২১ নভেম্বর, ১৯৪০ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
দীর্ঘদেহের অধিকারী অফ-স্পিনার ছিলেন। ১৯৫৯-৬০ মৌসুম থেকে ১৯৭৫-৭৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে রাওয়ালপিন্ডি ও সার্ভিসেস দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৯৬২ সালে ২১ বছর বয়সে পাকিস্তানের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে জাভেদ বার্কি’র অধিনায়কত্বে পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ৫ জুলাই, ১৯৬২ তারিখে লিডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। হাসিব আহসানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। তবে, অংশগ্রহণকৃত টেস্টটিতে তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারেননি। উইকেট শূন্য অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করেন। খেলায় তিনি ২ ও ২* রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, ০/৫২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ঐ টেস্টে পাকিস্তান দল ইনিংস ও ১১৭ রানের ব্যবধানে পরাজিত হলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উপেক্ষিত হবার পর আম্পায়ারিত্বের দিকে ঝুঁকে পড়েন। সব মিলিয়ে ১৮ টেস্ট ও ৪০টি ওডিআই পরিচালনা করেছিলেন। ১৯৯৮ সালে হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের অনুকূলে আটটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেয়ার অভিযোগে আম্পায়ার হিসেবে খেলা পরিচালনা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। এরফলে, ইংল্যান্ডের অনুকূলে সিরিজ চলে যায়। ২০০০ সালে কিং কমিশনে আলী বাখের ঐ খেলায় অনুপযুক্ত আচরণের অভিযোগ আনেন। তিনি দাবী করেন যে, জাভেদ আখতার দাম্ভিকতার সাথে অস্বীকার করেছেন ও তাঁর বিপক্ষে কোন অভিযোগ আনা হয়নি। পরবর্তীতে, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০০১ তারিখে পাকিস্তানের আদালতে আলী বাখের অংশ নিতে অস্বীকার করেন।
৮ জুলাই, ২০১৬ তারিখে রাওয়ালপিন্ডিতে ৭৫ বছর ২৩০ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
