১ জুন, ১৯৩৩ তারিখে ক্যান্টারবারির র্যাঙ্গিওরা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ডানহাতি অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৫০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
১৯৫৩-৫৪ মৌসুম থেকে ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রেখেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিন মৌসুম জুড়ে মাত্র ১৫টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে, অর্ধেকের বেশী ক্রাইস্টচার্চে খেলেছেন।
সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের পর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান একাদশের বিপক্ষে ৪/৭৩ লাভের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় দলে খেলার সুযোগ এনে দেয়। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড সফরে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে অংশগ্রহণকৃত দুই টেস্ট খেলেন। উভয় টেস্টেই তাঁর দল শোচনীয়ভাবে পরাজয়বরণ করে। ঐ খেলাগুলো থেকে মাত্র এক উইকেটের সন্ধান পেয়েছিলেন। নিজ দেশে ডেনিস অ্যাটকিনসনের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৭ ও ০ রান সংগ্রহসহ ১/৭৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ইনিংস ও ৬৪ রানে পরাজিত হলে স্বাগতিকরা ২-০ ব্যবধানে সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
এরপর, একই সফরের ৩ মার্চ, ১৯৫৬ তারিখে ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ০ ও ১৮* রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, ৪১ রান খরচ করে কোন উইকেটের সন্ধান পাননি। খেলায় স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে পরাজিত হলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। পরের মৌসুমে আরও তিনটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিলেও খুব কমই সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। ২৫ আগস্ট, ২০১৯ তারিখে বে অব প্লেন্টির টাওরাঙ্গা এলাকায় ৮৬ বছর ৮৫ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
