমন করেন। ২ ডিসেম্বর, ১৯৬০ তারিখে বোম্বের বিএসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। মোহাম্মদ ফারুকের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ৭ ও ১৩* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
১৯৬২ সালে পাকিস্তান দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১ এপ্রিল, ১৯৬২ তারিখ থেকে শুরু হওয়া লর্ডস টেস্টে ১০১ রান হাঁকান। এরফলে, লর্ডস অনার্স বোর্ডে নিজেকে যুক্ত করার ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানের পক্ষে পাঁচ খেলায় অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। তিনটি শতক হাঁকিয়েছেন।
১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে হানিফ মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ২২ জানুয়ারি, ১৯৬৫ তারিখে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। খেলায় তিনি উভয় ইনিংসে শূন্য রানে বিদেয় নিয়েছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
১৯৬৯-৭০ মৌসুমে নিজ দেশে গ্রাহাম ডাউলিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৮ নভেম্বর, ১৯৬৯ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ২২ ও ১৭* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর ক্রিকেট প্রশাসনের সাথে জড়িত ছিলেন। আইসিসি ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। ছয়টি টেস্ট ও পনেরোটি ওডিআই পরিচালনা করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং এক পুত্র ও এক কন্যার জনক। ক্রিকেটের পাশাপাশি গল্ফে সিদ্ধহস্তের অধিকারী। পাকিস্তান সরকারের পানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
