৫ নভেম্বর, ১৮৯১ তারিখে ওয়েলিংটনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। ১৯১৩-১৪ মৌসুম থেকে ১৯৩২-৩৩ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ওয়েলিংটনের অন্যতম প্রসিদ্ধ অল-রাউন্ডার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৯১৪ থেকে ১৯৩২ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৮.৭১ গড়ে ৩৯৯২ রান তুলেন। এছাড়াও, ২৭.০৪ গড়ে ২৩৯ উইকেট দখল করেছিলেন। ১৯২৭ সালে টি. সি. লরি’র নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। সবগুলো খেলা থেকে ২১.৮৬ গড়ে ৮০৯ রান সংগ্রহ ও ২৩.৯৮ গড়ে ৬৯ উইকেট দখল করেছিলেন।
১৯২৯-৩০ মৌসুমে সব মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে মাত্র দুই টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। উভয় টেস্টই এ সিরিজে খেলেন। ১৯২৯-৩০ মৌসুমে নিজ দেশে হ্যারল্ড জিলিগানের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। সিরিল অলকটের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ টেস্টে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৪৬ রান খরচ করলেও কোন উইকেটের সন্ধান পাননি। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। প্রথম দুই দিন বৃষ্টিবিঘ্নিত হলে চতুর্থ টেস্টের আয়োজন করা হয়।
তবে, একই মাঠে ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নিয়ে দলের একমাত্র ইনিংসে ৫১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ১/৬৫ ও ০/৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পরও ক্লাব ক্রিকেটে সক্রীয় ছিলেন। ৬৭ বছর বয়সে ৭০ রান তুলেন। পরদিন সকালে দুধ পান করে ঘুমিয়ে পড়েন ও খেলা ছেড়ে দেন। ১৪ এপ্রিল, ১৯৬৪ তারিখে নেলসনে ৭২ বছর ১৬১ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
