২৪ নভেম্বর, ১৮৯৪ তারিখে ইয়র্কশায়ারের সামারব্রিজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
অন্যতম সেরা ও কিংবদন্তীতুল্য ব্যাটসম্যান ছিলেন। সিবি ফ্রাই তাঁকে ‘দ্য হ্যাচেট ম্যান’ ডাকনামে আখ্যায়িত করতেন। ওয়ালি হ্যামন্ড কিংবা জ্যাক হবসের সমতুল্য ছিলেন না। এছাড়াও, কোনরূপ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি। স্বকীয় কৌশল অবলম্বন করতেন। অফ-ড্রাইভে অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। ১৯১৯ থেকে ১৯৪৫ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করতেন। এছাড়াও, বিজিয়ানাগ্রামের মহারাজ কুমার একাদশের পক্ষে খেলেছেন।
১৯২৪ থেকে ১৯৩৫ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বমোট ৫৪ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯২৪ সালে নিজ দেশে হার্বি টেলরের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ১৪ জুন, ১৯২৪ তারিখে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী অংশ নেন। পার্সি চ্যাপম্যান, জর্জ উড, মরিস টেট ও রয় কিলনারের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৬৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ইনিংস ও ১৮ রানে জয়লাভ করলে স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
একই সফরের ২৮ জুন, ১৯২৪ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। কয়েকবার ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৬৪ রান অতিক্রম করেন। এ পর্যায়ে টেস্টে নিজস্ব প্রথম শতক হাঁকান। খেলায় তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে দলের একমাত্র ইনিংসে ১২২ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তন্মধ্যে, উদ্বোধনী জুটিতে জ্যাক হবসের (২১১) সাথে ২৬৮ রানের জুটি গড়েছিলেন। সফরকারীরা ইনিংস ও ১৮ রানে পরাভূত হলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।
১৯২৪-২৫ মৌসুমে আর্থার জিলিগানের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের অন্যতম সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ১৯ ডিসেম্বর, ১৯২৪ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। খেলায় তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে ৫৯ ও ১১৫ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে আর্থার মেইলি’র শিকারে পরিণত হন। ১৯৩ রানে জয় পেলে স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
১৯২৬ সালে নিজ দেশে হার্বি কলিন্সের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ১৪ আগস্ট, ১৯২৬ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৭৬ ও ১৬১ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে আর্থার মেইলি’র শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। স্বাগতিকরা ২৮৯ রানে জয় পেলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।
১৯২৭-২৮ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে রনি স্ট্যানিফোর্থের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯২৭ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১০২ ও ৪১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। সফরকারীরা ১০ উইকেটে জয় পেলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
১৯২৯ সালে নিজ দেশে নামি ডিনের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ১৫ জুন, ১৯২৯ তারিখে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ২৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ২৬ ও ১১৪ রান সংগ্রহ করেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
এরপর, ২৯ জুন, ১৯২৯ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলেন। খেলায় তিনি ১০০ ও ১০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয় ও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
একই সফরের ১৭ আগস্ট, ১৯২৯ তারিখে ওভালে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১০৪ ও ১০৯* রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে সফরকারীরা ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
জ্যাক হবসকে সাথে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে স্মরণীয় ভূমিকা রাখেন। অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকই বিভিন্ন কারণে তাঁদের মধ্যকার জুটিকে বিশ্বের সেরা জুটিরূপে আখ্যায়িত করেছেন। ফেব্রুয়ারি, ১৯২৫ সালে মেলবোর্নে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁরা ২৮৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এটি তাঁদের উপর্যুপরী তৃতীয় শতরানের জুটি ছিল। ১৯২৪ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে ৬ বছরে তাঁরা ইংল্যান্ডের পক্ষে ৩২৪৯ রান তুলেছিলেন। এ সংখ্যাটি সর্বকালের তালিকায় ৮ম স্থানে অবস্থান করছে। কমপক্ষে ১০০০ রান সংগ্রহকারী যে-কোন উদ্বোধনী জুটির তুলনায় তাঁরা ৮৭.৮১ গড়ে রান পেয়ে অদ্যাবধি শীর্ষে অবস্থান করছেন। এছাড়াও, পার্সি হোমসের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে ৫৫৫ রানের জুটি গড়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন। ১৯২৫ সালে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে অপূর্ব খেলেন। দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১৭৬ ও ১২৭ তুলেন। তাসত্ত্বেও, ইংল্যান্ড দল ৮১ রানে পরাজিত হয়েছিল।
১৯৩১ সালে নিজ দেশে টম লরি’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৯ জুলাই, ১৯৩১ তারিখে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ১০৪ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৩৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ১১৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। স্বাগতিকরা ইনিংস ও ২৬ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
১৬ জুন, ১৯৩২ তারিখে পার্সি হোমসের সাথে বিশ্বরেকর্ডে অংশ নেন। লন্ডনের লিটনে অনুষ্ঠিত খেলায় ইয়র্কশায়ারের সদস্যরূপে এসেক্সের বিপক্ষে তাঁরা ৫৫৫ রান তুলেন। জ্যাক হবসের চেয়ে ১২ বছরের ছোট ছিলেন। ৭৫৪টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ১৫১টি শতক সহযোগে ৫০৬৭০ রান তুলেন। এছাড়াও, ৫৪ টেস্টে অংশ নিয়ে ৬০.৭৩ গড়ে ৪৫৫৫ রান পেয়েছেন। কমপক্ষে ১০টি পূর্ণাঙ্গ ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় গড়ের দিক দিয়ে ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছেন। এছাড়াও, টেস্ট গড়ের দিকে দিয়ে যে-কোন ইংরেজ ব্যাটসম্যানের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সর্বদাই ষাটোর্ধ্ব গড়ে রান তুলে বিখ্যাত ক্রিকেটার ডন ব্র্যাডম্যানের সাফল্যকে ম্লান করে দিয়েছেন।
তারকা খ্যাতিতে ভাস্বর জ্যাক হবসের সাথে স্কারবোরা উৎসবে প্রথমবারের মতো একত্রে খেলেন। সিআই থর্নটন একাদশের বিপক্ষে এ জুটির সংগ্রহ ১২০ থাকা অবস্থায় তিনি শতরান স্পর্শ করেন। দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টিকোণে জ্যাক হবসের নির্দেশনায় তরুণ ব্যাটসম্যানকে পরিচালিত করার লক্ষ্যে যুক্ত করা হয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলার পথ সুগম করাই প্রধান লক্ষ্য ছিল। জ্যাক হবসকে ১৯২০-এর দশকের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে বাদ পড়ার পরই কেবলমাত্র তাঁর টেস্ট অভিষেক পর্ব দেরীতে সম্পন্ন হয়েছিল। ১৯২৪ সালে এ জুটি প্রথমবারের মতো নিজেদের মেলে ধরতে সচেষ্ট হয়। তাঁরা প্রথম দুই খেলায় ১৩৬ ও ২৬৮ রান তুলেন। বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে নতুন উদ্বোধনী জুটির আগমনী বার্তা তুলে ধরেন ও পরবর্তী ছয় বছর আর তাঁদেরকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
ইয়র্কশায়ারের পক্ষে কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। স্যার ডন ব্র্যাডম্যান তাঁকে ব্যাটিং উইকেটে ও স্যার জ্যাক হবসকে ব্যাটিং অনুপযোগী উইকেটে সেরা ব্যাটসম্যানরূপে আখ্যায়িত করেছেন। ১৯২৬ সালের অ্যাশেজ সিরিজে ওভাল টেস্টের পূর্বে ০-০ ব্যবধানে অগ্রসর হবার পর সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দল প্রথম ইনিংসে ২২ রানে এগিয়ে যায়। পূর্বরাত্রের বৃষ্টিতে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ধ্বসকে সামনে রেখে এ জুটি ১৭২ রান তুলেন। স্বাগতিক ইংল্যান্ড দল চার শতাধিক রানে এগিয়ে যায় ও উপর্যুপরী তিন সিরিজ পর অ্যাশেজ জয়ের স্বপ্ন দেখে।
১৯৩৫ সালে নিজ দেশে হার্বি ওয়েডের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ১৫ জুন, ১৯৩৫ তারিখে নটিংহামে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৪৭ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৪৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ৬১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি আমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
১৯৩৫ সালে নিজ দেশে হার্বি ওয়েডের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ২৯ জুন, ১৯৩৫ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৩ ও ৩৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ১৫৭ রানে পরাজয়বরণ করলে স্বাগতিকরা পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
টেস্টগুলো থেকে ৬০.৭৩ গড়ে ৪৫৫৫ রান তুলেছিলেন। টেস্টে দ্রুততম সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শের গৌরব অর্জন করেন। পরবর্তীতে, এভারটন উইকস ১২ ইনিংস থেকে এ মাইলফলক স্পর্শ করে এ রেকর্ডের সমকক্ষ হন।
১৯২০ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। ২০০৯ সালে আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডে নির্বাচকের দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি, ২১ বছর ইয়র্কশায়ার কমিটির সদস্য ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনের বিবাহিত ছিলেন। ২৬ বছর বয়সে এমিলি পিজের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। এ দম্পতির দুই পুত্র ও এক কন্যা ছিল। তন্মধ্যে, এক পুত্র উইলিয়াম হার্বার্ট হবস সাটক্লিফ ইয়র্কশায়ারের পক্ষে নয় বছর খেলেছে। জীবনের শেষদিকে বাতরোগে ভুগেন ও এক পর্যায়ে হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে বাধ্য হন। ২২ জানুয়ারি, ১৯৭৮ তারিখে ইয়র্কশায়ারের ক্রস হিলস এলাকায় নার্সিং হোমে ৮৩ বছর ৫৯ দিন বয়সে তাঁর জীবনাবসান ঘটে।
