৪ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের এনফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৯০৫-০৬ মৌসুম থেকে ১৯১২-১৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৭ বছর ১১৭ দিন বয়সে কনিষ্ঠতম ভিক্টোরীয় হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে।
১৯০৭ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে নয়টিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯০৭-০৮ মৌসুমে নিজ দেশে ফ্রেডরিক ফেনের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯০৭ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। চার্লি ম্যাকার্টনি, স্যামি কার্টার ও ভার্নন র্যান্সফোর্ডের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এরফলে, ওল্ড হেইলিবারিয়ান্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নেয়ার গৌরব অর্জন করেন। খেলায় তিনি ১৮* ও ৩৪* রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৩২ ও ০/২৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। সফরকারীরা ২ উইকেটে পরাজয়বরণ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
এমসিজিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রায় টাই হয়ে পড়া খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। কভার পয়েন্ট অঞ্চলে দণ্ডায়মান ছিলেন। ইংল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান আর্থার ফিল্ডার পিচের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকলেও সমান্তরাল হয়ে পড়া উইকেটে বল স্পর্শ করাতে ব্যর্থ হলে প্রতিপক্ষ দল জয়লাভ করে। তবে, রান-আউট যদি হতো তাহলে রান সংখ্যা সমান হয়ে পড়তো। কিন্তু, বলটি উইকেট-রক্ষক হ্যানসন কার্টার ও উইকেট থেকে যথেষ্ট দূর দিয়ে চলে যায়।
১৯১২ সালে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ বছর সিড গ্রিগরি’র নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২৭ মে, ১৯১২ তারিখে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে রেজি সোয়ার্জের বলে শূন্য রানে বিদেয় নিয়েছিলেন। এছাড়াও, ১/৪৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ঐ খেলায় তাঁর দল ইনিংস ও ৮৮ রানে জয়লাভ করে।
১৯ আগস্ট, ১৯১২ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। এ পর্যায়ে শেষ ১৭ বল থেকে মাত্র ১ রান খরচ করেছিলেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ০/৪৮ ও ৭/২৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ২* ও ৫ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। স্বাগতিকরা ২৪৪ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
৩০ অক্টোবর, ১৯১৫ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের পরমাত্মা এলাকায় হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হয়ে মাত্র ২৭ বছর ৫৬ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
