৭ জুন, ১৯৩০ তারিখে সাউথল্যান্ডের ইনভারকার্গিল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিংকর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকর মিডিয়াম বোলিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। ১৯৫০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
নেলসন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন। এ সময়ে তিনি ক্রিকেট ও রাগবি খেলায় অংশ নিতেন। পরবর্তীতে ক্রিকেট খেলাকেই বেছে নেন। অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের মাধ্যমে ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে এগারো মৌসুম খেলেন। ১৯৫০-৫১ মৌসুম থেকে ১৯৬১-৬২ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন চলমান রাখেন। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে ওতাগোর বিপক্ষে নবম উইকেটে হ্যারি কেভের সাথে জুটি গড়ে ২৩৯ রান তুলেছিলেন। তৎকালীন ঐ রেকর্ড সৃষ্টিকালীন ১০ নম্বর অবস্থানে থেকে ১৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। তবে, ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত এটিই তাঁর একমাত্র পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস ছিল। একই মৌসুমে ৫৩ গড়ে ২১৩ রান সংগ্রহসহ ৪০.১৪ গড়ে ৭ উইকেট দখল করেছিলেন।
১৯৫৪ সালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। অনেকটা বিস্ময়করভাবেই ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে জিওফ রাবোনের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবার সুযোগ পান। ১ জানুয়ারি, ১৯৫৪ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। বিল বেলের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। তবে, তিনি তাঁর একমাত্র ইনিংস থেকে কোন রান সংগ্রহ কিংবা বল হাতে নিয়ে ৬ রান খরচ করলেও কোন উইকেট লাভ করতে পারেননি। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর শেষ টেস্টে পরিণত হয়। প্রথম-শ্রেণীর খেলাসহ পুরো সফরে ১২.৫৪ গড়ে মাত্র ১৩৮ রান ও ৩৩.৬০ গড়ে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে খেলা চলমান রাখেন। ক্যান্টারবারির বিপক্ষে নিজস্ব দ্বিতীয় শতরানের সন্ধান পান। এছাড়াও, ১৯৬১-৬২ মৌসুমে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৫/৬০ লাভ করেন। ১৯৫৮ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে যাচাই-বাছাইয়ের খেলার জন্যে মনোনীত হলেও চূড়ান্ত দলে ঠাঁই পাননি।
হক কাপের অন্যতম তারকা খেলোয়াড় ছিলেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৯ সময়কালে নেলসনের পক্ষে খেলেছেন। ২৩৩৬ রান সংগ্রহ করেছেন ও ১৬৬ উইকেট দখল করেছিলেন। ২০১১ সালে শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ঘোষিত শতাব্দীর সেরা দলের ১১জন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে মনোনীত হন।
