৩১ আগস্ট, ১৯৬৯ তারিখে কর্ণাটকের মহীশূরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও রেফারি। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১.৯১ মিটার উচ্চতার অধিকারী। ১৯৮৯-৯০ মৌসুম থেকে ২০০৩ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটক এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহাম, গ্লুচেস্টারশায়ার ও লিচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবনের সূচনা করেন। শুরুরদিকে নিজেকে সামলাতে না পারলেও পরবর্তীতে বল হাতে পর্যাপ্ত পেস আনয়ণে সক্ষমতা দেখান। ২০১০-এর দশকে তরুণ বোলারদের আগমনের পূর্বে খুব সহজেই ভারতের ইতিহাসের দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলারে পরিণত হন।
বয়সের পাশাপাশি আঘাতের কবলে পড়ে বোলিংয়ের ভঙ্গীমা পরিবর্তন করেন। পেস কমিয়ে দেন ও লেগ-কাটার যুক্ত করলে কিছুটা ধীরগতিতে বোলিং করতে থাকেন। যদি পূর্বে বিধ্বংসী বোলার হয়ে থাকেন, তাহলে এখন তিনি ভীতিদায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। কিছু সময় সাধারণমানের বোলিং করতেন। তবে, নিজের স্বর্ণালী সময়ে প্রতিপক্ষের কাছে সমীহের পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন।
১৯৯১ থেকে ২০০৩ সময়কালে ভারতের পক্ষে সর্বমোট ৬৭ টেস্ট ও ২২৯টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ১৮ অক্টোবর, ১৯৯১ তারিখে শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ১৯৯১-৯২ মৌসুমে মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ২৯ নভেম্বর, ১৯৯১ তারিখে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ২১ ও ১২* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ৩/৫৯ ও ০/৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, ক্রেগ ম্যাকডারমটের অসাধারণ বোলিংশৈলীর বদৌলতে খেলায় স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পেয়ে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
১৯৯২-৯৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। মার্চ, ১৯৭০ সালের পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এটি প্রথম টেস্ট খেলা ছিল। ১৩ নভেম্বর, ১৯৯২ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৬৯ ও ২/৪২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। প্রবীণ আম্রে’র অসাধারণ শতকে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়।
একই সফরের ২ জানুয়ারি, ১৯৯৩ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ডিজে কালিনানকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ৩/৫৯। খেলায় তিনি ২/৫১ ও ৪/৩৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন। তাঁর অসাধারণ বোলিংশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নেন। এ মৌসুমে মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১৯ মার্চ, ১৯৯৪ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৩৪ ও ১/৬৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। অভিষেকধারী স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের অসাধারণ সাফল্যে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়।
১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে নিজ দেশে হান্সি ক্রোনিয়ে’র নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ২০ নভেম্বর, ১৯৯৬ তারিখে আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নিয়ে অপূর্ব ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দল ১৭০ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় অগ্রসর হলে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট পান। ঐ ইনিংসে তিনবার পরপর দুই উইকেট পেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে ঐ ইনিংসে ৬/২১ পান ও প্রোটীয়দেরকে ১০৫ রানে গুটিয়ে দিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও, ২/৪৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অসাধারণ ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে ৬৪ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে নিজ দেশে মার্ক টেলরের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ১৮ মার্চ, ১৯৯৮ তারিখে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। এ টেস্টে তিনজন স্পিনার নিয়ে ভারত দল খেলে। সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে উভয় ইনিংসেই সমীহের পাত্রে পরিণত হন। দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলীর স্বাক্ষর রাখেন। খেলায় তিনি ৩/৮০ ও ৩/৪৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। স্বাগতিক দল ইনিংস ও ২১৯ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। সুন্দর বোলিং নৈপুণ্য প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৮ তারিখে ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ১ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৭ ও ২৭* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৮৯ ও ৩/৮২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, সায়মন ডৌলের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৪ উইকেটে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে যায়।
একই মৌসুমে কলকাতায় আবারও সফলতার সন্ধান পান। এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথম খেলায় ওয়াসিম আকরামের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৯ তারিখে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐ টেস্টে অংশ নেন। অপূর্ব ক্রীড়াশৈলীর স্বাক্ষর রাখেন। ৫ ওভারে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ২৬/৬-এ নিয়ে যান। প্রথম ইনিংসে ৫/৪৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, দ্বিতীয় ইনিংসে সাঈদ আনোয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ১৮৮ রানে অপরাজিত থাকলেও তিনি ৮/৮৬ পেয়েছিলেন। সফরকারীরা ৪৬ রানে জয় পায়। ঐ খেলায় তিনি সাঈদ আনোয়ারের সাথে যৌথভাবে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে মোহালিতে স্বাগতিক ভারত ৮৩ রানে গুটিয়ে যায়। একই মৌসুমে নিজ দেশে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১০ অক্টোবর, ১৯৯৯ তারিখে মোহালিতে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। ৬/৪৫ নিয়ে ২১৫ রানে স্থির রাখতে যথোচিত ভূমিকার স্বাক্ষর রাখেন। এরপর, দ্বিতীয় ইনিংসে ২/৬৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। একবার ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে ২০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
২০০০-০১ মৌসুমে নিজ দেশে হিথ স্ট্রিকের নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ীয় দলের মুখোমুখি হন। ১৮ নভেম্বর, ২০০০ তারিখে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। অনিন্দ্যসুন্দর বোলিংশৈলী প্রদর্শন করেন। ৪/৮১ ও ৫/৬০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর সুন্দর ক্রীড়াশৈলীর কারণে স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে জয় পায় ও দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। এরপর, নাগপুর টেস্টে ৩/৮১ ও ০/৫৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করেন। ঐ টেস্টটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়।
২০০২-০৩ মৌসুমে নিজ দেশে কার্ল হুপারের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ৩০ অক্টোবর, ২০০২ তারিখে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ৪৬ ও ২১ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, ০/৬২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, শচীন তেন্ডুলকরের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও স্বাগতিক দল ২-০ ব্যবধানে জয় পায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
টেস্টগুলো থেকে ৩০.৪৯ গড়ে ২৩৬ উইকেট দখল করেছিলেন। যদি তিনি আঘাতের কারণে মাঠের বাইরে অবস্থান না করতেন তাহলে হয়তোবা উইকেট সংখ্যা আরও অধিক হতো। ১৯৯৭ সালে মাংসপেশীতে টান পড়ে। ১৯৯০-এর দশকে প্রায়শঃই যোগ্য সহচর বোলারের অনুপস্থিতিতে খেলেন ও ব্যাটিং উপযোগী পিচে মনেপ্রাণে খেলতেন। বিদেশের মাটিতে ভারতের দূর্লভ জয়ের যুগে আলোকবর্তীকা হিসেবে খেলতেন।
ওডিআইয়ে ২৮ গড়ে ৩১৫ উইকেট দখল করেন। ওভারপ্রতি ৪.৪৪ রান খরচ করেন। কোন ভারতীয় বোলারই ঐ সময়ে তাঁর সংগৃহীত তিনবার পাঁচ-উইকেট অতিক্রম করতে পারেনি। খুব সম্ভবতঃ ২০০২-০৩ মৌসুমে নিজের সেরা সময় অতিবাহিত করেছিলেন। তাসত্ত্বেও, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৭ খেলা থেকে ১৮ উইকেট নিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছিলেন। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সৌরভ গাঙ্গুলী’র অধিনায়কত্বে খেলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় ২৩ গড়ে ১৬ উইকেট দখল করেছিলেন।
প্রতিযোগীধর্মী ব্যাটসম্যান ছিলেন। টেস্টে ১০০৯ রান পেয়েছেন। শেষ খেলায় অংশ নিয়ে চার অঙ্কের কোটা স্পর্শ করেছিলেন। এছাড়াও, ওডিআইয়ে ৮৮৩ রান তুলেন। প্রায়শঃই তাঁকে শেষদিকের ওভার মোকাবেলায় ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানানো হতো। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে ব্যাঙ্গালোরে অনুষ্ঠিত টাইটান কাপে দিবা-রাত্রির খেলায় নবম উইকেটে অনিল কুম্বলেকে সাথে নিয়ে ৫২ রানের জুটি গড়েন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় তাঁর দল দুই উইকেটে জয় পায়।
কর্ণাটকের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেন। এছাড়াও, গ্লুচেস্টারশায়ার ও লিচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২৬ গড়ে ৫৫৩টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করেছেন।
১৯৯৯ সালে ভারত সরকার কর্তৃক অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হন। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। টেলিভিশনে ধারাভাষ্য দেন ও পরবর্তীতে আইসিসি ম্যাচ রেফারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ৫৮ টেস্ট, ২২৭টি ওডিআই, ৯৮টি টি২০আই ও ১৬টি মহিলাদের টি২০আই পরিচালনা করেছেন। নভেম্বর, ২০১০ সালে কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচনে অনিল কুম্বলে’র দলের প্রার্থীরূপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাবেক আম্পায়ার এ ভি জয়প্রকাশকে পরাভূত করে সম্পাদক হিসেবে জয়যুক্ত হন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। মাধবী পত্রাবলী নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন।
