২২ নভেম্বর, ১৯৭৫ তারিখে পানাদুরায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করে দলে কিছু অবদান রাখেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
লিকলিকে দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী। বেশ লাফিয়ে বলে সিম আনয়ণে দক্ষতা প্রদর্শনসহ বাউন্স প্রদানে সক্ষম। ফিল্ডার হিসেবেও মাঠের যে-কোন স্থানে অবস্থান করেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় পানাদুরাভিত্তিক শ্রী সুমঙ্গলায় অধ্যয়ন করেছেন। বিদ্যালয় পর্যায়ের অনূর্ধ্ব-১৩ দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে শ্রীলঙ্কা দলের সদস্য হন। এছাড়াও, কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে দেশের পক্ষে খেলেন। সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন।
১৯৯৫-৯৬ মৌসুম থেকে ২০০৫-০৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে বার্গার রিক্রিয়েশন ক্লাব, কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব ও পানাদুরা স্পোর্টস ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৯৯৯ থেকে ২০০১ সময়কালে শ্রীলঙ্কা দলের পক্ষে একটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৯ সালে স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। এ পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ায় কার্লটন এন্ড ইউনাইটেড সিরিজ, শারজায় কোকা কোলা ট্রফি ও তারপর জিম্বাবুয়ে সফর করেন।
১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে সনথ জয়সুরিয়া’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সাথে জিম্বাবুয়ে গমন করেন। ১৮ নভেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ইন্ডিকা ডি সরম ও তিলকরত্নে দিলশানের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। ০/৫৩ ও ০/২৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, দলের একমাত্র ইনিংসে ৩ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। তবে, মারভান আতাপাত্তু’র ব্যাটিং দৃঢ়তা স্বত্ত্বেও স্বাগতিকরা ড্র করতে সক্ষম হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
একই সফরের ১৯ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ওডিআইয়ে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়।
