|

জেমস সাউদার্টন

১৬ নভেম্বর, ১৮২৭ তারিখে সাসেক্সের পেটওর্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন তিনি। ১৮৭০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

সাসেক্সের পেটওর্থ এলাকায় জন্মগ্রহণের পরের বছরই তাঁর পরিবার মিচামে চলে যায়। পিতা ১৮৪১ সালে মারা যান ও সেন্ট পিটার এন্ড পল চার্চে তাঁকে সমাহিত করা হয়। মাতা শার্লট ১৮৫১ সালে লন্ডন রোডে বসবাস করতেন। ঐ সময়ে তিনি মিচামে ক্রিকেট খেলতেন। ব্যাটিংয়ে জোর দিলেও বোলিং করতে পারতেন।

১৮৫৪ থেকে ১৮৭৯ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ার, সারে ও সাসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৮৫৪ তারিখে ব্রাইটনে সারের সদস্যরূপে সাসেক্সের বিপক্ষে খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। অন্যান্য দলের পক্ষে খেললেও তাঁর খেলার মান সাধারণ পর্যায়ের ছিল। ১৮৫৮ সালে ব্যাটসম্যান হিসেবে ২২ গড়ে রান তুলে স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেছেন। তবে, ১৮৬০-এর দশকে ভিন্ন পন্থায় রেকর্ড গড়েন। এক বছরের মধ্যে সারে, সাসেক্স ও হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে খেলেছিলেন। পরবর্তীতে, তাঁকে কাউন্টি পছন্দের বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করলে সারে দলকে শীর্ষে রাখেন।

১৮৬০-এর দশকে স্লো বোলিংয়ে উত্তরণ ঘটান ও জনপ্রিয়তা পান। সম্ভবতঃ ১৮৭০-এর দশকে সেরা স্লো বোলার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। এ পর্যায়ে তিনি ১০ মৌসুমের প্রতিটিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ১৮৬৯ সালে ওভালে সারের সদস্যরূপে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ৫ বল থেকে বোল্ড করে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন। ১৮৭০ সালে ১৪.৬৩ গড়ে ২১০ উইকেট দখল করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে সাউথের সদস্যরূপে নর্থের বিপক্ষে প্রথম ৯ উইকেট দখল করেন। ডব্লিউজি গ্রেস শেষ খেলোয়াড় হিসেবে রান-আউটে বিদেয় নিয়েছিলেন।

১৮৭৭ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে সব মিলিয়ে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৭৬-৭৭ মৌসুমে জেমস লিলিহোয়াইট জুনিয়রের নেতৃত্বাধীন দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ঐ সফরে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম টেস্টে অংশ নেয়ার গৌরব অর্জন করেন। ৪৯ বছর ১১৯ দিন বয়সে ১৫ মার্চ, ১৮৭৭ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অন্য সকলের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এরফলে, বয়োজ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেকের গৌরবের অধিকারী হন। খেলায় তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে ৬ ও ১* রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৩/৬১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। স্বাগতিকরা ৪৫ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

একই সফরের ৩১ মার্চ, ১৮৭৭ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৪/৪৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। একবার ব্যাট হাতে নিয়ে টম ক্যান্ডলের বলে শূন্য রানে বিদেয় নিয়েছিলেন। সফরকারীরা ৪ উইকেটে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

পেশায় কেশ পরিচর্যাকারী ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। এসজে সাউদার্টন নামীয় সন্তানের জনক। ১৬ জুন, ১৮৮০ তারিখে সারের মিচাম এলাকায় ৫২ বছর ২১৩ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। এরফলে, প্রথম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন।

Similar Posts

  • | |

    রস টেলর

    ৮ মার্চ, ১৯৮৪ তারিখে ওয়েলিংটনের লোয়ার হাট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। দলে মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে তিন স্তরের ক্রিকেটের সবকটিতেই অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, সকল স্তরেই দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। সামোয়ান বংশোদ্ভূত তিনি। এমসিসি’র পরিচালনায় কাউন্টি ক্রিকেটে কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার উদ্দেশ্যে এমসিসি ইয়ং…

  • | |

    বেঙ্কটেশ প্রসাদ

    ৫ আগস্ট, ১৯৬৯ তারিখে কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ২০০৩-০৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটক দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ভারতের জ্যেষ্ঠ দলীয়…

  • |

    ভাগবত চন্দ্রশেখর

    ১৭ মে, ১৯৪৫ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কর্ণাটকের মহীশূরে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। লেগ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাঁচ বছর বয়সে ডানহাতে পোলিওতে আক্রান্ত হন। তিন মাস তাঁকে হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়। এ পঙ্গুত্বের ফলে তাঁর বাহু অতি নমনীয় পর্যায়ে…

  • | | | |

    রিচি রিচার্ডসন

    ১২ জানুয়ারি, ১৯৬২ তারিখে অ্যান্টিগুয়ার ফাইভ আইল্যান্ডস ভিলেজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, রেফারি ও প্রশাসক। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। আক্রমণাত্মক ধাঁচে ব্যাটিং করতেন। ব্যাটিংকালে হেলমেটের পরিবর্তে গাঢ় তাম্রবর্ণের সৌর টুপি পরিধান করে খেলতে নামতেন। অটোস কম্প্রিহেনসিভ…

  • | |

    আর্নি হেইস

    ৬ নভেম্বর, ১৮৭৬ তারিখে লন্ডনের পেকহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। দলে মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। স্লিপ অঞ্চলে দূর্দান্ত ফিল্ডিং করতেন। ঘরোয়া পর্যায়ের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ার ও সারে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, লন্ডন কাউন্টির পক্ষে খেলেছেন। নিজের দিনগুলোয়…

  • |

    শামসুর রহমান

    ৫ জুন, ১৯৮৮ তারিখে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে ইনিংস উদ্বোধনে নামতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ে দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। ২০১০-এর দশকে বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘শুভ’ ডাকনামে পরিচিতি পান। ২০০৫ সাল থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে মধ্যাঞ্চল, ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা…