|

হরভজন সিং

৩ জুলাই, ১৯৮০ তারিখে পাঞ্জাবের জলন্ধরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে অবদান রেখেছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। সরদার সরদেব সিং প্লাহা ও অবতার কৌর দম্পতির সন্তান ছিলেন। ভারতের অন্যতম সেরা অফ-স্পিনারের মর্যাদা পেয়েছেন। তাঁর অফ-ব্রেক বোলিং দেখতে ভীতিকর ছিল। পিচে পর্যাপ্ত পেস আনয়ণ করতেন। বলকে উভয় দিক দিয়েই ঘুরাতে পারতেন। এক পর্যায়ে সন্দেহজনক বোলিংয়ের কারণে দূরে থাকেন ও পরবর্তীতে দলে ফিরিয়ে আনা হয়। শুরুতেই উইকেটের সন্ধান পেলে তিনি বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতেন। এর ব্যতিক্রম হলে প্রায়শঃই খেঁই হারিয়ে ফেলতেন।

১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ২০১৭-১৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে পাঞ্জাব এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার, সারে ও এসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, এয়ার ইন্ডিয়া, এশীয় একাদশ, আন্তর্জাতিক একাদশ, চেন্নাই সুপার কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেছেন।

১৯৯৮ থেকে ২০১৬ সময়কালে ভারতের পক্ষে সর্বমোট ১০৩ টেস্ট, ২৩৬টি ওডিআই ও ২৮টি টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছেন। ২০০০-০১ মৌসুমে নিজ দেশে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনিল কুম্বলে’র আঘাতের কারণে তাঁকে দলে ঠাঁই দেয়া হয়। তবে, এর ব্যতয় ঘটলে হয়তোবা তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাক চালনায় নিজেকে যুক্ত রাখতেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফলতার পিছনে সৌরভ গাঙ্গুলী’র অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। যদি সৌরভ গাঙ্গুলী সহায়তার হাত প্রসারিত না করতেন তাহলে হয়তোবা ট্রাক চালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েই বিস্ময়করভাবে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন।

১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে নিজ দেশে মার্ক টেলরের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ২৫ মার্চ, ১৯৯৮ তারিখে ব্যাঙ্গালোরে সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ৪* ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ২/১১২ ও ০/২৪ বোলিং বিশ্লেষণসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। সফরকারীরা ৮ উইকেটে জয় পেলেও স্বাগতিকরা তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়লাভ করে।

১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৮ তারিখে ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি উভয় ইনিংসে ১ রান করে সংগ্রহ করে ক্রেগ ম্যাকমিলানের বলে বিদেয় নেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৬১ ও ০/১১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করেছিলেন। সায়মন ডৌলের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৪ উইকেটে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে যায়।

২০০০-০১ মৌসুমে তিন টেস্টে অংশ নিয়ে ১৭ গড়ে ৩২ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, শেষ দুই টেস্টে ১৫ গড়ে ২৮ উইকেট পেয়েছিলেন। দলের অন্য কেউ চার উইকেটের বেশী পাননি। এর পর আরও অনেকগুলো সিরিজ খেলেন। ঐ সিরিজে অস্ট্রেলীয়দের বিপক্ষেই কেবল সফলতার স্বাক্ষর রাখেননি। ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭/৮৭, মোতেরায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭/৬২, সাবিনা পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫/১৩, গলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬/১০২ ও ৪/৫১, হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬/৬৩ ও নিউল্যান্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭/১২০ পান।

ঐ মৌসুমে চেন্নাইয়ে স্টিভ ওয়াহ’র নেতৃত্বাধীন সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের বিজয়ে অংশ নিয়েছিলেন। পুরো সিরিজে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। ১৮ মার্চ, ২০০১ তারিখ থেকে শুরু হওয়া সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে ১৫ উইকেট দখল করেছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৭/১৩৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৮/৮৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অনবদ্য বোলিংয়ের কল্যাণে খেলায় তাঁর দল নাটকীয়ভাবে দুই উইকেটে জয় পায় ও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও, ৩৪ রান ও ৩২ উইকেট দখল করে খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পান।

২০০২-০৩ মৌসুমে নিজ দেশে কার্ল হুপারের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে তিনি অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। ৩০ অক্টোবর, ২০০২ তারিখে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ৬ ও ২৬ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, ৫/১১৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, শচীন তেন্ডুলকরের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিক গড়ায় ও স্বাগতিক দল ২-০ ব্যবধানে জয় পায়। এ সিরিজে ৬৯ রান সংগ্রহসহ ২০ উইকেট দখল করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৪-০৫ মৌসুমে নিজ দেশে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ২৮ নভেম্বর, ২০০৪ তারিখে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। খেলায় তিনি ২/৫৪ ও ৭/৮৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ বোলিংয়ের সুবাদে সফরকারীরা ৮ উইকেটে পরাজিত হলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৫-০৬ মৌসুমে নিজ দেশে মারভান আতাপাত্তু’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ১৮ ডিসেম্বর, ২০০৫ তারিখে আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ৪০* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ৭/৬২ ও ৩/৭৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ২৫৯ রানে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।

২০০৯-১০ মৌসুমে নিজ দেশে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে জেপি ডুমিনি’র তৃতীয় উইকেট লাভ করে টেস্টে ৩৫০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৩/৬৪ ও ৫/৫৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, দলের একমাত্র ইনিংসে তাঁকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। হাশিম আমলা’র জোড়া শতক সত্ত্বেও স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৫৭ রানে জয়লাভ করলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ করতে সক্ষম হয়।

২০১০-১১ মৌসুমে নিজ দেশে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অসাধারণত্বে পরিচয় দেন। ৪ নভেম্বর, ২০১০ তারিখে আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। চমৎকার ক্রীড়া নৈপুণ্যের ছাঁপ রাখেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানে পৌঁছানোকালে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ রান অতিক্রম করেন। এ ইনিংসে ৬৯ রান তুলেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রান সংগ্রহ করে আবারও পূর্বতন সর্বোচ্চ রান অতিক্রম করেন। এ পর্যায়ে ১১৫ সংগ্রহ করেন। এরফলে, নিজস্ব প্রথম টেস্ট শতকের সন্ধান পান। এছাড়াও, ১/১১২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

একই সফরের ২০ নভেম্বর, ২০১০ তারিখে নাগপুরে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ২০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৫৯ ও ৩/৫৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। রাহুল দ্রাবিড়ের অনবদ্য ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৯৮ রানে জয় পেলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। এ সিরিজে ৩১৫ রান সংগ্রহসহ ১০ উইকেট দখল করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

২০১৫-১৬ মৌসুমে বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বে ভারতীয় দলের সাথে শ্রীলঙ্কা সফরে করেন। ১২ আগস্ট, ২০১৫ তারিখে গলেতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। ০/১৭ ও ১/৭৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ১৪ ও ১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, দিনেশ চণ্ডীমালের অসামান্য ব্যাটিং দৃঢ়তায় স্বাগতিকরা ৬৩ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

টেস্টগুলো থেকে ৪১৭ উইকেট দখলের পাশাপাশি দুই সহস্রাধিক রান পেয়েছেন। তন্মধ্যে, দুইটি শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন। ২৩৬টি ওডিআইয়ে ২৬৯ উইকেট দখল করেছেন। জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও ২০১৮ সালের আইপিএলের শিরোপা বিজয়ী চেন্নাই সুপার কিংসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই অধিক সফল ছিলেন। ৩০ গড়ে ৯৫ উইকেট পান। তন্মধ্যে, নিজ দেশে ২৫ গড়ে ৮৬ উইকেট দখল করেছিলেন। বিশেষতঃ রিকি পন্টিং তাঁর প্রিয় শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। ১৪ টেস্টে ১০বার তাঁকে বিদেয় করেছিলেন। এছাড়াও, ম্যাথু হেইডেনকে ১৩ টেস্টে নয়বার, অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে ১০ টেস্টে সাতবার বিদেয় করেন।

পাশাপাশি, ২০০৭-০৮ মৌসুমে অ্যান্ড্রু সায়মন্ডস তাঁর বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ আনেন। এ ঘটনার অল্প কিছুদিন পর ২৫ এপ্রিল, ২০০৮ তারিখে মোহালিতে অনুষ্ঠিত কিংস ইলাভেন পাঞ্জাব বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যকার খেলার এক পর্যায়ে এস শ্রীশান্তের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় আইপিএলের ২০০৮ সালের আসরের বাদ-বাকী সময় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন। পাশাপাশি পাঁচটি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের উপর নিষিদ্ধঘোষিত হন। ২০০৩ সালে অর্জুন পদক ও ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন। সাতজন ভারতীয় ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে সরকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। ক্রিকেটে অসামান্য সেবা দেয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ বার্নালাভিত্তিক পাঞ্জাব পুলিশ সদর দফতর কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডেপুটি পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট হিসেবে মনোনীত করে।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। গীতা বসরা নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির হিনায়া হীর প্লাহা নাম্নী কন্যা রয়েছে।

Similar Posts

  • | |

    খালেদ মাসুদ

    ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬ তারিখে উত্তরাঞ্চলীয় শহর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। উইকেট-রক্ষণের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিংকর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করেন। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট দলের দ্বিতীয় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। টেস্টভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দলের স্বীকৃতি লাভের প্রথম দশকে দলের সেরা উইকেট-রক্ষকের মর্যাদা পান। কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করার মানসিকতা…

  • |

    রুবেল হোসেন

    ১ জানুয়ারি, ১৯৯০ তারিখে বাগেরহাটে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। স্পিনারদের আধিপত্যবাদের যুগে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বোলিং আক্রমণে নতুন মাত্রা যোগ করেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম বোলার হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। তাঁর ফাস্ট বোলিংয়ের ধরন কিছুটা…

  • | |

    স্টিভ ওয়াহ

    ২ জুন, ১৯৬৫ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্যান্টারবারিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৯ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম থেকে ২০০৩-০৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর…

  • |

    যশস্বী যশওয়াল

    ২৮ ডিসেম্বর, ২০০১ তারিখে উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির সূর্য্যবন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। বামহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মুম্বই ও বহিঃভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, রাজস্থান রয়্যালস, ভারত ‘এ’ অনূর্ধ্ব-১৯, ভারত ‘বি’, ভারত অনূর্ধ্ব-২৩ দলের পক্ষে খেলেছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে…

  • |

    প্রবীর সেন

    ৩১ মে, ১৯২৬ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কুমিল্লায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী পঙ্কজ রায়ের জন্মের ঠিক দুই বছর পূর্বে তাঁর জন্ম। প্রথম উইকেট-রক্ষক হিসেবে ভারতের পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। ভারতের প্রথম সেরা উইকেট-রক্ষকের মর্যাদা পান।…

  • | |

    রবি হার্ট

    ২ ডিসেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে ওয়াইকাতোর হ্যামিল্টনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ২০০০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। সহোদর ও নিউজিল্যান্ডীয় টেস্ট স্পিনার ম্যাথু হার্টের চেয়ে দুই বছরের ছোট তিনি। ১৯৯২-৯৩ মৌসুম থেকে ২০০৩-০৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর…