| |

হ্যারল্ড জিলিগান

২৯ জুন, ১৮৯৬ তারিখে লন্ডনের ডেনমার্ক হিল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে সবিশেষ পারদর্শী ছিলেন। ১৯৩০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।

ফেয়ারফিল্ড স্কুল ও ডালউইচ কলেজে পড়াশুনো করেছেন। তিন বছর ডালউইচ একাদশে খেলেন। তন্মধ্যে, ১৯১৫ সালে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন রয়্যাল নেভাল এয়ার সার্ভিসের পাইলট ছিলেন। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কিয়েলে জার্মান ঘাঁটির উপর দিয়ে যান। পিতার প্রতিষ্ঠান কার্লটোনায় উপ-পরিচালক হিসেবে যোগ দেয়ার পর সফলতার সাথে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।

সাসেক্সের পক্ষে গৌরবান্বিত খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। বর্ণাঢ্যময় ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিতকারী ভ্রাতৃত্রয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ ছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্স দলের পক্ষাবলম্বন করেন। ১৯১৯ থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। প্রায়শঃই আর্থার জিলিগানের অনুপস্থিতিতে দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্বে থাকতেন।

১৯২৪-২৫ মৌসুমে এস. বি. জোয়েলের পরিচালনায় লর্ড টেনিসনের নেতৃত্বে স্বীকৃতিবিহীন দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। স্বাস্থ্যগত কারণে স্বীয় ভ্রাতা নাম প্রত্যাহার করলে তিনি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। উদ্যমী ব্যাটসম্যান হিসেবে স্ট্রোক খেলতে অধিক পছন্দ করতেন। তবে, নিজের শুরুরদিকে প্রতিশ্রুতিশীলতা পরবর্তীকালে কখনও মেলে ধরতে পারেননি। সাসেক্সের পক্ষে ১৭ গড়ে রান তুলেছিলেন। ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ১৪৩ রানের একমাত্র শতক হাঁকিয়েছেন। ১৯২৩ সালে এক মৌসুমে ৭০টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলে রেকর্ড গড়েন।

১৯৩০ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। সবগুলো টেস্টই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ১৯২৯-৩০ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্ট সফরে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ঐ সিরিজে সফরকারী দল ১-০ ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। ১০ জানুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। স্মর্তব্য যে, এটিই নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম খেলা ছিল। মরিস অলম, মরিস টার্নবুল, স্ট্যান নিকোলস, স্ট্যান ওয়ার্থিংটন ও টিচ কর্নফোর্ডের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ১০ ও ৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। সফরকারীরা ৮ উইকেটে জয় পেলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

একই সফরের ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

সব মিলিয়ে ৩২১টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৮৮৭৩ রান ও ১১৫ উইকেট দখল করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারেতে চলে যান। ক্রিকেটের বাইরে গল্ফের প্রতি তাঁর ঝোঁক লক্ষ্য করা যায়। জীবনের শেষদিকে সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব কমিটিতে যুক্ত ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। ১ জুন, ১৯৩৩ তারিখে মারজোরি উইনফ্রেড হোয়াইট নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির কন্যা ভার্জিনিয়াকে সারে ও ইংল্যান্ডের অধিনায়ক পিটার মে’র কাছে বিয়ে দেন। ৫ মে, ১৯৭৮ তারিখে সারের স্ট্রুড কমন এলাকায় ৮১ বছর ৩১০ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | | |

    রশীদ লতিফ

    ১৪ অক্টোবর, ১৯৬৮ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে মুহাজির পরিবারে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। উইকেট-রক্ষণ ও ডানহাতে ব্যাটিং করে উভয় বিভাগেই সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। ১৯৯২ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে এক দশকের অধিক সময় পাকিস্তান…

  • |

    এস শ্রীশান্ত

    ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৩ তারিখে কেরালার কথামঙ্গলমে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। ‘গপু’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০০২-০৩ মৌসুম থেকে ২০১২-১৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের…

  • |

    টাইরেল জনসন

    ১০ জানুয়ারি, ১৯১৭ তারিখে ত্রিনিদাদের টুনাপুনা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। বামহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৩০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। বেশ লম্বাটে ও শীর্ণকায় গড়নের অধিকারী ছিলেন। ক্ষীপ্রতা সহকারে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। এছাড়াও, প্রয়োজনে কার্যকর ইন-সুইং করতেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট…

  • | | |

    গর্ডন গ্রীনিজ

    ১ মে, ১৯৫১ তারিখে বার্বাডোসের ব্ল্যাক বেস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়াও, দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইংল্যান্ডের রিডিংভিত্তিক সাটন সেকেন্ডারি স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। বিধ্বংসী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের পরিচিতি পেয়েছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট…

  • |

    ডানকান শার্প

    ৩ আগস্ট, ১৯৩৭ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণকারী অ্যাংলো-পাকিস্তানী ক্রিকেটার। কার্যকর ও আগ্রাসী ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাশাপাশি, বিশ্বস্ত উইকেট-রক্ষক হিসেবে খ্যাতি কুড়ান। ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুম থেকে ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে লাহোর,…

  • | | |

    চেতন চৌহান

    ২১ জুলাই, ১৯৪৭ তারিখে উত্তরপ্রদেশের বারিলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ, প্রশাসক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। শ্রী নবরতন সিং চৌহানের সন্তান ছিলেন। মহারাষ্ট্রের পুণেভিত্তিক এ. ওয়াদিয়া কলেজে অধ্যয়ন করেন এবং বি.এ., বি.কম ডিগ্রী লাভ করেন।…