২৮ জুলাই, ১৯৫৪ তারিখে ত্রিনিদাদের মারাভাল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৭০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৭১-৭২ মৌসুম থেকে ১৯৭৯-৮০ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন।
১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে অফুরন্ত প্রতিশ্রুতিশীলতা তাঁর মাঝে লক্ষ্য করা যায়। অনেকটা ভুল যুগে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মাইকেল হোল্ডিং, বার্নার্ড জুলিয়ান, অ্যান্ডি রবার্টসের ন্যায় পেসারদের ভীড়ে তাঁকে কেবলমাত্র একটি টেস্ট খেলার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। ঐ বছর নিজ দেশে বিষেন বেদী’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ৭ এপ্রিল, ১৯৭৬ তারিখে নিজ শহর পোর্ট অব স্পেনে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। আলবার্ট প্যাডমোরের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। জিআর বিশ্বনাথ ও এস বেঙ্কটরাঘবনের উইকেটের সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে রফিক জুমাদিন ও আলবার্ট প্যাডমোরকে সাথে নিয়ে ভারত দলকে গুটিয়ে দিলেও শেষ ইনিংসে তিনি ০/৫২ পেয়েছিলেন। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। ঐ টেস্টে তাঁর দল ছয় উইকেটে পরাজয়বরণ করলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফেরে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
এরপর, আর কয়েক মৌসুম প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছিলেন। তবে, পুরোপুরি পেস নির্ভর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে পরবর্তীতে তাঁকে আর টেস্ট দলে ফেরৎ নেয়া হয়নি।
