| |

হার্শেল গিবস

২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪ তারিখে কেপ প্রভিন্সের গ্রীন পয়েন্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। সর্বোচ্চমানের ফিল্ডিং ও আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে ক্রিকেট জগতে সবিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। মারকুটে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। সহজাত ক্রীড়াবিদ হিসেবে স্বীয় বিদ্যালয় দলের পক্ষে রাগবি, ক্রিকেট ও ফুটবল খেলায় প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরু থেকেই নিজেকে দূর্দান্ত ফিল্ডার হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছিলেন। স্ট্যাম্পে ক্রমাগত বল ফেলার দক্ষতার কারণে এক পর্যায়ে দলের নিয়মিত সদস্যরূপে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন।

১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ২০০৯-১০ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স, টাইটান্স ও নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহাম, গ্ল্যামারগন, ইয়র্কশায়ারের পক্ষাবলম্বন করেন। তন্মধ্যে, ১৯৯০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, কেপ কোবরাস, ডেকান চার্জার্স, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, পার্থ স্কর্চার্স, খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস ও সেন্ট লুসিয়া জুকসের পক্ষে খেলেছেন। ২০০৮ সালে গ্ল্যামারগনের ক্যাপ লাভ করেন।

১৯৯৬ থেকে ২০১০ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বমোট ৯০ টেস্ট, ২৪৮টি ওডিআই ও ২৩টি টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ২২ বছর বয়সে ১৩ অক্টোবর, ১৯৯৬ তারিখে নাইরোবির জিমখানায় স্বাগতিক কেনিয়ার বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অঙ্গনে প্রবেশ করেন। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২১ বল মোকাবেলা করে ১৭ রান তুললেও প্রোটিয়াসরা খুব সহজেই ২০২ রানের ব্যবধানে জয় পায়। ১৯৯৯ সালের পূর্ব-পর্যন্ত তেমন উল্লেখযোগ্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতে পারেননি। এ বছরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম শতরানের সন্ধান পান। ১৯৯৯ সালে মাঠে স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২১১ রান তুলেন ও ফিল্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রয়াস চালাতে থাকেন।

১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সাধারণ ক্যাচ তালুবন্দী করতে না পারার খেসারত গুণতে হয় পুরো দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে। স্টিভ ওয়াহ’র ক্যাচ শূন্যে ফেলে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। ঐ সময় ওয়াহ ব্যাঙ্গাত্মকভাবে তাঁকে মন্তব্য করেন যে, ‘তুমি এইমাত্র বিশ্বকাপ ফেলে দিলে।’ ফলশ্রুতিতে জীবন ফিরে পেয়ে স্টিভ ওয়াহ ১২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয়লাভে ভূমিকা রাখেন ও প্রোটীয়রা বিশ্বকাপ থেকে বিদেয় নিতে বাধ্য হয়।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ইনিংস খেলে নিজেকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। ৪৩৪ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে ১১১ বল মোকাবেলায় ১৭৫ রান তুলেন। এটিই তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের স্বর্ণালী মুহূর্ত ছিল।

তিনজন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে ওডিআইয়ে ধারাবাহিকভাবে তিনটি শতরানের ইনিংস খেলেছেন। কেনিয়া, ভারত ও বাংলাদেশের বিপক্ষে যথাক্রমে ১১৬, ১১৬ ও ১৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তবে, অল্পের জন্যে চতুর্থ শতক হাঁকানো থেকে বঞ্চিত হন। পরের খেলায় ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ওডিআইয়ে এক ওভারে ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অনন্য রেকর্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। এছাড়াও, জ্যাক ক্যালিসের পর দ্বিতীয় দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ওডিআই থেকে ১০৮ ও টেস্ট থেকে ৯৪ ক্যাচ পেয়েছিলেন।

১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে হান্সি ক্রোনিয়ে’র নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে ভারত গমন করেন। ২৭ নভেম্বর, ১৯৯৬ তারিখে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ল্যান্স ক্লুজনারের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৩১ ও ৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, দুইটি রান-আউটের সাথে নিজেকে জড়ান। তবে, গ্যারি কার্স্টেনের অসাধারণ জোড়া শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ৩২৯ রানে পরাভূত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে হান্সি ক্রোনিয়ে’র নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১১ মার্চ, ১৯৯৯ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। চমৎকার ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনে অগ্রসর হন ও বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ৩৩ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এ পর্যায়ে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৫৪ রান অতিক্রম করেন। পাশাপাশি, টেস্টে নিজস্ব প্রথম শতক হাঁকান। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ২১১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০০০-০১ মৌসুমে শন পোলকের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গমন করেন। ১৯ এপ্রিল, ২০০১ তারিখে কিংস্টনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ৬ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ১৮ ও ৫১ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হন। রিডলি জ্যাকবসের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৩০ রানে জয় পেলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

২০০১-০২ মৌসুমে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে শন পোলকের নেতৃত্বে স্প্রিংবকের অন্যতম সদস্যরূপে জিম্বাবুয়ে গমন করেন। ৭ সেপ্টেম্বর, ২০০১ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অংশ নেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টের প্রথম দিন গ্যারি কার্স্টেনকে সাথে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ২৫৬ রান তুলে দ্বি-পক্ষীয় রেকর্ড গড়েন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের বীরোচিত ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

২০০২-০৩ মৌসুমে নিজ দেশে ওয়াকার ইউনুসের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ২ জানুয়ারি, ২০০৩ তারিখে কেপটাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। চমৎকার ক্রীড়ানৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ২২৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসামান্য ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে খেলায় স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৪২ রানে জয় পেয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।

২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ বছর গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে বাংলাদেশ সফরে যান। ২৪ এপ্রিল, ২০০৩ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ১৭ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। অভিষেকধারী জ্যাক রুডল্ফের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় খেলায় স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৬০ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

একই বছর প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২৪ জুলাই, ২০০৩ তারিখে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টের প্রথম দিন দলীয় অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের (২৭৭) সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৩৮ রান তুলেন। এরফলে, ১৯৩০-৩১ মৌসুমে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বি মিচেল ও আইজে সিডলের গড়া ২৬০ রানের রেকর্ড ভেঙ্গে যায়। খেলায় তিনি ১৭৯ ও ৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, গ্রায়েম স্মিথের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

২০০৩-০৪ মৌসুমে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ১৮ মার্চ, ২০০৪ তারিখ থেকে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৪৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৮০ ও ৬১ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ক্রিস মার্টিনের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৯ উইকেটে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।

টেস্টে দুইবার দ্বি-শতক হাঁকিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৬৮ বলে ২১১ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৪০ বলে ২২৮ রান তুলেছিলেন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে নিজ দেশে ডোয়াইন ব্র্যাভো’র নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ১০ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ২৭ রান সংগ্রহসহ তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। তবে, অ্যাশওয়েল প্রিন্সের অসাধারণ শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১০০ রানে জয় পেলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

৪৩ বছর বয়সে বিগ ব্যাশ লীগে পার্থ স্কর্চার্সের পক্ষে খেলেন। ২০১১-১২ মৌসুমে ৭ খেলায় ৩০২ রান তুলে দলকে চূড়ান্ত খেলায় নিয়ে যান। ২০০৯ সালের আইপিএল আসরে ডেকান চার্জার্সের পক্ষে খেলে ৫৩ রান তুলেন ও দলের শিরোপা বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

হান্সি ক্রোনিয়ের সাথে পাতানো খেলায় জড়িয়ে পড়ার অপরাধে ছয় মাসের জন্যে নিষিদ্ধতার কবলে পড়েন। ১০ মে, ২০১০ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০আইয়ে অংশ নেয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। খেলায় তিনি মাত্র তিন রান তুলেন ও পাকিস্তান দল ১১ রানে জয়লাভ করে। ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৪ সালে সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেট অ্যানুয়েল বর্ষসেরা ক্রিকেট পুরস্কার লাভ করেন।

১৪ জুলাই, ২০২০ তারিখে লুঙ্গি এনগিডি’র বিএলএম অবস্থানে মাখায়া এনটিনি, ভার্নন ফিল্যান্ডার ও জেপি ডুমিনি’র সাথে একত্রে স্বাক্ষর করেন। ডিন জোন্সের মৃত্যুজনিত শূন্যতা পূরণে ২ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে করাচী কিংসের প্রধান কোচ হিসেবে মনোনীত হন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। টেনাইল পোভি নাম্নী এক রমণীর সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হলেও পরবর্তী বিবাহ-বিচ্ছেদে পরিণত হয়।

Similar Posts

  • | |

    অজিঙ্কা রাহানে

    ৬ জুন, ১৯৮৮ তারিখে মহারাষ্ট্রের অশ্বি-কেডি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। দলে মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, ভারত দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি (১.৬৮ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। বাবুরাও রাহানে ও সুজাত রাহানে দম্পতির সন্তান। শশাঙ্ক রাহানে…

  • | | |

    লেন হাটন

    ২৩ জুন, ১৯১৬ তারিখে ইয়র্কশায়ারের ফালনেক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও পেশাদার ক্রিকেটার এবং প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। ধ্রুপদীশৈলীর ব্যাটসম্যান হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। ১৯৩৪ থেকে ১৯৫৫ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর…

  • |

    লেন টাকেট

    ১৯ এপ্রিল, ১৮৮৫ তারিখে নাটালের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। ১৯১০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটাল ও অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯০৯-১০ মৌসুম থেকে ১৯২৯-৩০ মৌসুম পর্যন্ত…

  • | |

    ফ্রান্সিস ম্যাককিনন

    ৯ এপ্রিল, ১৮৪৮ তারিখে লন্ডনের প্যাডিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন তিনি। ১৮৭০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। হ্যারোভিয়ান হিসেবে প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পাননি। এক পর্যায়ে কেমব্রিজের অধীনে সেন্ট জোন্স কলেজে দারুণ খেলে ব্লু আদায় করে নিতে সক্ষম হন। ১৮৭০ সালে অক্সফোর্ডের…

  • | |

    ট্রেভর চ্যাপেল

    ১২ অক্টোবর, ১৯৫২ তারিখে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার গ্লেনেল্গ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতে পারতেন। এছাড়াও, কভার অঞ্চলে দূর্দান্ত ফিল্ডিং করতেন। ১৯৮০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। অ্যাডিলেডভিত্তিক প্রিন্স আলফ্রেড কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। ক্রিকেটপ্রিয় পরিবারে জন্ম। ১৯৭২-৭৩ মৌসুম থেকে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম পর্যন্ত…

  • | |

    মমিনুল হক

    ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯১ তারিখে কক্সবাজারে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। আকর্ষণীয় ভঙ্গীমায় বামহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে কার্যকর বামহাতি স্পিনার হিসেবে আবির্ভূত হন। বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল স্তরে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। খর্বাকায় ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। ‘সৌরভ’ ডাকনামে পরিচিত মমিনুল হক মুমিনুল…