২৬ মে, ১৯৬৬ তারিখে ওয়াইকাতোর হ্যামিল্টনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসতেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী। ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম থেকে ২০০১-০২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলের প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত হন ও ১৬ মৌসুম দলটিতে খেলেন। অবসর গ্রহণকালীন নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে সর্বাধিক ১২৫টি খেলায় অংশ নিয়ে ২৭.৯৬ গড়ে ৪৬১৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
১৯৯০ থেকে ২০০১ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সাতটিমাত্র টেস্ট ও ১১টি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঐ খেলাগুলোয় অবশ্য সাধারণমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন।
১৯৯০-৯১ মৌসুমে মার্টিন ক্রো’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সাথে পাকিস্তান সফরে যান। ১০ অক্টোবর, ১৯৯০ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ডেভিড হোয়াইট ও ক্রিস প্রিঙ্গলের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১১* ও ২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৫৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। শোয়েব মোহাম্মদের অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ৪৩ রানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
একই সফরের ১৮ অক্টোবর, ১৯৯০ তারিখে লাহোরে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগতভাবে সফল ছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১১ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ৮ ও ১৪ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, ১/৩২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, ওয়াকার ইউনুসের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
১৯৯২-৯৩ মৌসুমে শ্রীলঙ্কা সফরের পর দল থেকে বাদ পড়লে দৃশ্যতঃ তাঁর খেলোয়াড়ী জীবন শেষ হয়ে যায়। তবে, ৩৫ বছর বয়সে তাঁকে পুণরায় দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে, তেমন কোন সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি।
১৯৯০-৯১ মৌসুমে মার্টিন ক্রো’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান গমন করেন। ১০ অক্টোবর, ১৯৯০ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ১১* ও ২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ১/৫৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। শোয়েব মোহাম্মদের অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ৪৩ রানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। এছাড়াও, পারিবারিক ক্রীড়াসামগ্রী প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অগ্রসর হন। পাশাপাশি, নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ‘এ’ দলের কোচ ছিলেন। ২০০৮ সালে অ্যান্ডি মোলসকে নিউজিল্যান্ডের কোচের দায়িত্বে নেয়া হলে তিনি নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের কোচ হন ও ২০১২ সালের প্লাঙ্কেট শীল্ডের শিরোপা বিজয়ে নেতৃত্ব দেন। এরপর, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচের দায়িত্ব পালনের পর বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে এপ্রিল, ২০১৪ সালে স্কটল্যান্ড দলের প্রধান কোচ হিসেবে মনোনীত হন। ১৫ অক্টোবর, ২০২১ তারিখে পিসিবি’র নিয়ন্ত্রণাধীন হাই-পারফরম্যান্স কোচের প্রধান থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পিসিবি সভাপতি হিসেবে রমিজ রাজা’র দায়িত্ব লাভের পর থেকে কোচিংয়ের চতুর্থ সর্বোচ্চ পদ থেকে তাঁকে বাদ দেয়া হয়। এর পূর্বে ২৮ মে, ২০২০ তারিখে জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাঁকে হাই-পারফরম্যান্স কোচের প্রধান হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল।
