১১ অক্টোবর, ১৯১৭ তারিখে কেপ প্রভিন্সের কল্ক বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৪০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৩৯-৪০ মৌসুম থেকে ১৯৪৯-৫০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটাল ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন গড়ে উঠেনি। ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে কিম্বার্লীতে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের সদস্যরূপে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৭/৩৫ লাভ করেন। খেলায় ৮৮ রান খরচায় ১০ উইকেট নিয়ে কারি কাপের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে কেপটাউনে একই দলের সদস্যরূপে ইস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫১ রান তুলেন।
১৯৪৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ঐ বছর অ্যালান মেলভিলের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। সব মিলিয়ে এ সফর থেকে ২৩.৩২ গড়ে ৬৮ উইকেট দখল করেছিলেন। ৫ জুলাই, ১৯৪৭ তারিখে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ডেনিস ডায়ারের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ব্যাটিং উপযোগী পিচে প্রথম ইনিংসে ৩/১৪৩ লাভ করেন। এছাড়াও, দ্বিতীয় ইনিংসে ০/১৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। পাশাপাশি, খেলায় তিনি ৮ ও ৮* রান সংগ্রহ করেছিলেন। সফরকারীরা ৭ উইকেটে পরাজয়বরণ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৩.১০ গড়ে ১৫৫ উইকেট লাভ করেছিলেন। এছাড়াও, ১১.৩৫ গড়ে ৩৮৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। প্রশাসক হিসেবে বেশ সুনাম কুড়ান। ১৯৬৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ব্যবস্থাপক হিসেবে ইংল্যান্ড গমন করেন। বুন ওয়ালেসের নেতৃত্বে থেকে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স ক্রিকেট ইউনিয়নের সহঃসভাপতিত্ব করেন। এছাড়াও, মোব্রে গল্ফ ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। চার সন্তানের জনক। তন্মধ্যে, জেবি প্লিমসল নামীয় জ্যেষ্ঠ সন্তান স্টেলেনবশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছে। ১১ নভেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে কেপ প্রভিন্সের কেপটাউনে ৮২ বছর ১৫ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
