১০ মার্চ, ১৯৬৪ তারিখে তাসমানিয়ার লঞ্চেস্টন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
তাঁর উত্থান পর্ব বেশ দর্শনীয় ছিল। তবে, আঘাতের কারণে খেলোয়াড়ী জীবন স্বল্প স্থায়ী হয়ে পড়ে। ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম থেকে ১৯৯১-৯২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে তাসমানিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বারোটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয়ার পর জাতীয় দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন। এ পর্যায়ে তিনি ঘরোয়া আসরে ৩৬ উইকেট দখল করেছিলেন।
১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে চারটিমাত্র টেস্ট ও ১২টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৮৯ সালে অ্যালান বর্ডারের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ৮ জুন, ১৯৮৯ তারিখে লিডসের হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। কার্ল র্যাকেম্যানের অনুপস্থিতির কারণে খেলার সুযোগ পান। ডেরেক প্রিঙ্গলের উইকেট লাভ করেন। অ্যালান বর্ডারের নেতৃত্বাধীন দলে থেকে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় এনে দেন ও অ্যাশেজ অক্ষত রাখতে সহায়তা করেন। খেলায় তিনি ১/৮২ ও ০/৪২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, কোন ইনিংসেই তাঁকে ব্যাট হাতে নিয়ে মাঠে নামতে হয়নি। টেরি অল্ডারম্যানের অসাধারণ বোলিং সাফল্যে সফরকারীরা ২১০ রানে জয় পেলে ছয়-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। এ সফরে ২৭ গড়ে ৩০ উইকেট পেয়েছিলেন।
১৯৮৯-৯০ মৌসুমে আরও একবার দারুণ সময় পাড় করেন। ৩৫ উইকেট পান। এছাড়াও, আরও তিন টেস্টসহ ওডিআইয়ে অংশ নেন। পরের দুই মৌসুম হাঁটু ও কব্জির আঘাতের কবলে পড়েন। এরপর, পিঠে গুরুতর জখম পেলে তাসমানিয়া থেকে বাদ পড়েন। কুইন্সল্যান্ডে চলে আসেন। কিন্তু, দলে স্থান নিশ্চিত করতে পারেননি।
অংশগ্রহণকৃত চার টেস্টের সবগুলোই ভিন্ন ভিন্ন দলের বিপক্ষে খেলেন। কিন্তু, হাঁটুতে অস্ত্রোপচারসহ র্যাকেম্যান, জিওফ লসন, টেরি অল্ডারম্যান, মাইক হুইটনিসহ তরুণ ক্রেগ ম্যাকডারমটের সাথে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কুলিয়ে উঠতে পারেননি। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে অ্যালান বর্ডারের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১৫ মার্চ, ১৯৯০ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। বল হাতে নিয়ে ২/৫১ ও ১/২৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ ও ০ রান সংগ্রহ করেন। প্রতিপক্ষীয় অধিনায়ক জন রাইটের অনবদ্য ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে জয় পায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
টেস্ট অভিষেকের তিন বছর পরই তাঁর প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপণ ঘটে। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ধাবিত হন। এক পর্যায়ে পাপুয়া নিউগিনি দলের প্রধান নির্বাহী ও মহাব্যবস্থাপকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। গোল্ড কোস্টে ১২ বছর ধরে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তাঁর দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে ভ্রাতৃষ্পুত্র রিকি পন্টিংয়ের অনেকাংশে মিল রয়েছে। লর্ডসে খেলাকালীন প্যাভিলিয়নে অবস্থানরত বান্ধবীর দিকে সঙ্কেত দিয়েছিলেন যে, তাঁকে বিয়ে করার জন্যে। তবে, অ্যাডিলেড ওভালে রিকি পন্টিং দ্বি-শতক হাঁকানোর পর পত্নী রায়ানা’র দিকে চুম্বন বার্তা পাঠান।
