১৫ অক্টোবর, ১৯২১ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, আম্পায়ার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বামহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। ভারত ও পাকিস্তান – উভয় দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

৫ ফুট ৫ ইঞ্চি নিয়ে ছোটখাটো গড়নের অধিকারী হলেও অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার ছিলেন। আক্রমণাত্মক স্ট্রোকপ্লের অধিকারী ছিলেন। বামহাতি তারকা ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি কভার পয়েন্ট অঞ্চলে অসাধারণ ফিল্ডিং করাসহ মাঝে-মধ্যে বামহাতে মিডিয়াম বোলিং করতে পারতেন। বলা হয়ে থাকে যে, মাছও তাঁর হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতো না। ১৯৪৬ সালে জাতীয় দলে খেলার জন্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

অবিভক্ত ভারতের লাহোরের ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। ১৯৩৮-৩৯ মৌসুম থেকে ১৯৫৮-৫৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বরোদরা, হায়দ্রাবাদ, লাহোর, মুসলিম ও নর্দার্ন ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে ১৭ বছর বয়সে রঞ্জী ট্রফিতে নর্দার্ন ইন্ডিয়ার পক্ষে অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। এরপর, মুসলিম দলের সদস্যরূপে স্বীয় প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। নর্দার্ন ইন্ডিয়া ট্রায়াঙ্গুলার টুর্নামেন্টে হিন্দু দলের বিপক্ষে ৯৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এ পর্যায়ে তাঁকে উদীয়মান ক্রিকেটারে পরিণত করে ও ভারতের সম্ভাব্য খেলোয়াড় হিসেবে চিত্রিত করা হয়। দূর্ভাগ্যজনকভাবে অনেকের ন্যায় তাঁকেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করা থেকে দূরে থাকতে হয়েছে।

১৯৪২ সালে নিজের স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। টেস্টের উপযোগী বোলার সমৃদ্ধ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ার বিপক্ষে বাদ-বাকী ভারতের সদস্যরূপে শতক হাঁকান। এছাড়াও, বোম্বে পেন্টাগুলার টুর্নামেন্টে আরও দুইটি শতক হাঁকানোর কাছাকাছি অবস্থানে নিয়ে যান। সচরাচর বিজয় হাজারে’র সাথে দুইটি বড় ধরনের জুটি গড়ে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৯৪২-৪৩ মৌসুমে দাতব্য তহবিল গঠনের খেলায় এ দু’জন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩০২ রান তুলেন। বোম্বের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বেঙ্গল সাইক্লোন একাদশের সদস্যরূপে বিজাপুর ফেমাইন একাদশের বিপক্ষে এ সাফল্য পান।

চার বছর পর ইংল্যান্ড সফর শেষে ভারতে ফিরে তাঁদের জুটির সংগ্রহ আরও স্ফীততর হয়ে উঠে। ভারত বিভাজনের পাঁচমাস পূর্বে বরোদা ও হোলকারের মধ্যকার রঞ্জী ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় বিজয় হাজারে, সৈয়দ মুশতাক আলী, বরোদার মহারাজার ন্যায় তারকা খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি সেরা তারকা হিসেবে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিলেন।

হোলকার ২০২ রানে গুটিয়ে যায়। ৯১/৩ থাকা অবস্থায় বিজয় হাজারে’র সাথে মাঠে নেমে পরিস্থিতি সামাল দেন। চতুর্থ উইকেটে তাঁরা ৫৭৭ রানের জুটি গড়েছিলেন। এরফলে, ফ্রাঙ্ক ওরেলক্লাইড ওয়ালকটের ৫৭৪ রানের তৎকালীন রেকর্ড ভেঙ্গে পড়ে। বিজয় হাজারে ২৮৮ ও তিনি ব্যক্তিগত সেরা ৩১৯ রান করেন। আট ঘণ্টা তিপ্পান্ন মিনিটে এ রান তুলেন। সব মিলিয়ে দলটি ৭৮৪ রান সংগ্রহ করে। খেলাটি অসীম সময়ের ছিল। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে কুমার সাঙ্গাকারামাহেলা জয়াবর্ধনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে ৬২৪ রান তুলে প্রথম-শ্রেণীর যে-কোন উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে রেকর্ডটি নিজেদের করে নেন।

১৯৪৬ থেকে ১৯৫৬ সময়কালে ভারত ও পাকিস্তান – উভয় দলের পক্ষে নয়টিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে, ভারতের পক্ষে ১৯৪৬ থেকে ১৯৫২ সময়কালে আটটি এবং পাকিস্তানের পক্ষে ১৯৫৬ সালে একটিমাত্র টেস্ট খেলেন।

ইংল্যান্ড গমনার্থে যাচাই-বাছাইয়ের খেলায় যথেষ্ট ভালো করে দলে স্বীয় স্থান নিশ্চিত করেন। বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালে ইফতিখার আলি খান পতৌদি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমনের সুযোগ পান। ২২ জুন, ১৯৪৬ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। বিনু মানকড়, রুসি মোদি, সাদু সিন্ধে, বিজয় হাজারেআব্দুল কারদারের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। সিরিজের প্রথম টেস্টটিতে তেমন সুবিধে করতে পারেননি। খেলায় তিনি ১ ও ৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। স্বাগতিক দল ১০ উইকেটে জয় পায় ও তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

অনেক বছর পর এক স্বাক্ষাৎকারে পতৌদির নবাবের অধিনায়কত্বের কঠোর সমালোচনা করেন। খেলায় ক্রমাগত ছন্দে থাকা বিজয় মার্চেন্টের পর আর কেউ এ দায়িত্বের যোগ্য ছিলেন না। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে লালা অমরনাথের অধিনায়কত্বে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ‘অপরাজেয়’ অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে ভারত দল পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল। তিনিও এর বাইরে ছিলেন না। পাঁচ টেস্টে অংশ নিয়ে মাত্র ১৩০ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। তবে, পুরো সফরে দূর্দান্ত ফিল্ডিং করেছিলেন। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে সদ্য টেস্টভূক্ত পাকিস্তান দলের বিপক্ষে উদ্বোধনী সিরিজে অংশ নিয়েছিলেন। সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। ভারতের পক্ষে সব মিলিয়ে আট টেস্ট খেলেছিলেন। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ভারতে ঘরোয়া খেলায় অংশ নিয়েছেন।

স্বাধীনতার নয় বছর পর ১৯৫৫ সালে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব লাভের পর লাহোরে চলে যান। এ পর্যায়ে ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে পাকিস্তানের সদস্যরূপে ইয়ান জনসনের নেতৃত্বাধীন সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একমাত্র টেস্টটিতে অংশ নেন। ১১ অক্টোবর, ১৯৫৬ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত টেস্টে ফজল মাহমুদ ও খান মোহাম্মদের বোলিংয়ের কল্যাণে ৬৯ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে জয়সূচক রান সংগ্রহ করেন। স্বাগতিক দল ৯ উইকেটে জয় পায়। এরফলে, আব্দুল হাফিজ কারদার ও আমির ইলাহী’র পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ভারত ও পাকিস্তান-উভয় দেশের পক্ষে টেস্ট খেলার কৃতিত্বের অধিকারী হন।

খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুরদিকে পেশাদারী পর্যায়ে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে র‍্যামসবটমের সদস্যরূপে খেলেছিলেন। সব মিলিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৩৪ গড়ে ৫৬১৪ রান ও ২৭ গড়ে ১০৭ উইকেট দখল করেছেন।

১৯৭৫-৭৬ মৌসুমের সার্ভিসেস কাপের সেমি-ফাইনাল খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন। ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬ সালে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে রেলওয়েজ বনাম সার্ভিসেস ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যকার প্রথম-শ্রেণীর খেলাটি পরিচালনা করেছিলেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের পরিচালনা পরিষদের সদস্য হিসেবে যোগ দেন। এরপর, ১৯৮৭ সালে পাঞ্জাব স্পোর্টস বোর্ড তাঁকে ক্রিকেট কোচ হিসেবে মনোনীত করে। বহুক্রীড়ায় পারদর্শী ছিলেন। প্রতিভাবান অ্যাথলেট, সাঁতারু ও কাবাডি খেলোয়াড় ছিলেন। তবে, পরবর্তীকালে ক্রিকেট খেলাকেই সর্বাগ্রে ঠাঁই দেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। তাঁর সন্তান ফেরদৌস গুল ক্রিকেট খেলায় অংশ নিলেও পিতার ন্যায় জনপ্রিয়তা পাননি। ৮ মে, ১৯৯২ তারিখে ৭০ বছর ২০৬ দিন বয়সে যকৃতের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পাঞ্জাবের লাহোরে তাঁর দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুর মাত্র ছয় মাস পূর্বে রোগের কথা জানতে পারেন।

Similar Posts

  • |

    আজম খান

    ১ মার্চ, ১৯৬৯ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৯৯০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম থেকে ২০০১-০২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে করাচী, পাকিস্তান কাস্টমস, পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং কর্পোরেশন ও পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৯৬…

  • |

    হান্নান সরকার

    ১ ডিসেম্বর, ১৯৮২ তারিখে ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ২০০০-এর দশকে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। কৌশলগতভাবে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে সফল ছিলেন। তবে, প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। বেশ কয়েকটি দূর্বল ইনিংস খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বাদ পড়েন।…

  • | | | |

    আমির সোহেল

    ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৬ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। হার না মানার মানসিকতাসম্পন্ন বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। পিছনের পায়ের উপর ভর রেখে খেলতেন। সহজাত প্রকৃতির আক্রমণাত্মক ধাঁচে খেলতে পছন্দ করতেন…

  • |

    জেমস ক্রান্সটন

    ৯ জানুয়ারি, ১৮৫৯ তারিখে ওয়ারউইকশায়ারের বোর্ডস্লে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, বামহাতে বোলিং করতেন। ১৮৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। টানটন কলেজে পড়াশুনো করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সতেরো বছর বয়সে দলটির সাথে প্রথম যুক্ত হন।…

  • | |

    এরিক ডেম্পস্টার

    ২৫ জানুয়ারি, ১৯২৫ তারিখে ওয়েলিংটনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুম থেকে ১৯৬০-৬১ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সরব ছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওয়েলিংটনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।…

  • |

    বিজয় মাঞ্জরেকর

    ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৩১ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মহারাষ্ট্রের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘ট্যাট’ ডাকনামে পরিচিতি লাভ করেন। ভীতিহীন অবস্থায় হুক এবং কাট মারতেন ও বেশ দক্ষতার পরিচয় দেন। বোম্বে স্কুল থেকে আগত অন্যতম সেরা…