|

জেমস অ্যান্ডারসন

৩০ জুলাই, ১৯৮২ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের বার্নলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও পেশাদার ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

‘জিমি’ ডাকনামে পরিচিতি লাভ করেন। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) উচ্চতার অধিকারী জেমস অ্যান্ডারসন সেন্ট থিওডর্স আরসি হাই স্কুলে অধ্যয়ন শেষে সেন্ট থিওডর্স আরসি সিক্সথ ফর্ম সেন্টার – বার্নলিতে অধ্যয়ন করেছেন। খুবই তরুণ অবস্থায় বার্নলি ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনের যাত্রা শুরু করেন। ১৭ বছর বয়সে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অন্যতম দ্রুত গতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে বিবেচিত হন।

২০০২ সাল থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রেখেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার ও নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ল্যাঙ্কাশায়ার ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে খেলেছেন। ‘কিং অব সুইং’ ডাকনামে পরিচিত পাওয়া জেমস অ্যান্ডারসন সন্দেহাতীতভাবে সুইং উপযোগী পরিবেশে সেরা পেস বোলার হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। বলকে উভয় দিক দিয়েই সুইং করানোয় পারদর্শী হবার সুবাদে আরও প্রাণবন্তঃ হয়ে উঠেন।

কাউন্টি ক্রিকেটে কোন খেলায় অংশগ্রহণ ব্যতিরেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। বার্নলি ক্রিকেট ক্লাবে খেলাকালীন তাঁর উঁচু স্তরে খেলার সম্ভাবনার কথা প্রচারিত হতে থাকে। শোয়েব আখতারব্রেট লি’র ন্যায় তাঁর বোলিংও বেশ দ্রুত গতিসম্পন্ন।

২০০২ সালে তিনি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অপূর্ব খেলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০-২-২৯-৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, ঐ সময়ে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারায় দলে আসা-যাবার পালায় থাকেন। ২০০৭ সালে প্রভূতঃ সাফল্য পান ও খেলোয়াড়ী জীবনে মোড় ঘুরিয়ে দেন।

২০০৩ সালে নিজ দেশে হিথ স্ট্রিকের নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ীয় দলের মুখোমুখি হন। ২২ মে, ২০০৩ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অ্যান্থনি ম্যাকগ্রা’র সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৫/৭৩ ও ০/৬৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৪* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, মার্ক বুচারের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ৯২ রানে পরাভূত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের তত্ত্বাবধানে নিজেকে ইংল্যান্ডের ‘স্বর্ণ পুত্রে’ পরিণত করেন। ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে শততম ওডিআই উইকেট ও ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে শততম উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। পরবর্তীতে, ২০০৯ সালে অ্যাশেজ সিরিজের পাঁচ-টেস্টেই খেলে ফলাফল ইংল্যান্ডের অনুকূলে নিয়ে আসেন। ‘জিমি’ ইংল্যান্ডের নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিণত হন। সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে উইকেট পেতে থাকেন।

২০০৮ সালে নিজ দেশে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ৭ আগস্ট, ২০০৮ তারিখে ওভালে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে জেএইচ ক্যালিসকে বিদেয় করে ১০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৩/৪২ ও ২/৮৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। দলীয় অধিনায়কের অসাধারণ শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে জয়লাভ করলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজে পরাজিত হয়।

২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় বল হাতে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ খেলেন। এ পর্যায়ে ইংল্যান্ডের শীর্ষ ওডিআই উইকেট শিকারীতে পরিণত হন। ২৩৪ উইকেট নিয়ে ড্যারেন গফের সর্বাধিক উইকেট লাভের রেকর্ড নিজের করে নেন। এছাড়াও, টেস্টে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেট-শিকারী হন। আগস্ট, ২০১৩ সালে ওভালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে ৩২৬তম উইকেট লাভ করেন।

২০১৩ সালে নিজ দেশে দূর্বলমানের অস্ট্রেলীয় ব্যাটিংয়ের বিপক্ষে নিজেকে প্রচলিত পন্থায় রিভার্স সুইংয়ে বিপর্যস্ত করতে অগ্রসর হন। তবে, অজিদের অ্যাশেজ করায়ত্ত্বের বিপরীতে নিজেকে খুব কমই মেলে ধরতে পেরেছিলেন। ঐ বছর ডাউন আন্ডার ৫-০ ব্যবধানে স্বাগতিকদের পর্যুদস্ত করেছিল।

২০১৫ সালে নিজ দেশে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৯ মে, ২০১৫ তারিখে লিডসের হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে এমজে গাপটিলের প্রথম উইকেট লাভ করে টেস্টে ৪০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ২/৪৩ ও ২/৯৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ১০* ও ৮* রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। বিজে ওয়াটলিংয়ের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১৯৯ রানে পরাজয়বরণ করলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়।

২০১৫-১৬ মৌসুমে অ্যালাস্টেয়ার কুকের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের অন্যতম সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১৪ জানুয়ারি, ২০১৬ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংকালে পিচে দৌঁড়ানোর কারণে তাঁকে বোলিং করা থেকে বিরত থাকতে হয়েছিল। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ১/৬০ ও ১/২৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ০* রান সংগ্রহ করেছিলেন। স্টুয়ার্ট ব্রডের অসাধারণ বোলিংয়ের বদৌলতে সফরকারীরা ৭ উইকেটে জয়লাভ করলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

২০১৬ সালে নিজ দেশে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ১৯ মে, ২০১৬ তারিখে লিডসে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে সিরিজের ১ম ইনভেসটেক টেস্টে অংশ নেন। অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হয়েছিলেন। ৫/১৬ ও ৫/২৯ লাভ করেন। তবে, জনি বেয়ারস্টো’র অনবদ্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ৮৮ রানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

একই সফরের ২৭ মে, ২০১৬ তারিখে চেস্টার-লি-স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত ২য় ইনভেসটেক টেস্টে অংশ নেন। ৩/৩৬ ও ৫/৫৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ৮* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের সহঃঅধিনায়কের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এক পর্যায়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বোলার হিসেবে নিজের পরিচিতি ঘটিয়েছেন।

২০২০-২১ মৌসুমে জো রুটের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ২২ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে গলেতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ৬/৪০ ও ০/৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৬* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, দলীয় অধিনায়কের অসাধারণ ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে পরাজিত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

২০২২ সালে নিজ দেশে কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১০ জুন, ২০২২ তারিখে নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজ অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে টিডব্লিউএম ল্যাথামের প্রথম উইকেট লাভ করে টেস্টে ৬৫০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৩/৬২ ও ২/২০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, জনি বেয়ারস্টো’র অসাধারণ মারকুটে শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ৫ উইকেটে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।

২০২৪ সালে নিজ দেশে ক্রেগ ব্রাদওয়েটের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ১০ জুলাই, ২০২৪ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩/৩২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। নিজের বিদায়ী টেস্টে চার উইকেট দখল করে স্বীয় সংগ্রহকে আরও স্ফীততর করেন ও ৭০৪তম উইকেটে নিয়ে যান। এরফলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯১ উইকেট লাভ করেন। লর্ডসে চার উইকেট লাভের ফলে কপিল দেবের ৮৯ উইকেট ছাঁপিয়ে যান। সংখ্যার দিক দিয়ে গ্লেন ম্যাকগ্রা’র পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এ সাফল্য পান। তবে, অপর অভিষেকধারী গাস অ্যাটকিনসনের অসাধারণ বোলিং সাফল্যে স্বাগতিকরা খুব সহজে তিনদিনেই ইনিংস ও ১১৪ রানের ব্যবধানে জয়লাভ করে। খেলা শেষে সতীর্থরা তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

দীর্ঘ ২১ বছরের টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি ৪০০৩৭ বল বোলিং করেছেন। টেস্টে প্রথম সিমার হিসেবে ৪০০০০ বৈধ বল বোলিং করেন। কেবলমাত্র মুত্তিয়া মুরালিধরন (৪৪০৩৯), অনিল কুম্বলে (৪০৮৫০) ও শেন ওয়ার্নের পর চতুর্থ বোলার হিসেবে এতোগুলো বল ডেলিভারি করেছিলেন।

মাঠের বাইরে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। আকর্ষণীয় চুলের ধরন ও দৃষ্টিভঙ্গী তাঁকে এ জনপ্রিয়তা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ‘ক্রিকেটের ডেভিড বেকহাম’ হিসেবে পরিচিতি পান। সেপ্টেম্বর, ২০১০ সালে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ব্রিটেনের সর্বাধিক বিক্রিত সমকামী সাময়িকী ‘অ্যাটিচুডে’ নগ্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। এছাড়াও, ২০১৪ সালে চেজ লন্ডনের সহায়তা নিয়ে নিজস্ব ফ্যাশন ব্র্যান্ড উদ্বোধন করেন।

২০০৪ সালে ড্যানিয়েলা লয়েড নাম্নী এক তরুণীর সাথে পরিচিত হন। অতঃপর বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ দম্পতির দুই কন্যা রয়েছে। টুইটারে তাঁর একাউন্ট রয়েছে ও প্রায়শঃই গ্রায়েম সোয়ানের সাথে বন্ধুত্বসূলভ মন্তব্য করতে দেখা যায়।

Similar Posts

  • |

    ইন্ডিকা গালাগে

    ২২ নভেম্বর, ১৯৭৫ তারিখে পানাদুরায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করে দলে কিছু অবদান রাখেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। লিকলিকে দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী। বেশ লাফিয়ে বলে সিম আনয়ণে দক্ষতা প্রদর্শনসহ বাউন্স প্রদানে সক্ষম। ফিল্ডার হিসেবেও মাঠের যে-কোন স্থানে অবস্থান করেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় পানাদুরাভিত্তিক শ্রী সুমঙ্গলায়…

  • | | |

    ওয়াসিম বারি

    ২৩ মার্চ, ১৯৪৮ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে বোলিংয়েও পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ও দলের নেতৃত্বে ছিলেন। পাকিস্তানে মানসম্পন্ন উইকেট-রক্ষক না থাকলেও সেরাদের কাতারে অবস্থানে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন স্ব-মহিমায়। রডনি মার্শ কিংবা জেফ ডুজনের ন্যায় দর্শনীয় না হলেও…

  • | |

    দীপক সোধন

    ১৮ অক্টোবর, ১৯২৮ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের গুজরাতের আহমেদাবাদে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও রেফারি ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান ছিলেন। নিজের সেরা দিনগুলোয় দৃষ্টিনন্দন স্ট্রোকের ফুলঝুঁড়ি ছোটাতেন। ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম থেকে ১৯৬১-৬২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন…

  • | | |

    জিওফ রাবোন

    ৬ নভেম্বর, ১৯২১ তারিখে সাউথল্যান্ডের গোর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক কিংবা লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৪৫-৪৬ মৌসুম থেকে ১৯৬০-৬১ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও ওয়েলিংটনের প্রতিনিধিত্ব…

  • |

    ক্রেগ ইভান্স

    ২৯ নভেম্বর, ১৯৬৯ তারিখে সলসবারিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ড, মাতাবেলেল্যান্ড ও ম্যাশোনাল্যান্ড কান্ট্রি ডিস্ট্রিক্টসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, হারারেভিত্তিক ওল্ড গ্রিগোরিয়ান্সের পক্ষে খেলেছেন। ১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ২০০৩-০৪ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী…

  • | |

    অ্যালেন হিল

    ১৪ নভেম্বর, ১৮৪৩ তারিখে ইয়র্কশায়ারের নিউটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৮৭০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দয়ালু ও ভদ্র প্রকৃতির অ্যালেন হিল সতীর্থদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। ১৮৭১ থেকে ১৮৮৩ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী…