|

জ্যাক বারেট

১৫ অক্টোবর, ১৮৬৬ তারিখে ভিক্টোরিয়ার সাউথ মেলবোর্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে সবিশেষ পারদর্শী ছিলেন। ১৮৯০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

মেলবোর্নভিত্তিক ওয়েসলি কলেজে অধ্যয়ন করেছিলেন। এ পর্যায়ে সাউথ মেলবোর্ন, মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলেছিলেন। পরিবর্তিত বোলার হিসেবে ব্যবহৃত হতেন। ১৭ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়া পঞ্চদশের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থসারির দলের বিপক্ষে খেলেন।

ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি শক্ত প্রতিরক্ষাব্যূহ গড়ে অগ্রসর হতেন। প্রায়শঃই অপূর্ব ধৈর্য্যশীলতা প্রদর্শন করতেন। ১৮৮৪-৮৫ মৌসুম থেকে ১৮৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৮৪-৮৫ মৌসুমে মেলবোর্নে রাজ্য দলের প্রথম একাদশের সদস্যরূপে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম খেলেন। প্রথম ইনিংসে ৫/৩১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬/৪৯ লাভ করেন। এছাড়াও, নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে ৬৯, ৫৬ ও ৫৫ এবং সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। চিকিৎসাবিদ্যায় ব্যস্ত থাকায় কিছু সময় ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন।

১৮৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৯০ সালে বিলি মারডকের নেতৃত্বাধীন অজি দলের অন্যতম সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। অ্যাশেজ সিরিজে অংশ নেন। ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় ৯৭ এবং পোর্টসমাউথে অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ৯৬ রান তুলেন।

১৮৯০ সালে বিলি মারডকের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২১ জুলাই, ১৮৯০ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। কেনি বার্ন, হিউ ট্রাম্বল, পার্সি চার্লটন ও সিড গ্রিগরি’র সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন। ঘটনাবহুল ঐ টেস্টে ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেছিলেন। সফরকারীরা ১৭৬ রানে গুটিয়ে গেলেও তিনি ৬৭ রানে অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ছাড়েন। অবশ্য প্রথম ইনিংসে ৯ রানে বিদেয় নিয়েছিলেন। তবে, স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে জয়লাভ করলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

একই সফরের ১১ আগস্ট, ১৮৯০ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। এ টেস্টে তেমন সফলতার সন্ধান পাননি। খেলায় তিনি ০ ও ৪ রান সংগ্রহ করে উভয় ক্ষেত্রে ফ্রেড মার্টিনের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ঘটনাবহুল ঐ টেস্টে তিনি সহজ রান-আউট করতে ব্যর্থ হন ও ওভারথ্রোয়ের কারণে স্বাগতিক দল দুই উইকেটে নাটকীয়ভাবে বিজয়ী হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

খেলোয়াড়ী জীবন সংক্ষিপ্ত হলেও ব্যাটিংয়ের কারণে রেকর্ড বহিতে ঠাঁই করে নেন স্বীয় মহিমায়। ঐ বছর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে ২০.০৩ গড়ে ১২২৬ রান সংগ্রহ করেন। সব মিলিয়ে প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলো থেকে ২৫.৮১ গড়ে ২০৩৯ রান তুলেছিলেন। এছাড়াও, কদাচিৎ বোলিং করে ১৬.০০ গড়ে ২১ উইকেট দখল করেছিলেন। তিনবার ইনিংসে পাঁচ-উইকেট পেয়েছেন ও একবার খেলায় দশ উইকেট লাভ করেন।

ক্রিকেটের পাশাপাশি অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলে অংশ নিয়েছেন। ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৬ তারিখে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পিক হিল এলাকায় মাত্র ৪৯ বছর ১১৪ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | |

    শেন বন্ড

    ৭ জুন, ১৯৭৫ তারিখে ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের দূরন্ত গতিপণা, ক্ষীপ্রতা ও নান্দনিক পেসার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। অবিশ্বাস্য প্রতিভাবান বোলার হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবনের শুরু থেকে গতির ঝড় তুলে…

  • |

    এডওয়ার্ড ফন ডার মারউই

    ৯ নভেম্বর, ১৯০৩ তারিখে ট্রান্সভালের রাস্টেনবার্গ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। উইকেট-রক্ষণের পাশাপাশি ডানহাতে অপূর্ব ব্যাটিংশৈলীর স্বাক্ষর রাখতেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯২৮-২৯ মৌসুম থেকে ১৯৩৭-৩৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। সকল ধরনের খেলাধূলায় নিজেকে যুক্ত…

  • | | | | |

    শ্রীনিবাসরাঘবন বেঙ্কটরাঘবন

    ২১ এপ্রিল, ১৯৪৫ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক, রেফারি ও আম্পায়ার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারত দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘বেঙ্কট’ ডাকনামে পরিচিতি পান। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুম থেকে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয়…

  • |

    ডেনিস মরকেল

    ২৫ জানুয়ারি, ১৯০৬ তারিখে কেপ প্রভিন্সের প্লামস্টিড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও, স্লিপ অঞ্চলে ফিল্ডিং করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দীর্ঘ ও শক্ত-মজবুত গড়নের অধিকারী ছিলেন। চমৎকারভাবে বলকে অফের দিকে ঠেলে দিতেন। এছাড়াও, যে-কোন ধরনের বোলিংয়ের…

  • |

    রবিন স্মিথ

    ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩ তারিখে নাটালের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ‘জাজ’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছেন। সহোদর ক্রিস স্মিথ ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরু থেকেই তাঁর মাঝে বেশ প্রতিশ্রুতিশীলতা লক্ষ্য করা যায়। নিজের সময়কালে শীর্ষসারির অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের মর্যাদাপ্রাপ্ত…

  • |

    ব্রেন্ডন ম্যাককালাম

    ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮১ তারিখে ওতাগোর ডুনেডিনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ডানহাতে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পরিচিতি লাভ করেন। ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ‘বাজ’ ডাকনামে পরিচিতি পান। দ্রুত সাড়া…