২৬ জুন, ১৯৩২ তারিখে কেপ প্রভিন্সের মোসেল বেল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৬০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে ১৯৬৮-৬৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। দলটির পক্ষে এক যুগ খেলে ২০১ উইকেট করায়ত্ত্ব করেন। তবে, সর্বদাই তাঁকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে হিউ টেফিল্ডের সাথে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়েছিল।
১৯৬১ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে নয়টিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। হিউ টেফিল্ডের অবসর গ্রহণের কারণে তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণের পথ সুগম হয়। ১৯৬১-৬২ মৌসুমে নিজ দেশে জন রিডের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৮ ডিসেম্বর, ১৯৬১ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। কলিন ব্ল্যান্ড, এডি বার্লো, গুফি লরেন্স, কেনেথ ওয়াল্টার, কিম এলজি ও পিটার পোলকের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ব্যাট হাতে নিয়ে ০ ও ০* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/২৩ ও ৩/৩৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। সফরকারী দল ৩০ রানে পরাজিত হলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
বলে নিখুঁতভাব আনয়ণে সচেষ্ট থাকতেন। কেপটাউনে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সফরকারী ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪৪২ রান হলেও একনাগাড়ে ৫৭ ওভার বোলিং করে ৫/৮৮ লাভ করেন।
একই সফরের ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬২ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথের জিকিবার্হায় অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১১ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ২১ ও ০ রান সংগ্রহসহ তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/১৫ ও ০/০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলা শেষ হবার মাত্র ২১ মিনিট পূর্বে সফরকারীরা ৪০ রানে জয়লাভ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে শেষ হয়।
একবারই ইংল্যান্ড সফরের সুযোগ পান। ১৯৬৫ সালে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ বছর পিটার ফন ডার মারউই’র নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২২ জুলাই, ১৯৬৫ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২/৭১ ও ০/৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ৯* ও ০ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। পরবর্তীতে, তরুণ অ্যাথল ম্যাককিননকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হলে তাঁকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে চলে আসতে হয়।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে ৮৮ বছর ১৮৪ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
