জেরি আলেকজান্ডার
২ নভেম্বর, ১৯২৮ তারিখে জ্যামাইকার কিংস্টনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
অতি আগ্রাসী ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও সঠিকমানের উইকেট-রক্ষক ছিলেন। এছাড়াও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের জনপ্রিয় অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৬০-৬১ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলেছেন। ১৯৫২ ও ১৯৫৩ সালে ক্যামব্রিজ থেকে ব্লুধারী হন। ধারনা করা হয় যে, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে মানসম্পন্ন দলনেতা রয়েছে।
১৯৫৭ থেকে ১৯৬১ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বমোট ২৫ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে জন গডার্ডের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ইংরেজ পরিবেশের সাথে পূর্ব-পরিচিত ছিলেন। শুরুতে তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হলেও দলে তাঁর অন্তর্ভুক্তিতে ভাঙনের সৃষ্টি করে। ফ্রাঙ্ক ওরেলের পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬০ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সাতটি জয় ও চারটিতে পরাজিত হয় তাঁর দল। এছাড়াও, একবার ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন। তবে, তিনি সমস্যা মোকাবেলান্তে অগ্রসর হন ও দলকে যথোচিতভাবে পরিচালনা করেছিলেন। ফ্রাঙ্ক ওরেলের দলে প্রত্যাবর্তনের ফলে দায়িত্ব থেকে সড়ে দাঁড়াতে হয়। দায়িত্ব হস্তান্তরের ফলে ব্যাটিংয়ের দিকে অধিক মনোনিবেশ ঘটান।
২৫ জুলাই, ১৯৫৭ তারিখে লিডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ০* ও ১১ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, উইকেটের পিছনে অবস্থান করে তিনটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেন। ইনিংস ও ৫ রানে পরাজিত হলে সফরকারীরা ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।
১৯৬০-৬১ মৌসুমে ফ্রাঙ্ক ওরেলের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। প্রত্যেক টেস্টেই কমপক্ষে একটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস হাঁকিয়েছিলেন। ৬০.৫০ গড়ে ৪৮৪ রান সংগ্রহের মাধ্যমে গড়ের দিক দিয়ে শীর্ষস্থানে ছিলেন। ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬১ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১১ ও ৭৩ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, উইকেটের পিছনে অবস্থান করে চারটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেন। সফরকারীরা ২ উইকেটে পরাজিত হলে ১-২ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
এছাড়াও তিনি ফুটবলে ব্লু লাভ করেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে শৌখিন টুপি লাভ করেন ও এফএ অ্যামেচার কাপের বিজয়ী পুরস্কার পান। পেশায় পশু চিকিৎসক ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া সফরের পর খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ২০ নভেম্বর, ২০০০ তারিখে ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম টাই টেস্টের ৪০ বছর পূর্তিতে ব্রিসবেনে ল্যান্স গিবস, চেস্টার ওয়াটসন ও জ্যাকি হেনড্রিক্সের সাথে মিলিত হন। ১৬ এপ্রিল, ২০১১ তারিখে জ্যামাইকার অরেঞ্জ গ্রোভ এলাকায় ৮২ বছর ১৬৫ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।