|

গাই হুইটল

৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২ তারিখে মনিকাল্যান্ডের চিপিঞ্জ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

কার্যকর মারমুখী ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। ব্যাটিং উদ্বোধন কিংবা নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। কার্যকরী রান সংগ্রহসহ শতক হাঁকিয়েছেন। এছাড়াও সুইং বোলিং করতে পারতেন। পাশাপাশি, বাউন্ডারি সীমানা বরাবর ফিল্ডিং করতেন। প্রকৃতপক্ষে ব্যাটিংয়ের কারণে দলে খেলার সুযোগ পান।

১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ২০০২-০৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে মনিকাল্যান্ড, ম্যাশোনাল্যান্ড ও মাতাবেলেল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

১৬ বছর বয়সে জাতীয় পর্যায়ের বিদ্যালয় দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের মর্যাদা লাভের পূর্বে লোগান কাপে জিম্বাবুয়ের বিদ্যালয় দলের সদস্যরূপে হারারে সেন্ট্রাল দলের বিপক্ষে শতরান করেছিলেন। ১৮ বছর বয়সে এপ্রিল, ১৯৯০ সালে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। এর পরপরই জাতীয় দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ পান। সবমিলিয়ে তেরো বছর জিম্বাবুয়ের পক্ষে খেলেছেন।

১৯৯৩ থেকে ২০০৩ সময়কালে জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বমোট ৪৬ টেস্ট ও ১৪৭টি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ীয় দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান গমন করেন। ১ ডিসেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। গ্লেন ব্রুক-জ্যাকসন, হিথ স্ট্রিক, জন রেনি, মার্ক ডেকার ও স্টিফেন পিয়লের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। তবে, টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুটা তেমন ভালো হয়নি। ১/২৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ৩৩* ও ২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, ওয়াকার ইউনুসের অসামান্য বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১৩১ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম অর্ধ-শতক হাঁকান। এরপর, ১৯৯৫ সালে নিজ দেশে পাকিস্তানের মুখোমুখি হন। হারারেতে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে শতরানের ইনিংস খেলেন। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ১৫০ ও গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার ২০০ এবং হিথ স্ট্রিক পাঁচ-উইকেট লাভ করলে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট জয়ের সন্ধান পায়। অবশ্য, পরের দুই টেস্টে তাঁর দল পরাজিত হয়। তবে, ওডিআই সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্রয়ে পরিণত হয়।

১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ীয় দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১৩ জানুয়ারি, ১৯৯৬ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ৫৪ ও ২৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, ক্রিস কেয়ার্নসের অসাধারণ বোলিংশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

পরবর্তী সফরগুলোয়ও খেলার এ ধারা বহমান রাখেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের পর বুলাওয়েতে নাটকীয় ড্র করে সিরিজে সমতা আনেন।

এরপর, ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে নিজ দেশে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন ও ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১১৩ রান অতিক্রম করেন। ২০৩ রানের নিজস্ব প্রথম দ্বি-শতরানের ইনিংস খেলেন। খেলায় তিনি ২০৩* ও ৪৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/১৩ ও ১/৪১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে ঐ টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

হারারেতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় ১৮০ রান সংগ্রহ করেন। তবে, খেলায় দল হেরে যায়। দল যদি আরও দশ মিনিট ব্যাটিং করতে পারতো তাহলে খেলাটি নিদেনপক্ষে ড্রয়ের দিকে চলে যেতো।

১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ীয় দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ২৯ অক্টোবর, ১৯৯৯ তারিখে ব্লোমফন্তেইনের গুডইয়ার পার্কে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৮৫ ও ৫১ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ২/৯৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, জ্যাক ক্যালিসের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৩ রানে জয়লাভ করলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

২০০০-০১ মৌসুমে নিজ দেশে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০০০ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৫ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৯ ও ১৮৮* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ক্রিস কেয়ার্নসের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৮ উইকেটে জয়লাভ করলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ে দলকে দ্বিতীয় রাউন্ডে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দলের স্মরণীয় জয় প্রত্যক্ষ করেন।

২০০১-০২ মৌসুমে নিজ দেশে শন পোলকের নেতৃত্বে স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ৭ সেপ্টেম্বর, ২০০১ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অংশ নেন। ঘটনাবহুল খেলার তৃতীয় দিন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারকে সাথে সপ্তম উইকেটে ৪৫ রান তুলে পূর্বেকার রেকর্ডের সমকক্ষ হন। খেলায় তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে ১৬ ও ৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ০/৩৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের বীরোচিত ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও সফরকারীরা ৯ উইকেটে জয়লাভ করলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

২০০২-০৩ মৌসুমে নিজ দেশে ওয়াকার ইউনুসের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ৯ নভেম্বর, ২০০২ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১/৪৪ ও ০/৬২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ৭ ও ২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। সফরকারী দল ১১৯ রানে জয় পায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

তিন বছর ধরে হাঁটুর আঘাতে জর্জড়িত ছিলেন। এছাড়াও, পারিবারিক সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত ছিলেন ও পারিবারিক শিকার ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। পরিশেষে, মার্চ, ২০০৩ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। এরপর, পারিবারিক ক্রীড়াসামগ্রী প্রতিষ্ঠানে মনোনিবেশ ঘটান। এছাড়াও, পেশাদার শিকারী তিনি। সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালে নিজস্ব হিউমানি লজে অপ্রস্তুত অবস্থায় পুরো রাত বিছানার নীচে কুমিরের অবস্থান না জেনে নিদ্রাযাপন করেন।

গ্লেন ম্যাকগ্রা’র বিপক্ষে ব্যাটিংকালীন বেশ হিমশিম খেতেন। এছাড়াও, অ্যান্ডি ক্যাডিক, জবাগল শ্রীনাথ, ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুসের বিপক্ষে ব্যাটিং করাকেও তিনি বেশ দূরূহ বলে মনে করতেন।

Similar Posts

  • | | |

    আকরাম খান

    ১ নভেম্বর, ১৯৬৮ তারিখে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৯০-এর দশকের দ্বিতীয়ার্ধ্বে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের শুরুরদিকের প্রকৃত মানসম্পন্ন ক্রিকেট তারকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। কোমড় বেশ মোটা ও স্থূল দেহের অধিকারী ছিলেন। চট্টগ্রামের সূর্যসন্তান হিসেবে…

  • |

    বিজয় রাজিন্দরনাথ

    ৭ জানুয়ারি, ১৯২৮ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ১৯৫০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির দীর্ঘকায় শারীরিক গড়নের অধিকারী ছিলেন। সম্ভবতঃ গড়পড়তা ভারতীয় উইকেট-রক্ষকদের তুলনায় তিনি কিছুটা লম্বাটে ছিলেন। ১৯৪৩-৪৪ মৌসুম থেকে ১৯৫৮-৫৯…

  • |

    ট্রেন্ট বোল্ট

    ২২ জুলাই, ১৯৮৯ তারিখে রোতোরুয়ায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। দলে তিনি মূলতঃ বোলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। বামহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করে থাকেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পর্যাপ্ত পেস সহযোগে সুইং বোলিংয়ে দক্ষতা প্রদর্শনসহ শেষেরদিকের ওভারগুলো পেস ও নিশানা বরাবর বল ফেলে চাতুর্য্যতার পরিচয় দিয়েছেন। ওয়াসিম আকরামের সাফল্যে উজ্জ্বীবিত…

  • | | |

    রয় ডায়াস

    ১৮ অক্টোবর, ১৯৫২ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, রেফারি ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুম থেকে ১৯৯১-৯২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে কলম্বো ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৭৯ থেকে…

  • | | |

    এভারটন উইকস

    ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৫ তারিখে বার্বাডোসের পিকউইক গ্যাপ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, রেফারি ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। সেন্ট লিওনার্ডস বয়েজ স্কুলে অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে, হোটেল ম্যানেজম্যান্ট বিষয়ে পড়াশুনো করেছেন। তবে,…

  • | | |

    ইরাপল্লী প্রসন্ন

    ২২ মে, ১৯৪০ তারিখে কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও রেফারি। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারত দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৬১-৬২ মৌসুম থেকে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটকের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বলকে শূন্যে…