১০ ডিসেম্বর, ১৮৪৭ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের সিডনিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১.৮৩ মিটার উচ্চতার অধিকারী ছিলেন। ড্যানিয়েল বয়সে ও শার্লত দম্পতির সন্তান। বোলিংকালে দৃঢ় প্রত্যয়ী মনোভাব পোষণ করতেন। ১৮৭১-৭২ মৌসুম থেকে ১৮৮৭-৮৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৮৭৯ থেকে ১৮৮৪ সাল পর্যন্ত সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বমোট ১২ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ১৮৮০, ১৮৮২ ও ১৮৮৪ – এ তিনবার ইংল্যান্ড গমন করেছেন। ১৮৭৮-৭৯ মৌসুমে নিজ দেশে লর্ড হ্যারিসের নেতৃত্বাধীন দলের মুখোমুখি হন। ২ জানুয়ারি, ১৮৭৯ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। অ্যালেক ব্যানারম্যান ও ফ্রাঙ্ক অ্যালানের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ১/১১ ও ১/১৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ২৮ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয়লাভ করেছিল।
১৮৭৮ সালের ইংল্যান্ড সফরে ফ্রেড স্পফোর্থ ও জ্যাক ব্ল্যাকহামের পর সর্বাধিক খ্যাতি কুড়িয়েছেন। এ পর্যায়ে বলে ক্ষীপ্রতা আনয়ণ করেননি কিংবা কৌশল অবলম্বন না করে সাধারণমানের বোলিং করে সফল হন। ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে পাল্টা আক্রমণে পর্যদুস্ত হলেও দুঃশ্চিন্তা করতেন না এবং আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান ছিলেন। দৃশ্যতঃ সিলি মিড-অন অঞ্চলে ফিল্ডিং করে বেশ কিছু স্মরণীয় ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন।
১৮৮৪-৮৫ মৌসুমে নিজ দেশে আর্থার শ্রিউসবারি’র নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১২ ডিসেম্বর, ১৮৮৪ তারিখে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ২/৯৫ ও ১/২১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ১ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। সফরকারীরা ৮ উইকেটে জয়লাভ করে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
সবগুলো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে এক শতক সহযোগে ১০.২৪ গড়ে রান তুলেছিলেন। এছাড়াও, ১৫.৩৮ গড়ে ৩৭০ উইকেট দখল করেছেন। ইনিংসে ২৬বার পাঁচ-উইকেট ও ছয়বার খেলায় ১০ উইকেট পেয়েছিলেন।
ক্রিকেটের পাশাপাশি সহজাত প্রকৃতির অ্যাথলেট ছিলেন। এছাড়াও, ক্রিকেটে অংশ নেয়ার পূর্বে অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড় ছিলেন। ১৮৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে কার্লটন ফুটবল ক্লাবে অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবল খেলেছেন। ১৮৯০ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থেকে ইংল্যান্ড সফরে যান।
১৮৭৯ সালে ডেভিড স্কটের সাথে অংশীদারী কারবার গঠন করেন। মেলবোর্নের বোর্ক স্ট্রিটে তাঁর সাথে ক্রিকেট, ফুটবল ও ক্রীড়াসামগ্রী প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। তাঁর ভগ্নী মার্গারেট উইলসনের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। তাঁদের অংশীদারী কারবার বিলুপ্ত হলে বেন্ডিগোয় ফিরে আসেন। সেখানে কালেক্টরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। গুরুতর অস্ত্রোপচারকালে ২১ নভেম্বর, ১৯০৭ তারিখে ভিক্টোরিয়ার ইস্ট বেন্ডিগো এলাকায় ৫৯ বছর ৩৪৬ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
